প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩ ১১:০৯ এএম
‘খেলার ধরন পাল্টাতে না পারলে খেলোয়াড়ওই পাল্টে দাও’, শুভমন গিলের ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট নিয়ে এমনটি বলেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। কেকেআর শুভমনকে ছেড়ে দিয়েছিল, কলকাতা ছেড়ে এসে শুভমনও পাল্টে গিয়েছিল। অ্যাংকরের ভূমিকা থেকে বেরিয়ে খেলেছিলেন ক্যামিও ইনিংস। চলতি মৌসুমে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ধারাবাহিক ছিলেন শুভমন। করেছেন আসরের সর্বোচ্চ রান। আছে তিনটি শতক। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পুরস্কারের পাশাপাশি তাই তার হাতেই উঠেছে আরও তিনটি পুরস্কার।
আহমেদাবাদে সোমবার বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনালে গুজরাটকে ৫ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। ফাইনালেও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন গিল, ধোনির বিচক্ষণতায় স্ট্যাম্পিং হওয়ার আগে ২০ বলে করেছেন ৩৯ রান।
আইপিএল সেরা হওয়াটা বড় বিষয়। এটার মানে কঠোর পরিশ্রম আমাকে সঠিক দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে
আসরে ১৭টি ম্যাচে ৫৯.৩৩ গড়ে গিল সংগ্রহ করেছেন ৮৯০ রান। ১৫৭.৮০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করে ৪টি হাফ-সেঞ্চুরির পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ৩টি সেঞ্চুরি। আসরজুড়ে ৮৫টি চারের মারসহ ছক্কা হাঁকান ৩৩টি। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের স্বীকৃতি ‘অরেঞ্জ ক্যাপ’ তাই তার মাথায়। মোস্ট ভ্যালুয়েবল ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছেন গুজরাটের ওপেনার। হয়েছেন গেম চেঞ্জার অব দ্য সিজনও। এছাড়া নিজের করে নিয়েছেন সর্বোচ্চ চার মারার কীর্তি।
আরও পড়ুন: আইপিএলের শিরোপা জিতল চেন্নাই
চার পুরস্কার জেতা গিল সঠিক দিকেই হাঁটছেন বলে মনে করছেন, ‘আইপিএল সেরা হওয়াটা বড় বিষয়। এটার মানে কঠোর পরিশ্রম আমাকে সঠিক দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। আমরা ফাইনাল জিততে পারিনি। তবে ম্যাচটা দুর্দান্ত ছিল।’
আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর পুরস্কার জিতেছেন গুজরাট পেসার মোহাম্মদ শামি। ১৭ ম্যাচে ২৮ উইকেট শিকার করে। সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন যশ্বসী জয়সওয়াল। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেটে খেলা ক্রিকেটারের পুরস্কার নিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১৮৩.৪৮ স্ট্রাইকরেটে ১৪ ম্যাচে করেছেন ৪০০ রান। পাওয়ার প্লেয়ার অব দ্য সিজন নির্বাচিত হয়েছেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস। ক্যাচ অব দ্য সিজন নির্বাচিত হয়েছেন রশিদ খান। ফেয়ার প্লে অব দ্য সিজন নির্বাচিত হয়েছেন আজিঙ্কা রাহানে।