প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩ ২৩:৩৬ পিএম
আপডেট : ২৬ মে ২০২৩ ২৩:৩৮ পিএম
ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে আবাহনী আর মোহামেডান। সেটা আগামী মঙ্গলবার। তার ঠিক তিন দিন আগে একই ভেন্যুতে, প্রায় একই সময়ে যখন লিগের লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই দল, তখন ফাইনালের পোশাকি মহড়ার কথা না চাইলেও চলে আসে।
আরও পড়ুন : নরম্যান্ডের ত্যাগ স্বীকার
তবে যে দুই দল একে অন্যের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী, তাদের মুখোমুখি লড়াই আবার অন্য কোনো ম্যাচের পোশাকি মহড়া হয় কী করে? আবাহনী কোচ মারিও লেমোস কিংবা মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদ দুজনের কথাতেই বিষয়টা ছিল স্পষ্ট, তিন দিন পরের ফাইনালের কথা ভেবে ছাড় দিতে রাজি ছিলেন না কেউই! ম্যাচে হলোও তাই, কেউ কাউকে ছাড় দিল না। ম্যাচটা শেষ হলো ১-১ সমতায়।
শেষ কিছুদিনে মোহামেডান খেলছে বেশ আক্রমণাত্মক ফুটবল। ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে এই আক্রমণের মন্ত্রেই তো হারিয়েছিল বসুন্ধরাকে! সে একই মন্ত্রে আবাহনীকেও হারানোর চেষ্টায় ছিল মোহামেডান। শুরু থেকে চাপে রেখেছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের। আবাহনীও পাল্টা জবাব দিচ্ছিল প্রতিআক্রমণে। তবে ভাগ্যের ছোঁয়ায় মোহামেডান বেঁচে-বর্তে ফেরে ম্যাচের ২৩ মিনিটে, ক্রসবারে লেগে ফেরে হৃদয়ের শট।
বিরতির একটু আগে সুলেমান দিয়াবাতে ফাউলের শিকার হন আবাহনীর বিপদসীমায়, মোহামেডান পায় পেনাল্টি। স্পটকিক থেকে সেই দিয়াবাতেই গোল করে এগিয়ে দেন দলকে।
দ্বিতীয়ার্ধেও মোহামেডান আর আবাহনী দুই দলই লড়েছে পাল্লা দিয়ে। দানিয়েল কলিন্দ্রেস সুযোগ হাতছাড়া করেছেন গোলের, দিয়াবাতেও সুযোগ হারিয়েছেন ব্যবধান বাড়ানোর।
৭৯ মিনিটে কলিন্দ্রেসের কল্যাণেই স্পটকিক পায় আবাহনী। প্রতিপক্ষ বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি যায় আবাহনীর পক্ষে। সিদ্ধান্তটা নিয়ে খানিকটা উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয়েছে দুই দলের মধ্যে। তবে শেষমেশ মোহামেডান সেটা মেনেছে। সে স্পটকিক থেকেই গোল করেন কলিন্দ্রেস, খেলায় ফেরে সমতা।
সেই সমতা ম্যাচ শেষের আগে ভাঙেনি আর। ফলে ম্যাচটা শেষ হয় ১-১ ড্র নিয়েই। এই ড্রয়ের ফলে লাভ হয়েছে মোহামেডানের। টেবিলের চারে থাকা শেখ রাসেল যে গেছে হেরে! এই ম্যাচের এক পয়েন্ট তাদের তুলে দিয়েছে টেবিলের তিনে, তাদের অর্জন ২৩ পয়েন্ট। আর আবাহনী ১৭ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে থাকছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানেই।