প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৩ ২২:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৮ মে ২০২৩ ২২:৪৬ পিএম
গত ১৪ এপ্রিল বাফুফের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় ফিফা। এর পরই ১০ জনের তদন্ত কমিটি বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, যাদের ওপর ন্যস্ত করা হয় ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করার দায়িত্ব।
আরও পড়ুন : ফের নারী কেলেঙ্কারিতে জড়ালেন টাইগার উডস
বাফুফের সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফেডারেশনেরই কর্তাদের নিয়ে গড়া তদন্ত কমিটির কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল শুরু থেকে। সঙ্গে যোগ হয় কমিটি থেকে দুইজনের পদত্যাগও। সেই ১৭ এপ্রিল তদন্ত কমিটি গঠন হলেও তার কাজ শুরু হয়নি এতদিনে। মাঝে জানানো হয়, ৩০ দিন নয়, কাজ শুরুর ৩০ ‘কার্যদিবস’-এর মধ্যে জমা দিতে হবে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট। সেই ৩০ দিন শুরু হয়েছে অবশেষে। গতকাল বাফুফে ভবনে বসেছিল তদন্ত কমিটির প্রথম সভা।
তদন্ত কমিটি কাজ শুরুর আগেই আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও মহিউদ্দিন আহমেদ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। তার ওপর গতকাল এই সভায় উপস্থিতি ছিল না কমিটির আরও তিন সদস্যের। ‘হারাধনের দশটি ছেলে, রইলো বাকি পাঁচ’- পরিস্থিতিটা এমনই দাঁড়িয়েছিল শেষমেশ।
তদন্ত কমিটির কাজের পরিধি কতটুকু হবে, সেটা বাফুফে সভাপতি ছেড়ে দিয়েছিলেন কমিটির সদস্যদের ওপরই। ফিফার তদন্ত রিপোর্টের বিষয়গুলোর ওপরই তদন্ত হবে আবার, নাকি তারও আগে থেকে, সেটা নির্ধারণ করতে হতো তদন্ত কমিটিকেই। গতকাল সভায় নির্ধারিত হয়েছে তা। ফিফার প্রতিবেদনের ওপরই আবার চলবে তদন্ত। ‘ভবিষ্যতে যেন এমন না হয়’ সে কারণে এই তদন্ত।
গতকাল বাফুফে ভবনে সভা শেষে কাজী নাবিল বলেন, ‘ফিফা রিপোর্ট চ্যালেঞ্জ নয়। আপনারা দেখবেন আমাদের তদন্ত কমিটির নাম ফিফা কর্তৃক আনীত অভিযোগের অধিকতর তদন্ত কমিটি। ফিফা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অবশ্যই যৌক্তিক কারণ আছে বলেই করেছে। আমরা এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখব। সেখান থেকে কী কী আমাদের শিক্ষণীয় ভবিষ্যৎ পথচলায় যেন এমন কোনো কিছু না হয়।’
তদন্তের শুরুতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কাগজগুলো নিয়ে বসেছে কমিটি। সেখানে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও আরও অনেকের নাম ছিল, আলোচনা হয়েছে সে বিষয়েও। নাবিলের কথা, ‘ফিফা রিপোর্টে যে কজনের নাম এসেছে তাদেরকে একে একে ডেকে আমরা এসব বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলব। এ ছাড়া অন্য কাউকে যদি তদন্তের স্বার্থে কথা বলার প্রয়োজন বোধ হয় তাদেরকেও অনুরোধ করব আমাদের সঙ্গে এসে কথা বলার জন্য।’ আবু নাঈম সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হবে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে নাবিল জানান, ‘প্রয়োজনবোধে’ আনা হতে পারে।
তদন্তে কারও অসহযোগিতার আঁচ পেলে সেজন্যও ব্যবস্থা নেবে বাফুফে। নাবিল বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারব কে সহযোগিতা করছে, কে করছে না। যদি অসহযোগিতার কোনো ধরনের নিদর্শন পাই, সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’