সাকিবের ভরসা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট

আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে আইরিশদের বিপক্ষে দাপুটে জয়। এরপরই দলকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ ওপরে উঠেছিল। এমন সময়ই মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখে ফেলেছে বাংলাদেশ। আইরিশদের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায় শুরু করা বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙেছে তাসের ঘরের মতো। জয়টাও হয়েছে হাতছাড়া। দলের হারের পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দলের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। সরাসরি বলেছেন, ‘বড় দল হতে হলে এভাবেই খেলতে হবে।’

আরও পড়ুন - ক্র্যাশ ল্যান্ডিংয়ে হলো না হোয়াইটওয়াশ

গতকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। প্রথম থেকেই মারমুখী ভঙ্গিমায় থাকা টাইগাররা কেউই উইকেটে থিতু হতে পারছিলেন না। স্রোতের বিপরীতে শামীম পাটোয়ারী ৫১ রান করলেও বাকিরা ছিলেন যাওয়া-আসার মিছিলে। বেশিরভাগ ব্যাটারই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন বড় শট খেলতে গিয়ে।

আইরিশদের ৭ উইকেটে হারের পর পুরস্কর বিতরণীর মঞ্চে সাকিব বলেন, ‘আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি। এটা ঘটে। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেললে কখনোই ফল পক্ষে আসবে, কখনও আসবে না।’ বড় দল হতে হলে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে, সেজন্য বদল আসেনি পরিকল্পনায় সেটাও পরিষ্কার করেছেন। ‘যদি বড় দল হতে হয়, তাহলে এভাবেই খেলতে হবে।’- যোগ করেন সাকিব।

ইংল্যান্ড সিরিজের পর থেকে দল ভালো খেলছে বলে মনে হয় সাকিবের। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড সিরিজের পর থেকে ভালো খেলছি। আমরা একই ধাঁচে খেলছি। প্রথম দুই ম্যাচে ভালো খেলেছি। আজকে (গতকাল) আয়ারল্যান্ডের দিন ছিল।’

সীমিত ওভারের সিরিজ শেষ। এবার আইরিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াইটা সাদা পোশাকে। সাকিবের লক্ষ্য এখন লাল বলের ওই লড়াইয়ে, ‘আমরা এখন টেস্ট খেলব। দেখা যাক সেখানে কী হয়।’

সাকিবের আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের অন্যতম ভরসা ছিল পেসার তাসকিন আহমেদ। তিন ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা ক্রিকেটার তিনি। সিরিজ সেরা তাসকিন বিশ্বাস রাখেন নিজের ওপর। ‘উইকেট ফ্ল্যাট হোক বা না হোক, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখি। নিজের প্রসেসের মধ্যে থাকি।’- বলেন তাসকিন। পাশাপাশি পেস বোলিং ইউনিট বিশ্বের সেরা হয়ে উঠবে এমন বিশ্বাস নিজের মধ্যে পোষণ করেন। বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট নিয়ে বিশ্বাসী তাসকিনের ভাষ্য, ‘আমি নিজেই নিজেকে সমর্থন করি। দলকে জেতানোর চেষ্টা করি। সর্বশেষ কয়েক বছরে গ্রুপ হিসেবে কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা নিজেদের ওপর আস্থা রাখতে পারি। বিশ্বের সেরা পেস বোলিং ইউনিট হতে চাই।’