প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩ ১০:৩৪ এএম
ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ব্রাদার্সের জার্সিতে সেঞ্চুরি পান সাব্বির হোসেন। তার ব্যাটে আসে ১২৫ রান। ওই সেঞ্চুরির পরও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে জয় পায়নি তার দল। হেরেছে ৫৮ রানে।
গতকাল ফতুল্লায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পায় প্রাইম ব্যাংক। প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ও শাহাদাত হোসেন দিপু মিলে গড়েন ৮৯ রানের জুটি। দিপু ৪৩ রানে ফিরলেও নাবিলের ব্যাটে আসে ৮৩ রান। দিপু ও নাবিল ছাড়া প্রাইম ব্যাংকের হয়ে মাত্র দুজন ব্যাটার নিজেদের রান ২০-এর কোটা পার করতে পারেন। আল আমিন জুনিয়র ২০ ও অলক কাপালী ২৮ রান করেন। শেষ পর্যন্ত প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২৬৮ রান। ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে ৪৯ রানে ৩ উইকেট নেন সাব্বির।
মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে ব্রাদার্সের সর্বশেষ ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মিজানুর রহমান মাত্র ৪ রানে আউট হন। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম করেন মাত্র ১৪ রান। তবে তিনে নামা সাব্বির হোসেন একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। তার ব্যাটে আসে ১২৫ রান। সাব্বির ছাড়া বাকি ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া-আসার মিছিলে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে আনিসুল ইসলাম ইমনের ব্যাটে।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে বল হাতে দাপট দেখান দুই পেসার রুবেল হোসেন ও রেজাউর রহমান রাজা। রুবেল ৫ ওভার বোলিং করে ৩৪ রানে ৫ উইকেট নেন। এ ছাড়া রেজাউর রহমান রাজা ৩০ রানে নেন ৪ উইকেট। মূলত তাদের বোলিং তোপেই আটকে যায় ব্রাদার্স।
দলকে জেতাতে না পারলেও ব্যাট কিংবা বল, দুইদিকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন সাব্বির হোসেন। ফলে তাকে ম্যাচসেরা নির্বাচিত করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। দলকে জেতাতে না পারলেও ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল ছিলেন সাব্বির।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড
প্রাইম ব্যাংক : ২৬৮/৮ (নাবিল ৮৩, দিপু ৪৩, সাব্বির ৩/৪৯)
ব্রাদার্স ইউনিয়ন : ২১০/১০ (সাব্বির ১২৫, ইমন ৪০, রাজা ৪/৩০)
ফল : প্রাইম ব্যাংক ৫৮ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা : সাব্বির হোসেন
শেখ জামালের রানের পাহাড়ে চাপা পড়ল অগ্রণী
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শেখ জামালের ৩১৭ রানের জবাবে মাত্র ১১৪ রানে থেমেছে অগ্রণী ব্যাংক, হেরেছে ২০৩ রানের বড় ব্যবধানে। শেখ জামালের হয়ে সেঞ্চুরির দেখা পান ওপেনার সাইফ হাসান। এ ছাড়া সৈকত আলী ও ফজলে মাহমুদের ব্যাটেও এসেছে বড় ইনিংস।
গতকাল বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৭ রান তোলে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল। সৈকত আলী ৭৮ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮৯ রান যোগ করেন তারা। সাইফ হাসান ১০৮ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এটি সাইফ হাসানের ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি।
সাইফ-সৈকতের বড় ইনিংসের পর ওই পথে হাঁটেন ফজলে মাহমুদ রাব্বিও। তার ব্যাটে আসে ৮০ রানের ইনিংস। মূলত এই তিনজনের ব্যাটে ভর করেই বড় সংগ্রহ পায় শেখ জামাল। শেষদিকে নুরুল হাসান সোহান ১৫ ও পারভেজ রসুলের ব্যাটে আসে ১৭ রান। তাতেই শেখ জামালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৩১৭ রান। পেসার আবু হায়দার রনি ৬৫ রানে নেন তিন উইকেট।
জবাবে শেখ জামালদের বোলারদের বোলিং তোপে আটকে যায় অগ্রণী ব্যাংক। সেঞ্চুরির পর বল হাতেও তিন উইকেট নেন সাইফ হাসান। মাত্র ১৮ রানে তিন উইকেট নেন তিনি। সাইফ হাসান ছাড়াও শফিকুল ইসলাম ও পারভেজ রসুল দুটি করে উইকেট নেন। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ২৪ রান করে করেন ইলিয়াস সানি ও জাহিদ জাভেদ। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আজিম নাজির কাজী ১৫ রান করেন। এই তিন ব্যাটার ছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের আর কোনো ব্যাটারই নিজেদের রান দুই অঙ্কের কোটা পার করতে পারেননি। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর বল হাতে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা সাইফ হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শেখ জামাল : ৩১৭/৫ (সাইফ ১০৮, রাব্বি ৮০, রনি ৩/৬৫)
অগ্রণী ব্যাংক : ১১৪/১০ (ইলিয়াস সানি ২৪, জাভেদ ২৪, সাইদ ৩/১৮)
ফল : শেখ জামাল ২০৩ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা : সাইফ হাসান