প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:০৩ এএম
টানা দুই শিরোপার সামনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিপিএলের ফাইনালে আজ বৃহস্পতিবার মুখোমুখি সিলেট স্ট্রাইকার্সের, দল হিসেবে যারা চলতি টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ছিল বেশ ধারাবাহিক। এই ফাইনালের আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক ইমরুল কায়েস এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে জানালেন ফাইনাল নিয়ে, প্রতিপক্ষ নিয়ে তার ভাবনা। সেই ভাবনার চুম্বকাংশ তুলে ধরা হলো প্রতিদিনের বাংলাদেশ পাঠকদের জন্য।
>> প্রতিপক্ষ হিসেবে সিলেট
Ñঅবশ্যই ভালোভাবে দেখছি, কারণ তারা যেভাবে টুর্নামেন্টটা শুরু করেছে, ফাইনালে এসেছে, তাদের ক্রেডিট দিতেই হবে। তারা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। বিশেষ করে তাদের কিছু স্থানীয় খেলোয়াড় আছে যারা ভালো ফর্মেও আছে। সিলেটকে এলিমিনেটর ও প্রথম রাউন্ডে হারিয়েছি আমরা, তারা অবশ্যই শক্তিশালী দল। তবে আমাদের ভালো ক্রিকেটই খেলতে হবে, তাহলেই জেতা সম্ভব।
>> ফাইনালে অজেয় কুমিল্লা
Ñপ্রথম তিন ম্যাচ হারের পর আমরা যেভাবে কামব্যাক করেছি, সেটা অবশ্যই আমাদের খেলোয়াড়দের ক্রেডিট দিতে হবে। কারণ সবাই অনেক পরিশ্রম করেছে, সবাই চেয়েছে অন্তত ফাইনালটা যেন খেলি। এখন ফাইনালে এসেছি, আশা করি আমরা সেই একইভাবে এগোবো। ফাইনালকে আরেকটা ম্যাচ হিসেবে দেখেই এগোবো। ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে ইনশাল্লাহ ভালো ফল আসবে।
>> অধিনায়ক মাশরাফিকে সামলানো
Ñদেখুন, প্রত্যেক দলেরই একজন অধিনায়ক থাকেন, প্রত্যেক দলেরই একটা পরিকল্পনা থাকে, আমার দলটাকে কীভাবে চালাব। মাশরাফি ভাই বা ওনাদের দলটা ফাইনালে এসেছে, আমাদের দলেরও একটা পরিকল্পনা আছে, আমাদের সবারই ইচ্ছাটা আছে যে আমরা কীভাবে ফাইনাল ম্যাচটা খেলব। তো, ওইরকম যে ভিন্ন কিছু হবে, ভিন্ন চিন্তাভাবনা হবে, তা আমার মনে হয় না।
>> বোলিং ডিপার্টমেন্ট নিয়ে
Ñআমাদের দলের সেটআপটা হয়ে গেছে। আগে ব্যাট করি, পরে ব্যাট করি, ম্যাটার করে না। কারণ, আমরা কাকে কখন বোলিং করাই এই বিষয়টা ম্যাটার করে। তো শিশির থাকলেই যে প্রথমে বোলিং করতে হবে, বা পরে বোলিং করে, পুরো বিষয়টা আমাদের ওপর নির্ভর করে। দুই দলেরই বোলিং শক্তিশালী। মাঠের সিদ্ধান্তটা মাঠেই হবে ।
>> ফাইনালে কত রান নিরাপদ?
Ñআমি তো অধিনায়ক হিসেবে ওদের ৫০ রানে অলআউট করে দিতে চাইব। যদি আগে ব্যাট করি, তাহলে তো চাইব রানটা যেন ২০০’র বেশি রান করি। চাওয়াতেই তো আর সব কিছু হবে না, মাঠে গিয়ে খেলতে হবে। ফাইনাল হবে মানসিক খেলা, কারণ হাই ভোল্টেজ খেলায় যে যত বেশি নার্ভ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, যে যত বেশি নিজেকে শান্ত রাখতে পারবে, সেই দল তত বেশি ভালো করবে। আপনি ২০০ রান করেও জিতবেন এমন কোনো গ্যারান্টি নেই, আপনি সে বিষয়টা কীভাবে সামলাবেন, সেটাই হলো আসল বিষয়? আপনি দেখবেন, শেষ বিপিএল ফাইনালে আমরা ১৮ ওভার পর্যন্ত খেলাটা হেরেই গিয়েছিলাম, শেষ দুই ওভারে জিতেছি। তো এটা ডিফাররেন্ট বল গেম।
>> শুরুতে টানা তিন হারের পর মনোভাব
Ñকুমিল্লা তো প্রথম ম্যাচে প্রত্যেক বছরই হারে। আপনি ইতিহাস দেখেন, শুধু গত বছর প্রথম ম্যাচটা জিতেছিল। আর নাফিসা আপু তো একটু আবেগি। উনি এসে মন খারাপ করেন। তো তাকে আমরা বুঝিয়েছি যে টুর্নামেন্টটা তো কেবল শুরু হলো, এখনও ঘাবড়ানোর কিছু নেই, অনেক খেলা বাকি। ক্রিকেটে অনেক নাটকীয়তা হয়, এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। দেখবেন আমরা ফাইনালই খেলব। খেলছিও তো।
>> ফাইনালে সিলেটকে পেয়ে খুশি?
এই দলকে আমরা দু’বার ১২০-এর ভেতর অলআউট করেছি। প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচেও আমরা ১৪০+ করেছিলাম, ওদের ১৮ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে, উইকেট হারায় ৬টা। আমাদের বোলিং তাদের ব্যাটিংয়ে আটকে দেওয়ার জন্য ভালো। কালকে ভিন্ন কিছুও হতে পারে, কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে তো আমার চাওয়া থাকবেই, একটা দলকে যখন আপনি দুবার অলআউট করবেন কম রানে, তখন সে আত্মবিশ্বাসটা থাকে।