ম্যানচেস্টার সিটির জন্য চ্যালেঞ্জটা যেখানে শিরোপাদৌড়ে টিকে থাকার, লিভারপুলের জন্য সেটা আজ ছিল সেরা চারের আশা বাঁচানোর। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে জম্পেশ লড়াই হলে, প্রতিপক্ষের মাঠে দাপট দেখিয়ে শুরুতে এগিয়ে গেল জুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। এরপর উল্টে গেল পাশার দান। গুনে গুনে অলরেডদের জালে চার চার বার বল পাঠালো সিটিজেনরা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে টেবিলের শীর্ষ আর্সেনালের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমাল সিটি, অন্যদিকে টিকে থাকার মঞ্চে ধস দেখে সর্বনাশ ডেকে আনল লিভারপুল।
আন্তর্জাতিক বিরতির পর প্রিমিয়ার লিগে ফেরার ম্যাচটি দুদলের জন্যই ছিল বড় পরীক্ষার। সেই পরীক্ষায় জয়টি সিটির। মোহাম্মদ সালাহ শুরুর দিকে অলরেডদের এগিয়ে দেওয়ার পর বিরতির আগে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান জুলিয়ান আলভারেজ। বিরতির পর ডি ব্রুইনা, ইলকে গুন্দোগান এবং গ্রিলিশ আনে তিন গোল। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি ৪-১ ব্যবধানে জিতে নেয় সিটি।
লড়াই ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বলেই বুঝি ভয় ছিল লিভারপুলের। সেই শঙ্কায় খানিকটা সম্ভাবনা দেখিয়েছিল দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আর্লিং হালান্ডের অনুপস্তিতি। কিন্তু সিটি স্ট্রাইকারের অভাব বুঝতে দেননি ব্রুইনারা। ম্যাচে বল দখল, গোলে শট থেকে আক্রমণ—প্রায় প্রতি বিভাগে ধুঁকেছে অল রেডরা। ৬৮ শতাংশ বল দখলে রেখে ১১ বার গোলে শট নেয় সিটি, লক্ষ্যে থাকে আটটি। অলরেডরা সেখানে একবার মাত্র গোলমুখে রাখে শট। বাকি সময়ে গার্দিওলার শিষ্যদের আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিল সফরকারীরা।
আরও পড়ুন:
এগিয়ে যাওয়া ছাড়াও ইতিহাদে ছিল প্রতিশোধের লড়াই। লিগের প্রথম লেগে রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ে সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল লিভারপুল। সেদিন মোহাম্মদ সালাহর একমাত্র গোল লিভারপুলকে ঘরের মাঠে ৩ পয়েন্ট এনে দিয়েছিল। এরপর সিটির কাছে এফএ কাপে হেরে বিদায় নেয় লিভারপুল। দুদলের প্রতিশোধে পরিণত হওয়া ম্যাচে মৌসুমে ধুঁকতে থাকা লিভারপুলকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে সিটি।
ইতিহাদে এদিন শুরুটা করেন মোহাম্মদ সালাহ। দিয়েগো জোতার বাড়ানো বল ১৭ মিনিটে জালে জড়িয়ে দেন মিশরের ফরোয়ার্ড। তিন মিনিট পর সমতায় ফিরে যাচ্ছিল সিটি। তবে দারুণ দক্ষতায় রুবেন দিয়াস ঠেকিয়ে দেন ব্রুইনাকে। ২৭ মিনিটে জ্যাক গ্রিলিশের অ্যাসিস্টে সমতায় ফেরান জুলিযান আলভারেজ। বিরতির আগ পর্যন্ত আর কোনো দল জালে পাঠাতে পারেনি বল।
দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম আট মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ম্যাচে চালকের আসনে বসে সিটি। ম্যাচ শুরুর বাশি বাজার ৫৩ সেকেন্ডের মাঝে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন ডি ব্রুইনে। ডান দিক থেকে মাহরেজের শটে বলে হাত ছোঁয়ালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি আলিসন বেকার। খানিক পর কাছ থেকে শটে ব্যবধান বাড়ান ইলকে গুন্দোগান। ৭৪ মিনিটে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন গ্রিলিশ। ডি ব্রুইনেকে পাস দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। ফিরতি বল পেয়ে ডান পায়ের শটে ঠিকানায় পাঠান ইংলিশ ফরোয়ার্ড। ম্যাচেও আসে ৪-১ ব্যবধানের বড় জয়।
আর্সেনালের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর ম্যাচকে সাত বছরের মাঝে সেরা বলেছেন সিটি কোচ গার্দিওলা, ‘শুরুর মিনিট থেকে ৯৩ মিনিট পর্যন্ত পারফেক্ট ছিলাম, এমনকি গোল খাওয়ার পরও। আমরা সত্যিই দুর্দান্ত খেলেছি। লিভারপুল সবসসময় আমাদের পথের কাটা হয়ে দাড়ায়। কিন্তু আমরা ভালো করেছি। গত সাত বছরের মাঝে এটি আমার সেরা পারফর্ম্যান্স।’
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.