প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ০০:৪৭ এএম
ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশ পা রেখেছিল সৌদি আরবে। তবে সেখানে পা রেখেই জামাল ভূঁইয়ারা শুনতে পান, ত্রিদেশীয় সিরিজটা হয়ে গেছে দ্বিপক্ষী লড়াই, আসছে না ব্রুনেই। এতে অবশ্য সৌদি যাত্রাতে বাধা পড়েনি। বরং দুই ড্র নিয়ে সফরটা শেষ করেছেন জামালরা।
মদিনায় ক্যাম্পের উদ্দেশে হ্যাভিয়ের কাবরেরার দল গত ৪ মার্চ থেকে দুই দফায় ঢাকা ছাড়ে। এরপর অনুশীলন শুরু হয় ৭ মার্চ থেকে। সেখানে মাঝমাঠের কৌশল থেকে শুরু করে আরও নানা দিকেই গেছে কোচের নজর, কাজও হয়েছে বেশ। এর মাঝে দল গিয়েছিল মসজিদে নববিতে। এরপর পুরো দলকে ওমরাহ পালনও করতে দেখা যায়। তবে মূল উদ্দেশ্য ছিল মাঠের খেলাই। সেখানেও বেশ সুখস্মৃতি নিয়ে সফরটা শেষ করার রসদটা পেয়ে গেছে বাংলাদেশ।
শুরুটা হয়েছিল সৌদির স্থানীয় দল উহুদ এফসির সঙ্গে ড্র দিয়ে। দুই দলই সেদিন খেলেছে অনুশীলনের মেজাজে। ১-১ গোলের ড্র, এই ফলটা তাই গৌণ হিসেবেই দেখা হচ্ছিল। মুখ্য যে ছিল দলকে বাজিয়ে দেখাটাই, তা আর বলতে। সে কথাটা দলের ডিফেন্ডার তারিক কাজীর কথাতেই ছিল স্পষ্ট। মালাউই ম্যাচের আগে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘কদিন আগে আমরা উহুদের বিপক্ষে একটা ম্যাচ খেলেছিলাম। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ ছিল এবং আমরা কোথায় আছি, সে বিষয়ে কিছু ধারণা পেয়েছি।’
তবে মালাউইর বিপক্ষে ম্যাচটা নিয়ে দল বেশ সিরিয়াসই ছিল। প্রতিপক্ষ মালাউইও ছিল তেমনই সিরিয়াস। পরের সপ্তাহেই যে আফ্রিকান নেশন্স কাপের বাছাইপর্বে মোহামেদ সালাহর মিসরের মুখোমুখি হবে দলটি। তার প্রস্তুতি হিসেবেই বাংলাদেশের মুখোমুখি হয় আফ্রিকান দলটি।
গত বুধবার রাতে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ স্টেডিয়ামে সে ম্যাচেও ড্র করেছেন জামালরা। রুদ্ধদ্বার এই ম্যাচে ছিল না কোনো সম্প্রচারের ব্যবস্থা, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও এই ম্যাচ নিয়ে জানায়নি কিছু।
এই ম্যাচের শুরুর অর্ধটায় বাংলাদেশ গোল পায়নি, গোল হজমও করেনি। তবে ম্যাচের বয়স যখন ৭৫ মিনিট, তখনই গোল পেয়ে যায় মালাউই। তবে গোল হজম করে ভড়কে যায়নি ক্যাবরেরার দল। সমতা ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে গেছে শেষ পর্যন্ত। অন্তিম সময়ে এসে সে চেষ্টা দেখে সফলতার মুখ। বিশ্বনাথ ঘোষের গোলে বাংলাদেশ ম্যাচটা শেষ করে ১-১ ড্র নিয়ে।
সৌদি সফরের শুরু থেকেই দেখা মিলেছে এক চনমনে বাংলাদেশের। অনুশীলনে খেলোয়াড়দের হাসিমুখগুলো জানান দিচ্ছিল ক্যাম্পের ফুরফুরে মেজাজের। সেটা স্পষ্ট ছিল মালাউই ম্যাচের আগে তারিক কাজির কথায়। তিনি জানান, অনুশীলনে সতীর্থরা পরিশ্রম করছেন বেশ। নিবেদনটাও আছে তুঙ্গেই।
তারিক জানিয়েছিলেন মালাউই ম্যাচের পারফরম্যান্সটা গুরুত্বপূর্ণ খুব। তিনি জানান, ‘মালাউইর বিপক্ষে আমাদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামা জরুরি। যেভাবে আমরা অনুশীলন করেছি, সেটাই ম্যাচে টেনে নেওয়া প্রয়োজন। আমি নিশ্চিত, এই বিষয়গুলো আমাদের সিলেটের ম্যাচে কাজে আসবে।’
সে ম্যাচটায় বাংলাদেশ ড্র করেছে ১-১ গোলে। র্যাঙ্কিংয়ের ১২৪তম অবস্থানে থাকা মালাউইর বিপক্ষে এমন ড্রটা চনমনে বাংলাদেশকে দেবে বাড়তি আত্মবিশ্বাস। সৌদি থেকে আজ যখন ফিরবে দল, অর্জনের খাতাটা বেশ ভারীই থাকবে তখন। এবার কেবল সিলেট মিশন শুরুর অপেক্ষা।