প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ১০:৫২ এএম
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ১১:০৩ এএম
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন গত শুক্রবার। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে এই শাস্তি নেমে এসেছে তার ওপর। তবে সাবেক ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলুর অভিমত, শাস্তিটা শুধু সোহাগকে দিলেই হবে না, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বেরিয়ে আসবে আরও বড় কিছু।
আরও পড়ুন : এখনই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বাফুফে
গতকাল সোনালি অতীত ক্লাবের ইফতার অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। শুক্রবার যে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক, তার কারণে গোটা দেশের ফুটবলই কলঙ্কিত হয়েছে- জানান হাসানুজ্জামান।
তার কথা, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে, কলঙ্কময়, কালিমাময় একটা অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে গতকাল, এই পহেলা বৈশাখের দিনে। পরবর্তী প্রজন্ম এর কারণে আমাদের ক্ষমা করবে না। ফুটবলের কর্ণধার হিসেবে যিনি বসে আছেন, তিনি এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন ফুটবলার ছিলেন, তার হাত ধরেই গত ১৫ বছরে ফুটবলটা যেখানে চলে গেছে, সেটাকে অহঙ্কার হিসেবে নিয়ে উনি যেভাবে এই মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন, আমি মনে করি কাল ফিফা প্রমাণ করে দিয়েছে যে বাংলাদেশের ফুটবলে দুর্নীতির কারণে তোমাদের শাস্তি দেওয়া হলো।’
তবে এই শাস্তি কেবল সোহাগের ওপর এসেছে; হাসানুজ্জামানের অভিমত, এই শাস্তি পুরো বোর্ডেরই প্রাপ্য। তার কারণ হিসেবে সাবেক এই ফুটবলার জানান, ‘এই শাস্তি থেকে আমাদের ফুটবলের আজকে যে পেইড সেক্রেটারি, আবু নাঈম সোহাগকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, আমি মনে করি এটা যথেষ্ট নয়। কারণ সেক্রেটারি তার কমিটির প্রধান যারা, দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা, নির্বাচিত যারা, তাদের কথার বাইরে কোনো কিছু করতে পারেন না, তিনি পারেন, এটা বুঝালে তো আমি বুঝব না! সেক্রেটারি তার প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, বোর্ড মেম্বারদের কথারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। তাদের খুশি রাখতেই যত রকম অনিয়ম দুর্নীতি, সব ধরনের নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। আমার মতে, শাস্তিটা শুধু সোহাগকে দিলে হবে না...’
পুরো বিষয়টিকে এখন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তদন্তের অধীনে আনার দাবি জানান সাবেক এই তারকা ফুটবলার। তিনি বলেন, ‘আমি তো মনে করি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দেশের খেলার অভিভাবক। তারা অনেক কিছু করতে পারে। তারা যদি সঠিকভাবে তদন্ত করে, তাহলে শুধু সোহাগ নন, গত ১৫ বছর ধরে যারা বাফুফের দায়িত্বে আছেন, যারা ফেডারেশন পরিচালনা করছেন; তারাও এই শাস্তির আওতায় আসবেন।’
আবু নাঈম সোহাগ ফিফার শাস্তির আওতায় এসেছেন। তবে হাসানুজ্জামান জানালেন তাকে আইনের আওতায় আনার কথা। তার ভাষ্য, ‘আমি আপনাকে বলেছি, শুধু প্রেসিডেন্ট নন, যত ভাইস প্রেসিডেন্ট আছেন, তারাও এই দায় এড়াতে পারেন না। আমি আপনাকে দায়িত্ব নিয়ে বলছি, যদি সেক্রেটারিকে আইনের আওতায় আনা হয়, তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তাহলে সব কিছু পরিষ্কার বেরিয়ে আসবে। সেক্রেটারি ‘বলির পাঁঠা’ নন, আমি চাকুরে হিসেবে বাফুফেতে কাজ করছি, আমাকে আমার সভাপতি, সহ-সভাপতি, সদস্যরা যা বলবেন, তা করতে আমি বাধ্য। সেটা করতে গিয়ে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে, সেটার শাস্তি তিনি পেয়েছেন, তার মানে এই নয় যে প্রেসিডেন্ট বা সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা এই শাস্তির আওতার বাইরে চলে যাবেন। পরিশেষে এটা ঐশ্বরিক বিচার হয়েছে বলে আমি মনে করি।’