প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৩ ০৮:০২ এএম
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কাজটা যে সহজ হবে না তা ভালোই জানা ছিল পেপ গার্দিওলার। লক্ষ্যটা তাই জয় নয়, ছিল রিয়ালকে আটকে রাখা। সে খেলায় লেটার মার্কই তুলেছে ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবলাররা। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে সিটির আগ্রাসী ফুটবলে বরং চাপে ছিল রিয়ালই। সেই চাপ কাটিয়ে উঠে ভিনিসিয়ুসের গোলে। যদিও রিয়ালকে নিজেদের মাঠে জয় পেতে দেয়নি সিটি। ডি ব্রুইনার গোলে ম্যাচ জিইয়ে রাখল সিটি। তাতে প্রথম লেগ শেষে সমানে সমান দুদল।
প্রতিপক্ষের ডেরায় এদিন শুরু থেকেই রিয়ালকে চেপে ধরে গার্দিওলা শিষ্যরা। সেই চাপ অবশ্য ভালো ভাবেই সামাল দিয়েছে রিয়াল রক্ষণ। সিটির একের পর এক আক্রমণ সামলে আক্রমণে উঠেছে রিয়ালও। আর তাতেই কাজ হয়েছে। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ভিনির গোলে ম্যাচে এগিয়ে যায় রিয়াল। তার আগে অবশ্য প্রথমার্ধের পরোটা সময়ই রিয়ালকে চাপে রেখেছিল সিটি। প্রতিপক্ষের চাপ সামলে একবারই ঠিকঠাক আক্রমণে উঠতে পেরেছিল রিয়াল ফুটবলাররা। আর সেটিই তারা কাজে লাগিয়েছে দারুণভাবে। এই গোলের পর প্রথমার্ধে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ফের আক্রমণে যায় সিটি। প্রথমার্ধের মতো এবারও সিটি ফুটবলারদের আটকে দিচ্ছিল রিয়াল। এভাবেই এগুচ্ছিল ম্যাচ। তবে গোলের খুদা সিটির ছিলই। ৫২ মিনিটে রিয়াল ডি-বক্সে ঢুকে গোলের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন ডি ব্রুইনা। কিন্তু বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দারুণভাবে স্বদেশি মিডফিল্ডারকে ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া। এবারও সমতায় ফিরতে পারেনি সিটি।
খানিক পর ৫৫ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন হালান্ড। কিন্তু হালান্ডের শটকে রক্ষণের জাদু দেখিয়ে থামিয়ে দেন ডেভিড আলাবা। এরপর ৬৭ মিনিটে আর ভুল করেনি সিটি। ডি-বক্সের বাইরে ইলকাই গুন্দোয়ানের কাছ থেকে পাওয়া বল বিদ্যুৎ গতির শটে জালে জড়িয়ে দলকে সমতায় ফেরান ডি ব্রুইনা। এরপর ম্যাচে লিড নিতে আক্রমণে উঠে করিম বেনজেমা। পোস্টের কাছাকাছি জায়গা থেকে নেওয়া বেনজেমার হেড দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন এদেরসন। শেষ দিকে এক হাতে চুয়ামেনির আরেকটি প্রচেষ্টা ফেরান সিটি গোলরক্ষক। তাতেই প্রথম লেগ শেষ হয় ১-১ সমতায়। আগামী বুধবার ইতিহাদে দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল। যাকে বলা হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের অলিখিত ফাইনাল।