প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৫০ পিএম
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:২৯ পিএম
পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ রাজা
পদ থেকে সরানোর পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন রমিজ রাজা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নতুন চেয়ারম্যান নাজাম শেঠির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি। সেই অপরাধে রমিজের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল পিসিবি।
পোস্টসেন জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) পিসিবি চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রমিজকে। শেঠির নেতৃত্বাধীন ১৪ জনের কমিটিকে আগামী চার মাসের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেটের দায়িত্ব নিতে বলা হয়।
তার পরই ক্ষেপে যান রমিজ। একের পর এক অভিযোগ করেন নতুন কমিটির উদ্দেশে। রমিজের সেই অভিযোগের তালিকা দেখে হতবাক বনে যায় পাক বোর্ড।
তারা সাফ জানিয়েছে, রমিজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পথ খোলা রয়েছে। রমিজের দাবি অসত্য। রমিজ অভিযোগ করেছিলেন, শেঠির বিদেশযাত্রার জন্য অনেক টাকা খরচ করা হয়েছে।
সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পিসিবি জানিয়েছে, শেঠি যখন এর আগে বোর্ডপ্রধান ছিলেন তখন পাকিস্তান বিদেশে খেলত। ফলে বারবার আমিরাতসহ অন্যত্র যাতায়াত করতে হতো শেঠিকে। সে কারণেই খরচ বেশি হয়েছে। তা ছাড়া নিরাপত্তার খাতিরে বিশেষ গাড়িও দেওয়া হতো। সেই গাড়ি দেওয়া হয়েছে রমিজকেও। তাই খরচ নিয়ে অভিযোগ করার সুযোগ নেই।
রমিজ আরও বলেন, ‘বিষয়টা এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন বিশেষ কেউ এসেছেন। যিনি ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবেন। অথচ আমরা জানি এর আগে তিনি কী করেছেন। যেকোনো মূল্যে প্রচারে থাকতে চান তিনি। অথচ ক্রিকেটের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্কই নেই। জীবনে ব্যাটও ধরেননি।
মৌসুমের মাঝপথে কোচ বদল নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। মিকি আর্থারকে আনার কথা বলা হচ্ছে। সাকলাইন মুশতাক কিংবদন্তি ক্রিকেটার। প্রায় ৫০টি টেস্ট খেলেছেন। এমন একজন ক্রিকেটারের সঙ্গে এ আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।’
পিসিবির চেয়ারম্যান হিসেবে রমিজের মেয়াদ হওয়ার কথা ছিল তিন বছর। কিন্তু মাত্র ১২ মাস পরই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রমিজ আরও বলেন, ‘হঠাৎ করে ১২ মাস পরই সরে যেতে বলা হলে হতাশ লাগবেই। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে আনার জন্য এটা করা হলো। এতে ক্রিকেটের কোনো উপকার হবে না। বরং জাতীয় দল এবং অধিনায়কের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে। এ ধরনের ঘটনা একমাত্র পাকিস্তানেই ঘটে। আমি আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিষয়টি তুলব। পুরো ব্যবস্থাটাই একটা রসিকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আক্রমণের সুরে রমিজ ফের বলেন, ‘পিসিবির অফিস থেকে আমার জিনিসগুলো পর্যন্ত বের করে আনার সুযোগ দেওয়া হয়নি। যাদের ক্রিকেটের প্রতি কোনো আগ্রহ, ভালোবাসা নেই তাদের আনা হয়েছে সংবিধান ধ্বংস করে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল। একনায়কতন্ত্রের মানসিকতা নিয়ে কখনও সেরা হওয়া যায় না।’