লিভারপুলের ২ গোলের জবাবে রিয়ালের ৫ গোল

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচটি ছিল অ্যানফিল্ডে। ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে আধিপত্যও দেখিয়েছে লিভারপুল। মৌসুমে ধুঁকতে থাকা দলটি খেলার ১৪ মিনিটের মাঝে এগিয়ে গিয়েছিল ২ গোলে। ইংলিশ ক্লাবের এগিয়ে যাওয়াকে তুবড়ি মেরে উড়িয়ে পাঁচ গোলের প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ইংলিশ ডেরা থেকে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা ৫-২ গোলে জিতে এগিয়ে আছে শেষ আটের পথে।

আগামী ১৫ মার্চ রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হবে পরের ম্যাচ। অ্যাওয়ে গোলের বাড়তি চাপ না থাকলেও স্প্যানিশ ডেরায় দারুণ কিছু করে দেখাতে হবে অল রেডদের। রিয়ালের মাঠে জুর্গেন ক্লপের শিষ্যদের জিততে হবে কমপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে।

মঙ্গলবার মাঝরাতে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে লড়াই৷ ম্যাচের ১৪ মিনিটের মাঝে প্রথমে ডারউইন নুনেজ, পরে মোহাম্মদ সালাহ এগিয়ে দেন অল রেডদের। মিনিট পাঁচেক পর প্রথম গোল শোধ করেন ভিনিসিয়ূস জুনিয়র৷ অ্যালিসন বেকারের বোকামোতে প্রথমার্ধেই দলকে সমতায় ফেরান ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। ইউরোপ সেরার মঞ্চে ৫৬ বছরের মধ্যে জোহান ক্রুইফের পর সবচেয়ে কম বয়সে অ্যানফিল্ডে সফরকারী দলের খেলোয়াড় হিসেবে জোড়া গোল করেন ২২ বছর বয়সী ভিনিসিয়ূস। 

অ্যানফিল্ডে আক্রমণাত্মক শুরুতে চতুর্থ মিনিটেই রিয়ালের জালে বল পাঠান নুনেজ। খেলার ১৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোহাম্মেদ সালাহ। ব্যবধান কমাতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি স্প্যানিশ জায়ান্টদের। ২১ মিনিটে বেনজেমার পাস ধরে গোল করেন ভিনি। ৩৬ মিনিটে রেকর্ড গোলটি করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণে যায় রিয়াল। ৪৭ মিনিটে পেয়ে যায় জালের দেখা। লস ব্লাঙ্কোসদের এগিয়ে নেন এডার মিলিতাও। তখনও বাকী ছিল চোট ফেরত বেনজেমার ক্যারিশমা। ৫৪ মিনিটে রদ্রিগোর পাস ধরে প্রথম গোল আদায় করেন ফরাসি তারকা। ৬৭ মিনিটে ভিনিসিয়াসের এসিস্টে জোড়া গোল আনেন ব্যালন ডি’অর জয়ী ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে রিয়াল পায় ৫-২ গোলের বড় জয়।

নাপোলির সহজ জয়

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরেক ম্যাচে ফ্রাঙ্কফুর্টের উপর আধিপত্য দেখিয়ে জিতেছে নাপোলি। আক্রমণের পসরা সাজিয়ে ৩৬ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে ইতালিয়ান ক্লাবটির। তবে পেনাল্টি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় নাপোলি। চার মিনিট পর, ৪০ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন ভিক্টর ওসিমহেন। 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে স্বাগতিকদের উপর চড়াও হয় সফরকারী দলটি। ৫৮ মিনিটে নাপোলি মিডফিল্ডার আনগোসিয়াকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন ফ্রাঙ্কফুর্ট ফরোয়ার্ড কোলো মুয়ানি। দশ জনের দলের বিপক্ষে ইতালিয়ান ক্লাবটির দ্বিতীয় গোল আসে ৬৫ মিনিটে, জিওভানি ডি লরেঞ্জোর পা থেকে। তাতেই স্বস্তির ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টারের পথে এগিয়ে যায় নাপোলি। ৩ মার্চ নিজেদের মাঠে ফিরতি লেগে ১ গোল ব্যবধানে হারলেও শেষ আট নিশ্চিত হবে নাপোলির।