প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:২০ পিএম
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:৫২ পিএম
মোহাম্মদ ওয়াসিমের বোলিং তোপে স্কোরবোর্ডে ১৫ রান তুলতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সিলেট সিক্সার্সের তিন ব্যাটার। নাজমুল হোসেন শান্ত ও টম মুরসের জুটিতে খেলায় ফেরে ১৭৩ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ২ রানে হারের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। মোমেন্টাম হারানোকেই ম্যাচে হারের কারণ মনে করেন খালেদ আহমেদ। বিপরীতে সিলেটের নায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর খুশি পরিকল্পনা সফল হওয়াতে।
খালেদ আহমেদ বলছিলেন- ‘যখন উইকেট পড়ে যায়, চেষ্টা ছিল আরও উইকেট নেওয়ার। তাড়াতাড়ি উইকেট নিলে হয়তো রান আরও কম হতো। চেষ্টা ছিল উইকেট নেওয়ার। কিন্তু আক্রমণাত্মক হওয়ায় ১৫ রান বেশি হয়েছে।’
খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয় বরিশালের ইনিংসে মোহাম্মদ আমিরের করা ১৭তম ওভার। খালেদের ভাষ্য, ‘ম্যাচ মূলত চলে গেছে আমিরের ওই ওভারে, পাঁচটা ডট হয় সেই ওভারে। মাত্র এক রান দিয়ে একটা উইকেটও পান আমির। তার আগ পর্যন্ত মোমেন্টাম আমাদের দিকে ছিল।’
টুর্নামেন্টজুড়ে ভালো খেলা শান্তর ৬৬ বলে ৮৯ রানে ভর করেই ১৭৩ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট। পুরো ইনিংস ব্যাটিং করে অপরাজিত ছিলেন শান্ত। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সাফল্য পাওয়ার পেছনের কারণ মনে করেন এই ব্যাটার- ‘সিচুয়েশন অ্যাডাপ্ট করে ব্যাটিং করছি। যখন পার্টনারশিপ হয়েছে, ক্যারি করেছি। উইকেট ভালো ছিল। পরিকল্পনা ছিল যেহেতু আর্লি উইকেট পড়েছে ১৪০ প্লাস যেকোনো স্কোর ভালো হবে। থিসারা পেরেরা এসে ভালো ব্যাটিং করেছে। আমরা রানটা ভালো করেছি। যে সিচুয়েশনে ছিলাম! ১৭০ কেউ আশা করে নাই। ১৪০ হলেও এনাফ মনে করত।’
চলতি টুর্নামেন্টে শান্ত এখন ফর্মে আছেন। তবে তাকে ঘিরে অহেতুক সমালোচনাও কম নয়। সেই সমালোচনা গায়ে মাখতে নারাজ শান্ত বলেন, ‘অনেকে না জেনে না বুঝে কথা বলে। টিম বা আমার প্ল্যান বা কতটুকু হার্ডওয়ার্ক করি, এটা জানে না। জানার প্রয়োজনও নাই। জেনেশুনে যদি কথা বলে তাহলে আমার মনে হয় ভালো। বলছি না সমালোচনা করা যাবে না, খারাপ খেললে অবশ্যই সমালোচনা হবে। আরেকটু ডিসেন্ট ওয়েতে হতে পারত। আমার ফ্যামিলির জন্য হয়তো ভালো হতো।’