× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সুপার লিগে বাংলাদেশের সুপার সাফল্য

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৩ ১০:০০ এএম

সুপার লিগে বাংলাদেশের সুপার সাফল্য

আন্তর্জাতিক ওয়ানডেকে ‘প্রাসঙ্গিক’ করে তুলতে ২০২০ সালে সুপার লিগের প্রচলন করে আইসিসি। শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, এটা হবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব। ফরম্যাট অনুযায়ী আইসিসির পূরণ সদস্য ১২ দেশ ও নেদারল্যান্ডসের সুপার লিগের অধীনে ২৪টি করে ওয়ানডে খেলার কথা। যদিও ১৩ দলের মধ্যে ৮টি ছাড়া বাকিরা পূর্ণ করতে পারেনি ওই শর্ত। তার আগেই তাদের নিশ্চিত হয়েছিল বিশ্বকাপ। ফলে বাকি ম্যাচগুলো তারা আর খেলেনি। বিশ্বকাপ আগেই নিশ্চিত হলেও বাংলাদেশ ওই শর্ত পূরণ করেছে। পাশাপাশি বড় বড় দলকে টপকে বাংলাদেশ তিনে থেকে শেষ করেছে সুপার লিগ।

বড় বড় ক্রিকেটীয় পরাশক্তিকে হারিয়ে বাংলাদেশ সুপার লিগের শীর্ষ চারে থাকবে। শুরুর আগে অনেকেই হয়তো তা ভাবতে পারেননি। শেষমেশ অকল্পনীয় কাজটিই করেছেন তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানরা। তিন বছর জুড়ে চলা সুপার লিগে ২৪ ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সÑ ১৫ জয়, ৮ হার ও একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত। তাতে বাংলাদেশের সংগ্রহ মোট পয়েন্ট ১৫৫। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট বাংলাদেশের সমান। নেট রানরেটে পেছনে থাকায় বাংলাদেশ তিনে। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ০.৯৭৬ নেট রানরেটের বিপরীতে বাংলাদেশের ০.২২০। বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের ওপরে অবস্থান করছে শুধু নিউজিল্যান্ড। সুপার লিগে তারা ১৬ জয়ের বিপরীতে হার ৫টি ও পরিত্যক্ত হয়েছে ১ ম্যাচ। ১৬৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা।

সুপার লিগে ২৪ ম্যাচের কোটা পূর্ণ করতে পারেনি ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা খেলেছে ২১টি করে ম্যাচ। আফগানিস্তান সবচেয়ে কম ১৫ ম্যাচ খেলেছে। সবচেয়ে বেশি আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ বাতিল হয়েছে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান দল আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ বাতিল করেছিল। ভারত-পাকিস্তান আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ খেলার সময় বের করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া তালেবান শাসনের অজুহাতে আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ খেলেনি।

সুপার লিগে সব ম্যাচ না খেলেও এই পাঁচ দল সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে। উল্টোদিকে ২৪ ম্যাচ খেলেও বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঘরের মাঠে হারিয়ে সুপার লিগে শুরু হয় বাংলাদেশের যাত্রা। একে একে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ৬ সিরিজের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বাংলাদেশ গড়েছিল ইতিহাস। সুপার লিগের সুবাদে পাঁচ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সুযোগ আসে টাইগারদের সামনে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকাসহ দেশের বাইরে সুপার লিগের অধীনে জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডকে হারায়। সুপার লিগে নিজেদের দ্বিতীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে খেলেছিল বাংলাদেশ। ওই সিরিজে এক ম্যাচেও জয়ের স্বাদ পায়নি। ৮ সিরিজের মধ্যে একমাত্র ওই সিরিজেই হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল তামিমের নেতৃত্বাধীন ওয়ানডে দল।

দেশের বাইরে সুপার লিগের অধীনে ১২ ওয়ানডেতে তামিম-সাকিবদের পরিসংখ্যান ছিল ৭ জয়, ৪ হার ও ১ ম্যাচ পরিত্যক্ত। দেশের মাটিতে খেলা ১২ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৮ ম্যাচে। হেরেছিল ৪ ওয়ানডে। বিদেশের মতো দেশের মাটিতেও একটি হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। সুপার লিগের শেষ হোম সিরিজে ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজ জিততে ব্যর্থ হয়েছিল। ইংল্যান্ড সেই সিরিজ জেতে ২-১ ব্যবধানে।ww

সুপার লিগের ৮ সিরিজের মধ্যে দুটি হাতছাড়া হয়েছিল বাংলাদেশের। বাকি ৬ সিরিজই নিজেদের করে নিয়েছে। তাতেই সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের তিনে থেকে বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ। যদিও অধিনায়ক তামিম ইকবালের চাওয়া ছিল সেরা চারে থেকে শেষ করার। সুপার লিগে দারুণ সময় কাটানো বাংলাদেশের প্রত্যাশা এখন বিশ্বকাপে ভালো কিছুর।

দলগত সাফল্যের পাশাপাশি সুপার লিগে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত অর্জনের খাতাটাও ভারী। সুপার লিগের সেরা ১০ বোলার ও ব্যাটারের তালিকায় আছেন চার বাংলাদেশি ক্রিকেটার। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল সুপার লিগে দলের হয়ে খেলেছেন সব ম্যাচ। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই একমাত্র সব ম্যাচের একাদশে ছিলেন। এই সময়ে ৩৪.০৪ গড়ে করেন ৭৮৪ রান। সুপার লিগে সেরা ব্যাটারদের তালিকায় সাতে তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে তার রান সবচেয়ে বেশি। দশে থাকা মুশফিকুর রহিম তামিমের চেয়ে তিন ম্যাচ কম খেলেছেন। ৪৪.৪১ গড়ে তার রান ৭৫৫। অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ব্যাটে এসেছে ৩৬.৪১ গড়ে ৬১৯ রান, বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তৃতীয় স্থানে থাকা লিটন দাস ২৮.৪৭ গড়ে করেন ৬৫৫ রান।

সুপার লিগের সেরা বোলারদের তালিকায় বাংলাদেশিদের মধ্যে সবার ওপরে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ছয়শর বেশি রান করা সাকিব ২০ ম্যাচে নেন ৩১ উইকেট। সুপার লিগে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া সাকিবের অবস্থান ছয়ে। ডানহাতি অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ ২৩ ম্যাচে ৩০ উইকেট নিয়ে আছেন ৯ নম্বরে। সাম্প্রতিক সময়ে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে নানা সমালোচনা হচ্ছে। তিনিই সুপার লিগে টাইগারদের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ২০ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ২৭ উইকেট। দারুণ ফর্মে থাকা তাসকিন আহমেদ ১৮ ম্যাচে নিয়েছেন ২৬ উইকেট, যা বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ব্যাটিং- বোলিংয়ে শীর্ষ দশের শুরুটা বাংলাদেশিদের দিয়ে হয়নি। তবে উইকেট কিপিং ও গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে সেরা দশের শুরুটা বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের দিয়ে। সুপার লিগে ২১ ম্যাচে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো মুশফিক সবচেয়ে বেশি ৩১ ডিসমিসাল করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা টম লাথামের ডিসমিসাল সংখ্যা ২৯টি। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪টি করে ক্যাচ নেন লিটন দাস ও মেহেদি মিরাজ। দুজনই যৌথভাবে শীর্ষে আছেন। লিটন ও মিরাজকে ছোঁয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিলেন ভারতের শিখর ধাওয়ান। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে তার ক্যাচসংখ্যা ১৩টি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা