প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:১৬ এএম
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:০১ এএম
ব্যাটিংয়ে ডেভিড মালান আর জশ বাটলারের জোড়া সেঞ্চুরিতে আসে সাড়ে তিনশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ। বোলিংয়ে কাজটা সামলেছেন জোফরা আর্চার ও আদিল রশিদ। সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ৩৪২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে ইংল্যান্ড হারলেও হোয়াইটওয়াশ এড়াল রোমাঞ্চকর জয়ে। ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ইংলিশদের ৩৪৭ রানের লক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেমেছে ৫৯ রান পেছনে।
কিমবার্লির ডায়মন্ড ওভালে ইংলিশদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে বড় লক্ষ্য পায় স্বাগতিক প্রোটিয়ারা।জবাবে রেজা হেনড্রিকস আর হেনরি ক্লাসেন ব্যাটে ভরসাও পেয়েছিল। তবে জোফরা আর্চার আর রশিদের ঘূর্ণি ২৮৭ রানেই থামিয়ে দেয় আফ্রিকাকে। শেষ ম্যাচ হারলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করেছে টেম্বা বাভুমার দল।
সাড়ে তিনশ ছুঁইছুঁই লক্ষ্যে ভালো শুরু আনে প্রোটিয়া দুই ওপেনার। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বাভুমা এদিন আনেন ২৭ বলে ৩৫ রান। তিনে নামা ভ্যান ডার ডুসেন ব্যর্থ হলেও জয়ের পথে দলকে টানছিলেন মার্করাম, ক্লাসেন। ওপেনার রেজা হেনড্রিকস ৫২ রান করে ফেরার পর ব্যর্থ হন মিলার ও মার্কো জানসেন।
শেষ দিকে সাউথ আফ্রিকা সমীকরণ এনেছিল ৬০ বলে ৭০ রান। ব্যাটিংয়ে ক্লাসেন ও পারনেল দেখাচ্ছিলেন জয়ের পথ। সেখানে তোপ দাগেন দীর্ঘদিন চোটের কারণে দলের বাইরে থাকা আর্চার। এ দুজন বাদে আরও চার প্রোটিয়াকে ফিরিয়েছেন ইংলিশ পেসার।
কোটার ৯.৪ ওভরে ৪০ রান খরচ করে নিয়েছেন ৬ উইকেট। এক দিনের ক্রিকেটে এটিই ডানহাতি ব্যাটারের ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস। আগের সর্বোচ্চ বোলিং ফিগার ছিল ২৭ রানে ৩ উইকেট। আর্চারের দিনে ঘূর্ণি দেখিয়েছেন রশিদ। ১০ ওভারে ৬৮ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে লুঙ্গি এনগিডির তোপে পড়ে ইংলিশ টপ অর্ডার। স্কোরবোর্ডে ১৪ রান জমা হতেই হারিয়ে ফেলে শুরুর ৩ উইকেট। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩৩২ রান আনেন ডেভিড মালান ও অধিনায়ক বাটলার। দুজনই পেয়েছেন ৩ অঙ্কের দেখা। ফেরার আগে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ১১৪ বলে ১১৮ রান করেন মালান। বাটলার ইনিংস সাজান ৬ চার, ৭ ছক্কায়। ১২৭ বলে খেলেন ১৩১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। পরে মইন আলীর ২৩ বলে ৪১ রানের ঝড় সাড়ে তিনশর কাছাকাছি সংগ্রহ এনে দেয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড : ৩৪৬/৭ (মালান ১১৮, বাটলার ১৩১, মইন ৪১, লুঙ্গি এনডিগি ৬২/৪, মার্কো জানসেন ৫৩/২) সাউথ আফ্রিকা : ২৮৭/১০ (ক্লাসেন ৮০, হেনড্রিকস ৫২, বাভুমা ৩৫, আর্চার ৪১/৬, রশিদ ৬৮/৩)
ম্যাচ-সেরা : জশ বাটলার।