× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিজয় দিবস উদযাপন

‘আমরা তোমাদের ভুলব না’

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:২০ এএম

‘আমরা তোমাদের ভুলব না’

হাতে ফুল। মাথায় লাল-সবুজের পতাকা। খালি পা। মুখে বিজয়ের হাসি। গন্তব্য শহীদ বেদি, ৫৩ বছর আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আসে ২৩ বছরের দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙা বহুল আকাঙ্ক্ষিত সেই স্বাধীনতা, সেই বিজয়। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বর্ণিল ও অনন্য দিনটিতে গতকাল শনিবার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে দেশের মানুষ শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করেছে জাতির সূর্যসন্তানদের। 

রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রাজনেতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে শুরু করে শিশু থেকে বৃদ্ধ হাজারো মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হয়েছিল স্মৃতিসৌধে। সবার হাতেই ছিল বীর শহীদদের জন্য শ্রদ্ধার নৈবেদ্য, মুখে বিজয়ের হাসি, চোখে নতুন আগামীর প্রত্যয়। সারিবদ্ধভাবে তারা শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরও বাড়ে। সারা দেশে চলে দিনটি উদযাপন। বিনম্রচিত্তে সমগ্র জাতি ত্রিশ লাখ শহীদকে আরও একবার জানিয়ে দিল ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’। সবার কণ্ঠে শহীদদের আত্মদানকে স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গঠনের প্রত্যয়। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান জানায় তারা।

আশুলিয়া থেকে বাবার সঙ্গে ফুল দিতে আসা ৯ বছরের শিশু মারিয়া আক্তার। মুখে আঁকা পতাকার ছবি। হাতে আরেকটি পতাকা। স্মৃতিসৌধে আসার বিষয়ে মারিয়া জানায়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতা এসেছে। তাদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।

দাদার কোলে চড়ে প্রথমবার স্মৃতিসৌধে এসেছে মুনিয়া ফরাজি। স্মৃতিসৌধে এসে অনেক ভালো লাগছে বলে জানায় সে। তার হাতে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। মুনিয়ার দাদা পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ কবির হোসেন বলেন, ‘আজকে আমার ছুটি, এজন্য নাতনিকে নিয়ে এখানে এসেছি। বাংলাদেশ যারা জন্ম দিয়েছেন, আমি চাই নাতনি যেন তাদের শ্রদ্ধা করতে শেখে।’

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা 

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গতকাল শনিবার ভোর ৬টা ৩৩ মিনিটে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপ্রধান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করে। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সেখানে রাখা একটি দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিক, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এরপর শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পরে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আবারও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রধানদের নিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়ার পর সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

অগ্রগতি-সমৃদ্ধির পথে প্রতিবন্ধকতা সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ- ওয়াবদুল কাদের

জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটা ভিশন নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি। আগামী দিনে এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। তবে অগ্রগতি-সমৃদ্ধির পথে প্রতিবন্ধকতা সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ।’ 

বাংলাদেশের নির্বাচনের বিরোধিতাকারীদের অপশক্তি আখ্যা দিয়ে তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বে আজকে সাম্প্রদায়িকতা ডালপালা বিস্তার করছে। তারা উন্নয়ন অর্জনের পথে অন্তরায়। যে অপশক্তি নির্বাচনের বিরোধিতা করছে, গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তারা আসলে শুধু সাম্প্রদায়িকতা এ দেশে কায়েম করতে চায় না, এদেশে রাজনীতির যে অগ্রযাত্রা, রাজনীতিকে ধ্বংস করা হচ্ছে এদের মূল লক্ষ্য। এ অপশক্তিকে রুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলব বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেÑ এটাই আজকের দিনের অঙ্গীকার।’

নির্বাচনের ফলাফল ইতোমধ্যে লেখা হয়ে গেছে- মঈন খান

সকাল পৌনে ১০টায় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রথমে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং পরে দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান। 

নির্বাচনের ফলাফল ইতোমধ্যে লেখা হয়ে গেছে দাবি করে মঈন বলেন, ‘দেশের মানুষের প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। টালবাহানার নির্বাচনের নামে তারা লজ্জা ভুলে প্রকাশ্যে দর কষাকষি করে সিট ভাগাভাগি করছে। এটার নাম গণতন্ত্র হতে পারে না। যদি সিট ভাগাভাগি করে এমপি নির্ধারিত হয় তাহলে এই নির্বাচন ইতোমধ্যে ব্যর্থ হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল তারা তাদের কাগজে কলমে রাজধানীতে অফিসে বসে লিখে রেখেছে। আগামী ৭ তারিখে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এটা কোনো নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ধোঁকা দেওয়া যাবে না। গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে অপসারিত করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।’

পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘একদলীয় বাকশাল শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরশাদের সামরিক স্বৈশাসনের বিরুদ্ধে ৯ বছর খালেদা জিয়া দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। আজকে আবার মহান মুক্তিযুদ্ধের সোনালি ফসল গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই।’ 

সকালে জাতীয় স্মতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন, নিপুণ রায়সহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। বিএনপি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও রাজধানীতে শোভাযাত্রা বের করে। 

তরুণদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান

স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এএসএম মাসুদ কামাল বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে না পারলে শহীদদের আত্মত্যাগের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দিতে হবে। তবেই তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার কাজে নিবেদিত হবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতিদান দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তারা যে চিন্তা থেকে যুদ্ধ করেছেন তা আমাদের ধারণ করা উচিত। তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন। অন্যথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।’ 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও বাংলাদেশ যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশও শ্রদ্ধা জানান। জাতীয় পার্টি (জাপা), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, বাসদ, জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।

নানা কর্মসূচি

গতকাল শনিবার ঢাকা পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় মহান বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি গান স্যালুট প্রদর্শন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি রেজিমেন্ট। 

সকালে গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও একটি ডাটাকার্ড অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোহাম্মদপুরের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ফলমূল ও মিষ্টান্ন পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিকালে বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া এতে বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট নাগরিকরা অংশ নেন।

রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন ও পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ বাহিনীর সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটগুলোয় ব্যাপক কর্মসূচি পালন করে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে বিজয় শোভাযাত্রা করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ও পল্টন এলাকায় শোভাযাত্রা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। 

ছায়ানটের সাংস্কৃতিক আয়োজন ‘আমাদের এই পতাকা’ অনুষ্ঠান ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে। স্বাধীনতার ৫২ বছরপূর্তি উপলক্ষে শিশুদের দিয়ে বায়ান্ন ফুট ক্যানভাসে দেশের চিত্র আঁকার আয়োজন করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি। সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। এতে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন স্বনামধন্য কবি নির্মলেন্দু গ‍ুণ। বাংলা একাডেমি আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বই মেলার আয়োজন করে। জাতীয় জাদুঘর ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়’ শীর্ষক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। 

জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সন্ধ্যায় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতেই ‘স্বাধীনতা শব্দটি কী করে আমাদের হলো’ সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে একাডেমির নৃত্যদল। ‘হরেক রঙ্গের মানুষ’ পরিবেশন করে নৃত্যদল কালারস অফ হিল। 

বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নেয় সংগীত কলেজ, ঢাকা সাংস্কৃতিক দল, দীক্ষা নৃত্যদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ।

নতুন প্রজন্মের কাছে পতাকা তুলে দিলেন মুক্তিযোদ্ধারা 

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যাতে নতুন প্রজন্ম বহন করে সামনের বাংলাদেশ গড়ে, সেই প্রত্যয় ধারণ করে নতুন প্রজন্মের হাতে দেশের পতাকা হস্তান্তর করে বিজয় উদযাপন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। 

শনিবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-এর আয়োজনে ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে পতাকা হস্তান্তর করেন মুক্তিযোদ্ধারা। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধের গান, নৃত্যানুষ্ঠান এবং পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মুহূর্ত নাটকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-এর মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। 

প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন সাভার, ধামরাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা