প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:২৪ পিএম
আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের পর নায়ক হয়ে উঠেছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। তার ওপর ভর করেই বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকার শুধু গোল বাঁচানো নয়, বরং লিওনেল মেসিদের গোল করার পিছনেও নাকি ছিলেন মার্তিনেজ। বিষয়টি প্রকাশ করেছেন দলের আর এক ফুটবলার পাওলো দিবালা।
আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় পেনাল্টি নিতে গিয়েছিলেন দিবালা। সোজা শট মারেন তিনি। ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ায় গোল বাঁচাতে পারেননি তিনি। তাকে মার্তিনেজই সোজা মারতে বলেছিলেন। এমনটাই জানিয়েছেন দিবালা।
বিশ্বকাপ জেতার পরে নিজের পেনাল্টি নেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন দিবালা। তিনি বলেছেন, ‘যখন আমাকে পরিবর্ত হিসাবে নামানো হল তখন আমি জানতাম টাইব্রেকারের কথা মাথায় রেখে নামানো হচ্ছে। তাই যতটা সম্ভব শান্ত থাকার চেষ্টা করেছিলাম। আমি যখন পেনাল্টি নিতে যাই তখন বল অনেকটা দূরে ছিল। তাই বল আনতে যেতে হয়।’
সেই সময়ই মার্তিনেজের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দিবালা। তিনি বলেন, ‘মার্তিনেজ আমাকে বলেছিল, সোজা মারতে। কারণ তার আগের পেনাল্টি ওরা ফস্কেছিল। তাই মার্তিনেসের বিশ্বাস ছিল যে, লরিস যেকোনও এক দিকে ঝাঁপাবে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম লরিসের বাঁ-দিক দিয়ে মারব। সে দিকেই ও ঝাঁপিয়েছিল। কিন্তু মার্তিনেজের কথা মাথায় রেখে শেষ মুহূর্তে সোজা মারি। ও ঠিক কথাই বলেছিল।’
শুধু তাকেই নয়, বাকিদেরও মার্তিনেজ পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন দিবালা। তিনি বলেছেন, ‘টাইব্রেকার শুরু হওয়ার আগে যে, আমাদের ৫ জনের সঙ্গে কথা বলেছিল মার্তিনেজ। লরিস কোন দিকে ঝাঁপাতে পারে, ওর চিন্তাভাবনা নিয়ে নিজের মত দিয়েছিল। মার্তিনেসের পরামর্শ আমরা সব সময় মানি। কারণ, টাইব্রেকারে ওর ধারণা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিলে যায়। ফাইনালেও সেটাই হয়েছে।’
এবারের বিশ্বকাপে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছেন মার্তিনেজ। আবার সব থেকে বিতর্কিত গোলরক্ষকও তিনিই। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন। ফাইনালও তার ব্যতিক্রম নয়। টাইব্রেকার জিততে নানা রকমের কর্মকাণ্ড করেছেন মার্তিনেজ। বিশ্বকাপ ফাইনালের টাইব্রেকারের সময় ক্যামেরায় মার্তিনেজের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি ধরা পড়েছে। বিপক্ষ ফুটবলারদের মনোযোগ নষ্ট করার সব রকমের চেষ্টা করেছেন বিশ্বকাপের গোল্ডেন গ্লাভসের মালিক। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার পরেও তার অঙ্গভঙ্গি নিয়ে বিতর্ক থামছে না।