প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ মে ২০২৩ ১৮:৪০ পিএম
আপডেট : ১১ মে ২০২৩ ১৯:০২ পিএম
ব্রাজিলের লিগ পর্যাযের ফুটবলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। ব্রাজিলিয়ান লিগের অন্তত ১৩টি ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উঠেছে সাতজন পেশাদার খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে। সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের বড় ধরনের শাস্তি হতে যাচ্ছে।
দেশটির আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মোট ১৩টি ফুটবল ম্যাচ ফিক্সিং করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর মাঝে আটটি ম্যাচ গত বছর ব্রাজিলিয়ান লিগের। ব্রাজিলের বিখ্যাত তিন শীর্ষস্থানীয় ক্লাব স্যান্টোস, এস্পোর্টে ক্লাব জুভেন্টুড ও কুইয়াবার কয়েকজন খেলোয়াড়ের দিকেও উঠেছে সন্দেহের তীর। ইতোমধ্যে অন্তত পাঁচজন অভিযুক্ত ফুটবলারকে বহিষ্কার করেছে স্ব স্ব ক্লাব। বার্তা সংস্থা রয়টার্স দাবি করছে, অভিযুক্ত ফুটবলাররা মুখ বন্ধ রেখেছেন। এমনকি কয়েকজন ফুটবলার সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও নিজেদের সরিয়ে রেখেছেন।
আরও পড়ুন: পিএসজি ডাকলে মরিনহোকে খুঁজেও পাবে না
নিষিদ্ধ পাঁচ ফুটবলার হলেন—পেদ্রিনিও (অ্যাটলেটিকো মিনেইরো), ব্রায়ান গার্সিয়া (অ্যাটলেটিকো মিনেইরো), রিচার্ড (ক্রুজেইরো), ভিতর মেন্দেজ (ফ্লুমিন্সে) ও নিনো পারাইবা (আমেরিকা)। গত বছর ব্রাজিলিয়ান লিগে খেলেছেন এই পাঁচ ফুটবলার, তাদের পারফরম্যান্স নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম।
ধারণা করা হচ্ছে, দেশের ফুটবলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপরাধে ‘সর্বোচ্চ শাস্তি’ হতে পারে তাদের
ফিক্সিং এড়াতে তদন্তে নেমে গত এপ্রিলে ব্রাজিলের ছয়টি প্রদেশ ও ১৬টি শহরে ব্যবসায়ী ও খেলোয়াড়দের বাসায় অভিযান চালায় কর্তৃপক্ষ। এরপর উঠে এসেছে পেলে-নেইমারদের দেশের ফুটবলের কালো অধ্যায়। রয়টার্স জানিয়েছে, ব্রাজিলে ২০১৮ সালে খেলাধুলায় জুয়া বৈধ করার পর এটিই সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি হতে পারে।
অভিযুক্ত ফুটবলারদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত হবে কি না, সেই বিষয়ে আইনজীবীরা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। বিবৃতিতে তারা বলেছিলেন, মোট ১৬ জনকে আদালতের সামনে দাঁড়াতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশের ফুটবলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপরাধে ‘সর্বোচ্চ শাস্তি’ হতে পারে তাদের।