প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩ ১৯:১৭ পিএম
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩ ১৯:৩০ পিএম
সবশেষ ২০০২ জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে পেরেছিল ব্রাজিল। তারপর প্রতিবারই বিশ্বমঞ্চ থেকে সেলেসাওরা ফিরেছে একরাশ হতাশা নিয়ে। কাতার বিশ্বকাপে নেইমার-রিচার্লিসনদের নিয়ে আশার পারদও জমেছিল ‘এবার কিছু করবে ব্রাজিল’। কিন্তু সেই আশার ফুল কুঁড়ি হয়ে ওঠেনি। কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে যাত্রা ভঙ্গ হয়েছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। হতাশায় মোড়া বিশ্বকাপের পরবর্তী সময়েও হালে পানি পাচ্ছে না ব্রাজিল। ছয় মাস হতে চলল এখনও কোচ নির্ধারণ করতে পারেনি দলটি।
আরও পড়ুন - রাফায়েলা বললে, ব্রাজিলের ক্লাবে খেলবেন নেইমার
কিন্তু পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের এমন অবস্থা থেকে আমূল বদলে দিতে পারে একজন আদর্শ কোচ। আর সেটা খুব শিগগিরই হবে বলে আশাবাদী উইলিয়ান বর্জেস দা সিলভা। ৩৪-বর্ষী ব্রাজিলিয়ান তারকার মতে, নতুন কাঠামোর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দল। তাতেই আসবে সাফল্য, ব্রাজিলের ষষ্ঠ শিরোপাও বটে!
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা এবং ভিনির সম্মানে চলতি মাসে গিনি ও সেনেগালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। এই ম্যাচগুলোর জন্য শক্তিশালী দল বাছাই করেছে তারা। সেখানে না থাকা উইলিয়ান দিয়েছেন জাতীয় দল নিয়ে মত, ‘২০১৮ বিশ্বকাপে ফাইনালে খেলা ও শিরোপা জেতার ব্যাপারে খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ২০২২ বিশ্বকাপে ভেবেছিলাম ব্রাজিল ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার এবং শিরোপার দাবিদার, কিন্তু সেটাও হয়নি। তাই এটা বলা কঠিন ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয় কাছাকাছি নাকি দূরে।’ চেলসির সাবেক উইঙ্গারের মতে, নতুন একজন কোচ পাল্টে দেবে দৃশ্যপট- ‘আমার মনে হয় ব্রাজিল এখন একটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, তারা একজন কোচ এবং খেলোয়াড় পরিবর্তনের জন্যও অপেক্ষা করছে।’
বিশ্বকাপের পর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান ব্রাজিলের কোচ তিতে। এরপর থেকে নতুন কোচের খোঁজে ব্রাজিল। শোনা যাচ্ছিল নেইমারদের দায়িত্ব নেবেন হোসে মরিনহো, কখনও জিনেদিন জিদানের নাম। সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তির নাম। তবে উইলিয়ানের মতে, দেশি-বিদেশি কোচ বিষয় নয়, একজন আদর্শ কোচই ব্রাজিলকে দেবে নতুন রূপ- ‘অনেকেই বলে কোচ বিদেশি হওয়া উচিত, আবার অনেকের মতে কোচ ব্রাজিলিয়ান হওয়া উচিত। আমি মনে করি ব্রাজিলিয়ান বা বিদেশি, এমন একজন কোচ নির্বাচন করতে হবে যিনি দলকে সাহায্য করবেন। তার কাজ হবে দলকে মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করা, যা হলো বিশ্বকাপ জয়।’