প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৫০ এএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:০৫ পিএম
গ্রায়েম সোয়ান অনেকটা হুট করেই অবসরের ঘোষণাটা দিয়েছিলেন। তাতেই কপালটা খুলে গিয়েছিল মঈন আলির। অনূর্ধ্ব-১৯ টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৬ বলে সেঞ্চুরি, বয়সভিত্তিক টি-টোয়েন্টিতে মসলি অ্যাশফিল্ডের হয়ে ১৯৫ রানের ইনিংস ছিল তার, ফলে অনেক আগে থেকেই অবশ্য টপ অর্ডারের ভবিষ্যতের জন্য তাকে ভাবা হচ্ছিল। তবে সোয়ানের অবসরের ঘোষণার পর অফস্পিনটাই তার জায়গা করে দিয়েছিল ইংল্যান্ডে।
শুরুতে অবশ্য বহুদিন সমালোচকদের কাছ থেকে ‘পার্ট টাইমার’ বোলার অপবাদ সইতে হয়েছে তাকে। তবে মঈন সে সব কথার জবাবও দিয়েছেন মাঠের পারফরম্যান্স দিয়েই। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সাদা বলে অভিষেক তার, সে আসরে ইংলিশদের সবকটি ম্যাচেই মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ওয়ানডেতে যখনই সুযোগ মিলল টপ অর্ডারে, শ্রীলঙ্কার মাটিতে তাদেরই বিপক্ষে ৭২ বলে সেঞ্চুরি করে সেখানে নামটা খোদাই করে নিলেন নিজের। বছর শেষে তিন ফরম্যাটের দলেই নিয়মিত মুখ হয়ে পড়েন তিনি।
২০১৫ বিশ্বকাপে পুরো দলই ব্যর্থ হয়েছে, তবে মঈন সেখানেও আলো ছড়িয়েছেন, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১২৮ রানের ইনিংস। এরপর বদলে যাওয়া ইংল্যান্ডের নিয়মিত সদস্যও ছিলেন তিনি। ৭ নম্বরে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৩ বলে করেছেন সেঞ্চুরি, আদিল রশিদের সঙ্গে মিলে গড়েছেন স্পিনজুটি।
ইংল্যান্ড দল শেষ চার বছরে বদলে যাওয়ার ফল পেয়েছে। জিতেছে দুটো আইসিসি ইভেন্ট- ২০১৯ বিশ্বকাপ আর ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মঈন আলি সদস্য ছিলেন দুটো দলেরই। যদিও করার মতো খুব বেশি কিছু ছিল না তার। দলই যে খেলেছে বিধ্বংসী ক্রিকেট।
ওপরের সব তথ্য জানান দিচ্ছে, মঈন আলি এমন এক ক্রিকেটার যার ব্যাট হাতে যেমন প্রতিপক্ষকে শেষ করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে, সমান ক্ষমতা আছে বল হাতেও। তবে আসছে সিরিজে স্পিনার মঈন আলির ‘ফিয়ার ফ্যাক্টর’টা বহুগুণে বেড়ে যাচ্ছে উইকেটের কারণে।
সঙ্গে যোগ করুন এ ধরনের উইকেটে খেলে তার অভ্যস্ততার তথ্যটাও। মঈনের আইপিএল আর বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে, যে কারণে কন্ডিশন তো বটেই, এখানকার উইকেটও ভালোই চেনা হওয়ার কথা তার। যে কারণে ব্যাট হাতেও বাংলাদেশের হন্তারক হয়ে ওঠার যথেষ্ট রসদ আছে তার ঝুলিতে।
ইংল্যান্ড এবারও তাদের আধিপত্য জানান দেওয়ার মিশনে আছে। ২০২৩ বিশ্বকাপে চোখ তাদের, সেটা অধিনায়ক জস বাটলার বলে গেছেন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে। উপমহাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা আর এখানকার উইকেটের ধরনের কারণে আগের দুই শিরোপা জয়ের মিশনে খানিকটা নিষ্প্রভ থাকা মঈন এক অস্ত্রই হয়ে উঠবেন ইংলিশদের, তা একরকম নিশ্চিতই। তবে বিশ্বকাপ অনেক পরের বিষয়, আসছে যে সিরিজ, সেখানেও ইংল্যান্ডের অস্ত্র আর বাংলাদেশের ভয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারেন মঈন।