প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৩ ২২:০৩ পিএম
দীর্ঘ ১১ বছর পর হয়েছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভা ও কাউন্সিল। পুরোনো কমিটিতে থাকা নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও দেবব্রত পাল ফের দায়িত্ব পেয়েছেন। ফের দায়িত্বে আসা দুর্জয়-দেবব্রত কমিটি ঠিকঠাক কাজ করতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান সবাই। কারণ, ক্রিকেটারদের সংগঠনের পাশাপাশি বিসিবিতেও আছে তাদের সংযোগ। দুর্জয় বিসিবি পরিচালক আর দেবব্রত বিসিবির বেতনভুক্ত ম্যাচ রেফারি। দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই স্বার্থের দ্বন্দ্ব দেখলেও ফিকা সভাপতি লিসা স্টালেকারের চোখে সেটা উহ্য।
গত রবিবার বাংলাদেশে আসেন ফিকা সভাপতি লিসা স্টালেকার। সংগঠনটির প্রথম নারী সভাপতি বাংলাদেশে এসে বৈঠক করেছেন কোয়াবের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও। বৈঠকের পর আজ রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই জানান, কোয়াব নেতারা জড়িত থাকলেও সেটা স্বার্থের দ্বন্দ্ব হবে না। কোয়াব নেতারা সঠিক ব্যক্তি বলেই সেটা হচ্ছে বলে মনে করেন লিসা।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে সঠিক ব্যক্তি বাছাই করতে হবে। দুই পক্ষের একসঙ্গে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দিনশেষে খেলোয়াড়দের সংগঠন ও বোর্ড একই উদ্দেশ্যে কাজ করে। সবাই চায় খেলাটা ছড়িয়ে পড়ুক। যোগ্য ব্যক্তি থাকলে এটা বিষয় নয়।’
‘এটা ফিকার চ্যালেঞ্জ নয়। বোর্ডগুলো চায় ক্রিকেটাররা দলের হয়ে খেলুক। আমরাও চাই খেলাটা আন্তর্জাতিকভাবে আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবকে তাদের যাত্রাপথে সাহায্য করতেই এসেছেন লিসা। নিজের বাংলাদেশ সফরের উদ্দেশ্য নিয়ে বলেন, ‘অনেক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দারুণ করছে। কোয়াব সেই পথে আসে। এটাই আমার বাংলাদেশে আসার একমাত্র কারণ। শেখার পাশাপাশি কোয়াবকে সাহায্য করতে ও সমর্থন দিতে এখানে এসেছি।’
বাংলাদেশে এসে কোয়াবের পাশাপাশি ফিকার বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা বলতে হয়েছে লিসা স্টালেকারকে। আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ফুটবলের মতো ক্রিকেটারদের চুক্তিবদ্ধ করলে ফিকার কাজ কী হবে, সেটা নিয়ে কথা বলেন, ‘আমরা আইসিসির সঙ্গে কাজ করি। আইসিসি বোর্ডের সঙ্গে। দেখা যাক কী হয়। তখন বলা যাবে কীভাবে কী হবে।’ তবে সেটাকে ফিকার জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন না তিনি, ‘এটা ফিকার চ্যালেঞ্জ নয়। বোর্ডগুলো চায় ক্রিকেটাররা দলের হয়ে খেলুক। আমরাও চাই খেলাটা আন্তর্জাতিকভাবে আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক।’ তবে যাই হোক না কেন, ক্রিকেটারদের পক্ষেই সব সময় থাকতে চায় ফিকা। এই নিয়ে লিসার ভাষ্য, ‘দিনশেষে ফিকা ক্রিকেটারদের সংগঠন। তাদের মাধ্যমেই চলে। আমাদের কাজ যেকোনোভাবে ক্রিকেটারদের সাহায্য করা।’
আরও পড়ুন: আক্ষেপ শুনিয়ে নাপোলি ছাড়ছেন স্পালেত্তি
ফিকা সভাপতি নিজে ছিলেন অস্ট্রেলিয়া নারী দলের অধিনায়ক। ছেলেদের মতো নারী ক্রিকেট সমানতালে এগিয়ে যাওয়ায় খুশি, ‘নারী ক্রিকেটাররা খেলে ভালো থাকার মতো আয় করতে পারছে। আমি যখন খেলতাম, খেলার পাশাপাশি অন্য কাজ করতে হয়েছে। এটা স্বীকার করতে হবে, আরও এগিয়ে যেতে হবে।’ নারী ক্রিকেটারদের জন্য ভবিষ্যতে সুযোগ আরও বাড়বে বলে আশাবাদী, ‘আমরা চাই পরিধি আরও বাড়বে। নারী আইপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বাড়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে লিসা স্টালেকার বলেন, ‘এটা ছোট সফর ছিল। এখানকার ক্রিকেট অবকাঠামো সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশ ক্রিকেট সম্পর্কে আরও ভালো বুঝতে পেরেছি।’