প্রবা প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১১:৪৬ এএম
ঢাকায় দুই ওয়ানডেতে গ্যালারিতে দর্শকদের উপস্থিতি নেহায়েত কম ছিল না। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তো শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম দেখেছে হাউসফুল দর্শকই। কিন্তু চট্টগ্রামে শেষ ওয়ানডেতে গ্যালারিতে দর্শকদের উপস্থিতি রীতিমতো বিস্ময়েরই জন্ম দিয়েছিল। ২২ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যে সেদিন সাকুল্যে ১০ হাজার মানুষও খেলা দেখতে আসেননি! শেষ ওয়ানডেতে শুরুর দিকে দর্শক এতটাই কম ছিল যে একটা সময় বাংলাদেশের সমর্থকের চেয়ে ইংলিশ ক্রিকেটভক্তই ছিলেন বেশি!
ওয়ানডে সিরিজের নিষ্পত্তি মিরপুরে দুই ম্যাচ হেরেই হয়ে গিয়েছিল, শেষ ম্যাচটা তাই ছিল দুই দলের জন্যই ‘ডেড রাবার’। হেরে বসলে ৯ বছর পর হোয়াইটওয়াশের বিষাদে পুড়তে হতো দলকে। ধারণা করা হচ্ছিল, সে কারণেই শেষ ম্যাচে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল এত কম।
তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দৃশ্যটা একেবারেই ভিন্ন। সিরিজটা শুরুই হচ্ছে সাগরিকায়। শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স টি-টোয়েন্টিতে শুভসূচনার সম্ভাবনাটাও দেখাচ্ছে বেশ। তবে পারফরম্যান্সের এমন আশ্বাসও আগ্রহের জন্ম দিতে পারছে না চট্টলাবাসীকে। সাগরিকার অদূরে বিটাক মোড়ের টিকিট বুথের চিত্র অন্তত বলছে তা-ই। গতকাল সকাল থেকে প্রথম টি-টোয়েন্টির টিকিট বিক্রি শুরু হলেও আগ্রহীদের ভিড় ছিল না তেমন। দুপুর গড়িয়ে বিকাল গড়ালেও চিত্রটা বদলায়নি তেমন।
টিকিট বিক্রি অবশ্য আজও চলবে। আজ সে চিত্রে পরিবর্তন এলে তো ভালোই, না হয় গতকালকের দৃশ্যেরই যদি পুনর্মঞ্চায়ন হয়, তাহলে আজও তৃতীয় ওয়ানডের মতো শূন্য গ্যালারিই নিয়তি হতে যাচ্ছে প্রথম টি-টোয়েন্টির।