ইন্দোরের ডি মেরিট তুলে নিতে আইসিসির কাছে বিসিসিআইয়ের আপিল

আড়াই দিনেরও কম সময়ে ফল দেখে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির তৃতীয় ম্যাচ। ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়ামে ওই ম্যাচে ৯ উইকেটের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। ওই টেস্টে কোনো ব্যাটারই খুব একটা সুবিধা করতে না পারায় ম্যাচ শেষে ইন্দোরের উইকেটকে বাজে অ্যাখ্যা দেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডস। যার সুবাদে তিনটি ডি মেরিট পয়েন্ট পায় ভারত। নিয়ম অনুযায়ী ১৪ দিনের মধ্যে আপিল জানাতে পারত ভারত। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি শেষ করে তাই করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

আরও পড়ুন: হাল্যান্ডের পারফরম্যান্স নিয়ে অভিযোগ নেই ডি ব্রুইনের

আরও পড়ুন: ‘তুমি আমাকে লম্বা সময় অপেক্ষা করিয়েছ বিরাট’

ম্যাচ চলাকালীন সময়ও ইন্দোরের উইকেট নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। পরে ম্যাচ শেষে রেফারি ক্রিস ব্রডস আইসিসির কাছে ইন্দোরের উইকেট নিয়ে প্রতিবেদন পাঠান। যাবে বলা হয়, ইন্দোরের উইকেট অতিরিক্ত শুষ্ক। বোলিং এবং ব্যাটিংয়ের মধ্যে কোন সামঞ্জস্য নেই। শুরু থেকেই স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেয়েছে।

তার ওই প্রতিবেদনের পর ইন্দোরের উইকেটকে তিনটি ডি মেরেটি পয়েন্টও দেয় আইসিসি। নিয়ম অনুযায়ী যা আগামী পাঁচ বছর বহাল থাকবে। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে আর দুটি ডি মেরেটি পেলে ১২ মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ থাকবে ইন্দোরে। এরপরও ডি মেরিট পয়েন্ট পেলে পয়েন্ট হবে ১০। তখন ওই স্টেডিয়ামে দুই বছর কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা যাবে না। কিন্তু বিসিসিআই আইসিসির দেওয়া ওই বাজে অ্যাখ্যা ও ডি মেরিট পয়েন্ট মানতে নারাজ। সেজন্য তারা আইসিসির কাছে বিষয়টি নিয়ে আপিল করেছে।

বিসিসিআই-এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইসিসির দুই সদস্যের কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এর আগে রাওয়ালপিন্ডির উইকেটকেও বাজে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল। পরে পিসিবি আপিল করায় তা তদন্ত করে প্রত্যাহার করে আইসিসি।