প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩ ১১:১৯ এএম
আপডেট : ২১ মে ২০২৩ ১১:২৫ এএম
প্রথমবারের মতো গতকাল অনুষ্ঠিত হয় ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ( কোয়াব) সাধারণ বার্ষিক সভা ও কাউন্সিল। ক্রিকেটাররা সুযোগ পেয়েছেন তাদের নতুন নেতৃত্ব গঠন করার। শুধু তাই নয়, দেশের ক্রিকেটে অবদান রাখা ব্যক্তিদের হাতে সম্মাননা তুল দেয় সংগঠনটি।
আরও পড়ুন : কোয়াব আবার খোয়াব দেখাল
মোট ২৯ জন ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা। এই তালিকায় আছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। এ ছাড়া আছেন ওপারে পাড়ি জমানো ক্রীড়ালেখক জালাল আহমেদ চৌধুরীও।
দেশের ক্রিকেটের প্রথম মহাদেশীয় কোনো টুর্নামেন্ট আসে মেয়েদের হাত ধরে। ওই শিরোপা জয়ের জন্য বোর্ড সভাপতি হিসেবে সম্মাননা পান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এ ছাড়া দেশের ক্রিকেটে অপরিসীম অবদানের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার, মুক্তিযোদ্ধা ও বিসিবির প্রধান ম্যাচ রেফারি এএসএম রকিবুল হাসান।
বিসিবির মরণোত্তর সম্মাননা পেয়েছেন জালাল আহমেদ চৌধুরী। সাবেক ক্রিকেটার, কোচ ও ক্রীড়ালেখক ছিলেন তিনি। এ ছাড়া কোয়াবের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক বোর্ড পরিচালক আফজালুর রহমান সিনহা ও সাবেক আম্পায়ার নাদির শাহকেও দেওয়া হয়েছে মরণোত্তর সংবর্ধনা।
জাতীয় দলে অবদান রাখার জন্য কোয়াবের সম্মাননা পেয়েছেন পঞ্চপাণ্ডব মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ছেলেদের পাশাপাশি এগিয়ে যাচ্ছে নারীদের ক্রিকেটও। সেখানে অবদান রাখার জন্য দলের দুই ক্রিকেটার সালমা খাতুন ও ফারজানা হক পিংকিকে সম্মাননা দিয়েছে কোয়াব।
বাংলাদেশের ক্রিকেট বদলে গেছে ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি জয়ের কল্যাণে। দেশের ক্রিকেটের বাঁক বদলে রেখেছিল বড় ভূমিকা। সেখানে অবদান রাখার জন্য দলের পক্ষে সম্মাননা নেন আইসিসি ট্রফিজয়ী দলের অধিনায়ক আকরাম খান।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ধারাভাষ্য কক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতিনিধিত্ব করছেন আতহার আলী খান। বাংলাদেশের সেরা এই ধারাভাষ্যকারকে তাই ডাকা হয় ভয়েস অব বাংলাদেশ নামে। তাকেও সম্মাননা স্মারক তুলে দিয়েছে কোয়াব।
ক্রিকেটারদের উন্নতিতে বড় ভূমিকা রাখেন তাদের কোচেরা। নিজেদের সমস্যায় বারবারই খালেদ মাহমুদ সুজন ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাছে যান বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। তাদেরও সম্মাননা দিয়েছে কোয়াব। ক্রিকেটার-কোচের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি হিসেবেও বাংলাদেশিরা আছেন অগ্রগণ্য।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভূমিকা রেখে সম্মাননা পেয়েছেন নিয়ামুর রশিদ রাহুল, শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকত ও মাসুদুর রহমান মুকুল। দেশের ক্রিকেটকে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাওয়ানো অনূর্ধ্ব-১৯ দলকেও দেওয়া হয়েছে সম্মাননা। সেই সম্মাননা দলের হয়ে নেওয়ার কথা ছিল দলটির অধিনায়ক আকবর আলীর। তিনি না থাকায় ওই সম্মাননা বুঝে নিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
এ ছাড়া দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ভূমিকা রাখায় সম্মাননা পেয়েছেন নয়জন ক্রিকেটার। তারা হলেন- তুষার ইমরান, নাঈম ইসলাম, জিয়াউর রহমান, অলক কাপালি, রাজিন সালেহ, জহুরুল ইসলাম অমি, মার্শাল আইয়ুব, এনামুল হক জুনিয়র ও সৈয়দ রাসেল।