প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:০৯ পিএম
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৩৬ পিএম
অনুশীলনে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা
৩৬ বছরের খরা কি রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে কাটাতে পারবে আর্জেন্টিনা? এ ভাবনাতেই এখন ডুবে আছেন দলটির সমর্থকরা। সেই ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল তারা। তারপর পুরোটাই খরা।
সম্প্রতি, ২০১৪ সালে লিওনেল মেসিরা ফাইনালে উঠলেও জার্মানির কাছে হারায় অধরাই থেকে গিয়েছিল ট্রফি। এবার অবশ্য মেসির শেষ বিশ্বকাপে নতুন স্বপ্নের জাল বুনছে আর্জেন্টিনা। রবিবার রাতে ফ্রান্সকে হারিয়ে বুয়েনস আয়ার্সে উৎসবে ভাসতে চায় দেশটি।
তাই কাইলিয়ান এমবাপ্পে, আঁতোয়া গ্রিজম্যানদের থামাতে অবশ্য কোনোরকম ফাঁকফোকর রাখতে রাজি নন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। লিওনেল মেসিদের নিয়ে তিন রকম স্ট্র্যাটেজিতে অনুশীলন করিয়েছেন স্কালোনি। প্ল্যান ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’Ñসব তৈরি রাখছেন তিনি। আলাদা পরিস্থিতিতে আলাদা কৌশল। মহড়ায় এতটুকু ঘাটতি রাখেননি মেসিদের কোচ।
পাশাপাশি স্কালোনি চেয়েছেন প্রতিপক্ষ যেন তাদের আসল স্ট্র্যাটেজি বুঝতে না পারে।
শুরু থেকেই দোহার কাতার ইউনিভার্সিটি মাঠে অনুশীলন করেছে আর্জেন্টিনা। কারও চোট না থাকায় মাঠে ২৬ জনকেই পাচ্ছেন স্কালোনি। তারকা উইঙ্গার ডি মারিয়া পুরোপুরি ফিট। হলুদ কার্ডের সমস্যা কেটে যাওয়ায় ফাইনালে খেলতে বাধা নেই মার্কোস আকুনিয়া ও গঞ্জালো মন্টিয়েলের।
এদিকে সেমিফাইনালে আকুনিয়ার জায়গায় সুযোগ পাওয়া নিকোলাস তালিয়াফিকো দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ফাইনালে খেলার জোরালো দাবি জানিয়ে রেখেছেন। সব মিলিয়ে স্কালোনিকে কাল প্রথম একাদশ সাজাতে বেশ বেগ পেতে হবে।
ফাইনালের আগে স্কালোনি প্রথম ধাপের অনুশীলন করিয়েছেন ৫-৩-২ ছকে। এ কৌশলের শুরুতে তিনি মলিনা ও আকুনিয়াকে উইংব্যাক হিসেবে খেলিয়েছেন। পরে ডি মারিয়াকে তুলে নিয়ে লিসান্দ্রো মার্টিনেজকে নামিয়েছেন। ডি মারিয়া এবং লিসান্দ্রো রাইট ফ্ল্যাঙ্কের (অ্যাটাকিং থার্ডের ডান কিনারা থেকে বল ক্রস করা যাদের প্রধান কাজ) দায়িত্ব পালন করেছেন। আর মলিনা এবং আকুনিয়া প্রতীকী অর্থে এমবাপ্পেকে নজরে রেখে সতীর্থদের সহযোগিতা করতে চাচ্ছেন। এমবাপ্পের বিষয়ে সতীর্থ ডিফেন্ডারদের খুঁটিনাটি জানিয়ে দিয়েছেন ডি মারিয়াও। জুভেন্তাসে যোগ দেওয়ার আগে সাত মৌসুমে পিএসজিতে কাটিয়েছেন ডি মারিয়াও। এমবাপ্পের শক্তি ও দুর্বলতা সবটাই জানা আছে ডি মারিয়ার!
এরপর স্কালোনি খেলিয়েছেন ৪-৩-৩ ছকে। ডি মারিয়া শুরুর একাদশে থাকলেও সাধারণত এ পদ্ধতি অবলম্বন করেন আর্জেন্টিনা কোচ। এ ছাড়া ৪-৪-২ ছকেও অনুশীলন করতে দেখা গেছে আর্জেন্টিনাকে। এ ক্ষেত্রে তিনি লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে অতিরিক্ত মিডফিল্ডার হিসেবে খেলিয়েছেন।