প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:৫৮ এএম
শেষ হচ্ছে অপেক্ষার প্রহর। আজ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক এ ক্রিকেট আসর সামনে রেখে যারপরনাই রোমাঞ্চিত ও শিহরিত ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটের মহামিলন শুরুর আগে উত্তেজনা আর উন্মাদনার ভেলায় ভেসে যাচ্ছেন অধিনায়করা। পর্দা ওঠার আগে কেপটাউনের টেবল মাউন্টে ক্যাপ্টেন ডে-তে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরেছেন টুর্নামেন্টের দশ দলের দশ ক্যাপ্টেনÑ
মেগ ল্যানিং, অধিনায়ক, অস্ট্রেলিয়া
‘এখানে খেলতে পারাটা হবে দারুণ। আমরা টুর্নামেন্টে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন বুনে চলেছি। নতুন আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মেলাতে বেশ কিছুদিন কাটিয়েছি। এখানকার উষ্ণতা বেশ। উপভোগের মন্ত্রে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছি এখানে। উজ্জীবিত হয়ে আছি আমরা। বিশ্বকাপের অংশ হতে পারাটা বিশাল। এগিয়ে যেতে চাই। আশা করছি, ভালো খেলব।’
সোফি ডিভাইন, অধিনায়ক, নিউজিল্যান্ড
‘চমৎকার এক অভিজ্ঞতা। বিশ্বকাপে খেলা বিশেষ কিছুই। একই সঙ্গে দেশের প্রতিনিধিত্ব করাটা সম্মানের। বিশ্বের বাকি অংশের সামনে আমাদের সুন্দর খেলাটা প্রদর্শন করার সুবর্ণ এক সুযোগ। ক্রিকেট দুনিয়াকে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই। ক্রিকেটে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখতে চাই। বৈশ্বিক এ আসরে অনেকটা দূর এগিয়ে যেতে চাই।’
আরও পড়ুন:নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে আজ
আরও পড়ুন: খরা কাটাতে এক ম্যাচে ৪ গোল করলেন রোনালদো
সুনে লউস, অধিনায়ক, দক্ষিণ আফ্রিকা
‘দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবারের মতো মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে। দেশের এই ঐতিহাসিক ক্ষণের অংশীদার হতে পেরে আমি খুবই উত্তেজিত। ঘরের মাঠে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমরা সত্যিই আবেগতাড়িত। দেশের মাটিতে ট্রফি রেখে দিতে সব কিছুই করতে চাই। নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেব।’
নিগার সুলতানা জ্যোতি, অধিনায়ক, বাংলাদেশ
‘এখানে আসতে খুবই ভালো লাগছে। বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পেরে আমরা খুবই খুশি। আমাদের অনেকে দীর্ঘদিন ধরেই ক্রিকেট খেলে যাচ্ছে। কিন্তু এটা আমাদের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে আমরা কখনও জিততে পারিনি। তবে আমরা নিজেদের সেরা খেলাটা খেলার চেষ্টা করব। জয়-খরা কাটিয়ে ফেলতে সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’
হারমানপ্রীত কাউর, অধিনায়ক, ভারত
‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। দেশের মেয়েরা যা করেছে তাতে ভালো করার জন্য আমরা উৎসাহ পেয়েছি। জুনিয়ররা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমরা এখনও সেটা করতে পারিনি। আমাদের সবার জন্য বিশেষ এক মুহূর্ত। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দেখে দেশে ফিরে অনেক মেয়েই এখন ক্রিকেট খেলতে চাচ্ছে। তরুণীদের প্রেরণা জোগানোই আমাদের লক্ষ্য।’
বিসমাহ মারুফ, অধিনায়ক, পাকিস্তান
‘গত কয়েক বছরে আমরা দল হিসেবে উন্নতি করেছি। টুর্নামেন্টটি নিজেদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার আরও একটি সুযোগ করে দিচ্ছে। আমরা সবাই উজ্জীবিত। ভালো ফলের জন্য নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিতে যেন তর সইছে না। পুরো টুর্নামেন্টে আমরা ভালো খেলে যেতে চাই। এগিয়ে যেতে চাই আসরের অনেক পর্যন্ত।’
হিদার নাইট, অধিনায়ক, ইংল্যান্ড
‘দল হিসেবে আমাদের কাজই এখন গ্রুপ হয়ে খেলা ও গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে যাওয়া। সবার শুরুটা একই রকম হচ্ছে। নিজেদের চাওয়া সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার ধারণা রয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আপনি ঘুরে দাঁড়ানোর খুব বেশি সুযোগ পাবেন না। আমাদের মনের ফোকাসটা ঠিক সেখানেই। আমরা দুর্দান্ত কিছু করে দেখাতে চাই।’
চামারি আতাপাত্তু, অধিনায়ক, শ্রীলঙ্কা
‘শ্রীলঙ্কায় অনেক তরুণীরা ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে। কারণ তারা আমাকে ও আমাদের দলকে দেখে শিখছে। দেশ থেকে যেভাবে সমর্থন পেয়েছি সেটা সত্যিই খুব স্পেশাল কিছু। আমরা ভক্ত-সমর্থকদের ভালোবাসার প্রতিদানটা ফিরিয়ে দিতে চাচ্ছি। ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিতে চাই আমরা। দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়ে আমরা শিহরিত।’
হেইলি ম্যাথুস, অধিনায়ক, ওয়েস্ট ইন্ডিজ
‘ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আমরা দেশীয় সিরিজ খেলেছি। এটা সত্যিই খুব কাজে দিয়েছে। যেখানে আমাদের খেলা সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সহায়ক হয়েছে। এখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলাটা আমাদের জন্য সুবর্ণ এক সুযোগ। কেননা এমন এক জায়গায় বৈশ্বিক আসর খেলতে যাচ্ছি, যেখানে গত কয়েক বছর ধরে প্রচুর খেলেছি।’
লরা ডেলানি, অধিনায়ক, আয়ারল্যান্ড
‘আয়ারল্যান্ডে গত বিশ্বকাপে আমরা খেলতে পারিনি। এরপর গত তিন-চার বছরে আমাদের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। পূর্ণকালীন চুক্তি পেয়ে আমরা ফুলটাইম অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু বিশ্বের সেরা দলগুলোর বিপক্ষেই আমাদের খেলতে হচ্ছে। দল হিসেবে আমরা গড়ে উঠছি ও উন্নতি করছি। কঠিন চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে এখন।’