× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বাংলা সবচেয়ে মিষ্টি ভাষা, কী লাভ তাতে?

আন্দালিব রাশদী

প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:১১ পিএম

আন্দালিব রাশদী। ছবি: সংগৃহীত

আন্দালিব রাশদী। ছবি: সংগৃহীত

আমি বাংলায় লিখে জীবন ধারণ করি। নিষ্কর থাকার যে সর্বোচ্চ সীমা সৌভাগ্যবশত লেখকদের দুর্দিনেও আমার আয় সেই সীমাটা ডিঙিয়ে যায়। ফলে বাংলার কল্যাণে কিছু কর দিতে পেরে রাষ্ট্রীয় কর্মে অংশগ্রহণের দাবিও জানাতে পারি। বাংলা ভাষার কাছে আমার সীমাহীন ঋণ। আ মরি বাংলা ভাষা বৈশ্বিক স্বীকৃতি যত বেশি পাবে, আমার আনন্দ ও অহংকারের পেয়ালা ততই পূর্ণ হবে। এক যুগ আগের ইউনেস্কো স্বীকৃত ‘পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি ভাষা বাংলা’- এ সংবাদ জারি হওয়ার পর বাংলা ভাষায় আদৌ কোনো সমৃদ্ধি ঘটেছে কি না, এ নিয়ে বড় বিতর্ক হতে পারে। এই অতি উত্তম মানের মিষ্টত্ব দিয়ে বাংলা পৃথিবীকে কতটা নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে পেরেছে, এ প্রশ্ন না হয় জমাই থাক। বরং প্রশ্ন করি সর্বোত্তম এ মিষ্টি ভাষা বাংলাদেশকে কতটা আকৃষ্ট করতে পেরেছে?

বলা হয়, ইউনেস্কোর এই ভাষা মিষ্টত্ব পরীক্ষা ও ফলাফল ঘোষণার বছরটি হচ্ছে ২০১০। এরপর পুরো এক যুগ অতিবাহিত হয়েছে। এক যুগের প্রতিবছরই মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সুসংবাদ আমরা পেয়েছি, এমনকি লকডাউনের করোনাকালও আমাদের আয় বৃদ্ধি উল্টোমুখী করতে পারেনি। আমার হাতে কোনো বড় ধরনের সমীক্ষার ফলাফল নেই, তবে নিজের পরিবার থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজনের পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের পরিবারের ওপর চোখ রেখে যা দেখেছি, তাতে আমার মনে করার সংগত কারণ রয়েছে যে, আয় বৃদ্ধির এক যুগে সবচেয়ে বেশি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে সবচেয়ে মিষ্টি বাংলা ভাষা। এসব পরিবারের সন্তানরা প্রায় সবাই ভর্তি হচ্ছে ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে। আর বিতর্কিত হোক কি বিতর্কহীন, টেক্সট বোর্ডের বই যাদের স্কুলপাঠ্য, তাদের একটি অংশের পছন্দ ‘ইংলিশ ভাসর্ন’। ইংলিশ মিডিয়াম ও ইংলিশ ভার্সনের শিশু-কিশোরদের কাছে অল্প দিনেই বাংলা পরিণত হয়ে ওঠে টক্সিক ল্যাঙ্গুয়েজে; তা ভাষার কোনো দুর্বলতার কারণে নয়, স্বদেশে এবং বিদেশে বাংলা ভাষার গুরুত্বহীনতা এবং অভিভাবকদের উপেক্ষার কারণে। ‘আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না’ কিংবা ‘আমার মেয়ের কোনো বাংলা বই নেই’কে আমরা গৌরবের কথোপকথন বিবেচনা করে থাকি। 

বাংলা ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে কারণ অর্থাগমের সঙ্গে ভাষার যে সম্পর্ক, তাতে বাংলা ভীষণ মার খেয়ে গেছে। বাংলা পৃথিবীর মধুরতম ভাষা, ইউনেস্কোর বরাত দিয়ে আমরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছি, কিন্তু ইউনেস্কো যে সত্যিই এমন মহান একটি স্বীকৃতি দিয়েছে, তা নিশ্চিত হতে আমি যথেষ্ট ‘সার্ফিং’ করেছি। কিন্তু ইউনেস্কোর নিজস্ব কোনো প্রামাণিক দলিলে এ স্বীকৃতিটি খুঁজে বের করতে পারিনি। বরং সামনে এসেছে আর একটি রায়, সেখানে সব মেনে নিয়ে বলা হয়েছে : বাঙালির কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি ভাষা হচ্ছে বাংলা। মধ্যবিত্ত ঘরের শিশু-কিশোরদের ইংরেজিতে ‘মাস মাইগ্রেশন’ এটা বলার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়- ইংরেজি কি বাংলার চেয়ে মধুর ভাষা? কী জাদু ইংরেজিতে! ভাষাতাত্ত্বিকদের কেউ কেউ অবশ্য ইংরেজিকে বলছেন পৃথিবীর ‘উদ্ভটতম’ ভাষাগুলোর একটি। ধ্বনি ও ব্যাকরণের বিভিন্ন অসংগতির কথা তারা তুলে ধরেছেন।

কোনো কোনো রচনায় আমি পেয়েছি তুর্কি (এখন তুর্কিয়ে) হচ্ছে সবচেয়ে সাংগীতিক বহমান ও কাব্যিক এবং শ্রুতিমধুর ভাষা। তারপর তারা স্থান দিয়েছেন স্প্যানিশ ভাষাকে, এটাও বলছেন যে স্প্যানিশ হচ্ছে ‘সেক্সিয়েস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ’। মিষ্টতার দৌড়ে ফারসি ভাষা অনেক এগিয়ে। অন্য একজনের কাছে পৃথিবীর ‘সবচেয়ে সুন্দর’ তিনটি ভাষার শীর্ষে রয়েছে ফারসি, তারপর ম্যান্ডারিন ও ফ্রেঞ্চ। একজন মনে করেন পৃথিবীর সবচেয়ে ‘লজিক্যাল ল্যাঙ্গুয়েজ’ হচ্ছে ফারসি। ইংরেজি শিক্ষিত একজনের আবাল্য ধারণা ছিল, রুশ হচ্ছে মাতালদের ভাষা। মাতালের মতো ভাষার গঠন ও আচরণ। কিন্তু তিনি যখন রুশ ভাষা শিখতে শুরু করলেন, বিস্মিত হলেন এ ভাষার সম্ভার দেখে, তার ভাষা বিচারজ্ঞানে আমূল পরিবর্তন ঘটল, তিনি রুশ ভাষার প্রেমে পড়লেন।

অন্য একটি পর্যবেক্ষণ : বালিকারা যখন নিজেদের মধ্যে কোমল মোলায়েম স্বরে কথা বলে, তখন এ কাজে জাপানি ভাষার সমকক্ষ কোনো ভাষা পৃথিবীতে নেই। সবচেয়ে শ্রুতিমধুর। ব্রিটিশ ইংলিশ কেউ মনে করেন ‘স্মার্টেস্ট’ ভাষা। এই পর্যবেক্ষকের তালিকায় আছে গ্রিক, এটা দেবদূতদের ভাষা, তারপর আরবি। এরপর ফারসি এবং ইতালিয়ান। এই পর্যবেক্ষক জোর দিয়েই জানাচ্ছেন, এ তালিকায় তুর্কি ভাষার কোনো স্থান নেই।
মোস্ট ফেমিনিন ল্যাঙ্গুয়েজ বলা হচ্ছে জাপানি ভাষাকে। নারীকথনের ওপর ভিত্তি করে এক পর্যবেক্ষকের শ্রেষ্ঠ চারটি ভাষা হচ্ছে : জাপানি, স্প্যানিশ, রুশ ও ফারসি। তার কাছে একই নিরিখে সবচেয়ে বাজে চারটি ভাষা হচ্ছে : আরবি, থাই, ফরাসি ও ইন্দোনেশিয়ান।

ওয়ার্ল্ড সার্ভে (যদিও জরিপের বিবরণ ও পদ্ধতি প্রকাশ্যে আসেনি) শ্রুতিবিচারে শ্রেষ্ঠ পাঁচটি ভাষা উপস্থাপন করেছে : ১. ইতালিয়ান ২. আরবি ৩. ফরাসি ৪. পর্তুগিজ ৫. লিঙ্গালা (আফ্রিকান কঙ্গোলিজ)। একই সমীক্ষার চারটি কুৎসিত ভাষা (আগলিয়েস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ) হচ্ছে : ১. ম্যান্ডারিন ২. কোরিয়ান ৩. চায়নিজ ৪. জার্মান।

শেখার জন্য সবচেয়ে সহজ চিহ্নিত করা হচ্ছে ইতালিয়ান ভাষাকে। শেখার প্রশ্নে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ইংরেজির, কারণ এটাই বিশ্বায়নের ভাষা। চাহিদা বিবেচনায় পরবর্তী সাতটি ভাষা হচ্ছে : স্প্যানিশ, জার্মান, আরবি, ম্যান্ডারিন, পর্তুগিজ, রুশ ও ফরাসি। এরপর যদি আরও ৫০টি ভাষার নামও বলা হয়, বাংলা তাতে আসবে না।

বাংলা যে সবচেয়ে মিষ্টিমধুর ভাষা, এমন প্রচারণা নেটিজেনদের কাউকে ক্ষুব্ধ করে থাকতে পারে। সুতরাং তিনি পৃথিবীর কুৎসিত তিনটি ভাষার নাম উল্লেখ করেছেন যার শীর্ষে রয়েছে উর্দু, তৃতীয় স্থানে রুশ আর দ্বিতীয় স্থানে বাংলা (অবশ্য ক্ষুব্ধ এই ব্যক্তি ভাষার নাম লিখেছেন বাংলাদেশি)। আসলে ভাষার মিষ্টতার কিংবা ভাষা কতটা কুৎসিত তা পরিমাপের সর্বজনীন সূচক ও স্কেল নেই। বিচারটা হয় সাবজেক্টিভ।

মোর্স কোড (টেলিগ্রাফের টরে টক্কা ভাষা) জানা একজন শ্রেষ্ঠ ভাষার অনেকটাই বস্তুনিষ্ঠ ‘অবজেক্টিভ’ একটি বিবরণ দিয়েছেন। কৌতূহল জাগ্রত করা এ তালিকাটি তুলে ধরছি :
১. মাতৃভাষা
২. প্রেমিক/প্রেমিকার ভাষা
৩. সংগীতের ভাষা
৪. শৈশবে আবিষ্কৃত ব্যক্তিগত ভাষা
৫. পছন্দ করা মানুষের ভাষা
৬. যে ভাষা শেখার আগ্রহ থাকে সে ভাষা
৭. বিজ্ঞানের ভাষা
৮. শিল্পের ভাষা
৯. শান্তির ভাষা
১০. মোর্স কোড। (উপস্থাপনকারীর কাজের ভাষা)

যেভাবেই হোক বাংলাকে সবচেয়ে মধুর ভাষা বললে আমিও সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট হই, যদিও আমিও জানি নতুন প্রজন্ম মিষ্টিমধুর স্বাদ গ্রহণ করা থেকে নিজেদের ক্রমেই সরিয়ে নিচ্ছে। সোজা কথা বাংলার ভবিষ্যৎ ভালো নয়। মিষ্টি হলেও অর্থকরী ভাষার বাজারে বাংলা নিতান্তই অপাঙক্তেয়। বিশ্বায়নের হাতিয়ার ইংরেজি।

১৪৯২। কলম্বাস পাল তুললেন নৌকায়। তিনি নতুন পৃথিবীর সন্ধানে বের হয়েছিলেন। জ্ঞাতসারেই হোক কি অজ্ঞাতসারে, কলম্বাসকে নিভৃতে নিঃশব্দে অনুসরণ করল সাম্রাজ্যবাদ। তখন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার তৈরিতে মগ্ন স্পেনদেশীয় ভাষাবিজ্ঞানী আন্তোনিও দ্য নেব্রিয়া (১৪৪১-১৫২২)। তিনি এ কাজে স্প্যানিশ ভাষার অন্তরাত্মা আবিষ্কার জরুরি মনে করলেন। ভাষার অন্তরাত্মা হচ্ছে ব্যাকরণ। ভাষার দেহকাঠামো আছে, ভাষা ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট আইনকানুন আছে। ভাষা প্রবহমান। ভাষা খুব সহজে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারে। বিনা রক্তপাতে অন্য দেশ দখল করতে পারে। বেশ খেটেখুটে আন্তোনিও তৈরি করলেন স্প্যানিশ ভাষার প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থ Gramatica de la Castellana. বইটি রানী ইসাবেলাকে উৎসর্গ করলেন।

রানী বইটি পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, এটি কী কাজে লাগবে? উপস্থিত বিশপ অব অ্যাভিলা বললেন, Majesty, Language is the instrument of empire. মহামহীয়সী রানী, ভাষা হচ্ছে সাম্রাজ্যের হাতিয়ার।স্পেন ভাষাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে, সাম্রাজ্য বিস্তারে সফল হয়েছে। কিন্তু সাফল্য সবচেয়ে বেশি ইংরেজদের। ইংরেজ রাজত্বে সূর্য অস্ত না যাওয়ার মিথ, শুধু মিথ নয়, সত্যি। পরবর্তী সময় কর্তৃত্ব ধীরে ধীরে আটলান্টিকের ওপারে চলে গেলে সাম্রাজ্যের হাতিয়ার হিসেবে ইংরেজির ধার একটুও কমেনি। বরং বিশ্বায়নের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে।

বিশ্বায়নের হাতিয়ার হিসেবে ইংরেজি পৃথিবী গ্রাস করে নিয়েছে। বিশ্বায়ন কিংবা ভুবনায়নের তোড়টি প্রবল, সর্বব্যাপী এবং বিশ্বায়নের জন্য অপ্রস্তুত দেশের ভাষায় সর্বগ্রাসীও। বিশ্বায়নের সাংস্কৃতিক গ্রাসটি ভয়াবহ, যদিও শুরুতে বিশ্বায়ন উন্নয়ন অভিধানের বহুল ব্যবহৃত কেবল একটি শব্দমাত্র, যা মূলত বাণিজ্যিক বাধা অপসারণের লক্ষ্যেই প্রণীত।

১৪৫ বছর আগে ১৮৬৭ সালে ম্যাথু আর্নল্ড বেশ সশব্দেই উচ্চারণ করেছেন : আধুনিক সভ্যতার জন্য দরকার একই ধরনের ইংরেজ ভাষাভাষী একটি বিশ্ব। প্রযুক্তি যুগের আইকন বিল গেটস যখন মাইক্রোসফট কোম্পানির ‘এনকার্টা ওয়ার্ল্ড ডিকশনারি’ চালু করতে গেলেন, উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বললেন : ‘এক পৃথিবী এক অভিধান’। বিশ্বায়নের রাজনীতিতে বিল গেটস আসলে ম্যাথু আর্নল্ডের সেই কথাই প্রতিধ্বনিত করেছেন। বিল গেটস আরও একটু যোগ করেছিলেন : এক পৃথিবী এক অভিধান কেবল সময়ের ব্যাপার।

ইংরেজি হয়ে উঠেছে বিংশ শতকের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা। ইংরেজি চালিয়েছে ‘ল্যাক্সিকাস ইনভেশন’- আভিধানিক আক্রমণ। ইংরেজির বিশ্বায়নী উত্থানে জার্মান ও ফরাসির মতো শক্তিশালী ও রক্ষণশীল ভাষাও আতঙ্কিত আর ম্যান্ডারিন চায়নিজের মতো আগ্রাসি ভাষাও সংকুচিত হয়ে পড়ছে। ইংরেজিকে পরিণত করা হয়েছে সর্বগ্রাসী ভাষায়। উলরিখ নেক বিশ্বায়নকে দেখছেন বহুজাতিক স্বার্থের হাতিয়ার হিসেবে, যা ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলোার স্বার্থ। বিশ্বায়ন কেবল বাণিজ্য ও মূলধনের বিশ্ব পরিভ্রমণের অনুশোচনা নয়, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালানোরও সম্মতি। অসম সম্পর্কের বলি হচ্ছে বিপন্ন জনগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি। রিচার্ড মরিসনের মতে, ইংরেজির বিশ্বায়ন সৃষ্টি করেছে মানবিকতার সবচেয়ে বড় সংকট। ইংরেজিকে যেভাবে সাম্রাজ্যের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে ইংরেজিও রাঘববোয়ালের মতো গিলে খাচ্ছে নিকট প্রতিবেশীর ভাষা, দূর প্রতিবেশীর ভাষা। স্কটল্যান্ডের নোইলিক ভাষা ইংরেজির পেটে চলে গেছে; স্কটল্যান্ডে বিদ্রোহী স্কটিশরা স্বাধীনতার আন্দোলনও করছে। যদি কখনও সত্যি স্বাধীন হয়, দেখা যাবে মাতৃভাষাটির আর অস্তিত্বই নেই।

ভাবি, ১৯৪৮-এ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যদি বলতেন উর্দু নয়, ইংরেজি হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা; তাহলে বাংলার অস্তিত্ব আরও বিপন্ন হয়ে পড়ত। জিন্নাহ বাংলা ভাষার একটি বড় উপকারই করেছেন! 

লেখক : কথাসাহিত্যিক, অনুবাদক
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা