প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৩৫ পিএম
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:২১ পিএম
নিজ শহরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
কাতার বিশ্বকাপে যতই বিতর্কে জড়ান, যতই আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠুক, নিজের শহরে ফিরে নায়কোচিত সম্মান পেলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। বিশ্বকাপ জেতার পর শুক্রবার মার দে প্লাটায় ফিরেছেন মার্তিনেজ। তাকে স্বাগত জানাতে ভিড় করেছিলেন প্রায় এক লাখ মানুষ।
স্পোর্টস স্টার জানিয়েছে, ফ্রান্সের ফুটবলপ্রেমীরা মার্তিনেজের ওপর চটলেও আর্জেন্টিনা তার পাশেই রয়েছে। গত শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষককে ঘিরে ভক্তদের উচ্ছ্বাস সেটাই প্রমাণ করল। বিশ্বকাপের পর শুক্রবার নিজের শহর মার দে প্লাটায় ফিরেছেন মার্তিনেজ। তাকে দেখতে শহরের রাস্তায় নেমে এসেছিলেন প্রায় এক লাখ মানুষ। বিশ্বকাপের বিতর্কিত গোলরক্ষককে নায়কের সম্মান দিলেন তারা।
রাজধানী বুয়েনস আইরেসের দক্ষিণ দিকের এই শহরের মানুষের কাছে এত দিন নায়ক ছিলেন টেনিস খেলোয়াড় গুলেরমো ভিয়াস। বিশ্বকাপে অনবদ্য পারফরম্যান্সের পর মার্তিনেজই এখন নায়ক। তাকে স্বাগত জানাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিল শিশুরাও।
ফুটবলের জন্য ১৭ বছর বয়সে আর্জেন্টিনা ছাড়েন মার্তিনেজ। যোগ দেন আর্সেনালের অ্যাকাডেমিতে। এখন তিনি খেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের আর এক ক্লাব অ্যাস্টন ভিলায়। তাকে নিয়ে মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে উচ্ছ্বসিত মার্তিনেজ। এখনই তিনি চতুর্থবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
মার্তিনেজ বলেন, ‘শুধু আমি নই, যারা এখন খুদে গোলরক্ষক, শিশু, তারাও জাতীয় দলের জার্সিতে চারটে তারার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। এটা দুর্দান্ত ব্যাপার। একজন গোলরক্ষককে যেভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে তা ভাবা যায় না। এ রকম উচ্ছ্বাস সাধারণত স্ট্রাইকারদের নিয়ে দেখা যায়।’
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, ফাইনালে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার জয়ে বড় ভূমিকায় ছিলেন মার্তিনেজ।
তিনি বলেছেন, ‘পেনাল্টির সময় সব সময় আত্মবিশ্বাসী থাকি। জানি, মানুষ আমাকে সম্মান করে। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রাও আমাকে একই কথা বলেছে।‘ বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলেও মার্তিনেজের বিভিন্ন আচরণের সমালোচনা চলছেই।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরার পর বিজয় প্যারেডে একটি পুতুলে এমবাপ্পের মুখ বসিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মার্তিনেজ। সেই ঘটনা নিয়ে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতিকে লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফ্রান্সের ফুটবল সংস্থার সভাপতি।
ফাইনালের পর সেরা গোলরক্ষকের ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ পুরস্কার পাওয়ার পর তার ‘অশ্লীল’ ভঙ্গি নিয়েও সমালোচনা কম হয়নি। কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ের পর নেদারল্যান্ডসের কোচকেও বিদ্রূপাত্মক কথা বলেছিলেন তিনি। মার্তিনেজ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ভাবমূর্তি নিয়ে আদৌ চিন্তিত নন তিনি।