× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

৫৮-তে সুইং অব সুলতান

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৩ ১০:৩০ এএম

আপডেট : ০৪ জুন ২০২৩ ১০:৩৭ এএম

৫৮-তে সুইং অব সুলতান

নব্বই দশকে ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, সাঈদ আনোয়ার, আমির সোহেল, ইনজামাম-উল-হক, ইজাজ আহমেদরা আতঙ্ক ছড়িয়েছেন ক্রিকেট দুনিয়ায়। পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে আলাদা করে তুলেছিলেন এসব তারকা ক্রিকেটার। ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জেতার পর সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তান হয়ে ওঠে বড় শক্তি।

আরও পড়ুন : আশায় আছেন আশরাফুল

সেই শক্তির মূল স্তম্ভ ছিলেন ওয়াসিম আকরাম। ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বোলারদের একজন গতকাল পেরিয়েছেন ৫৭ বছর। ৫৮ বছরে পা রাখা ‘সুইং অব সুলতান’ খ্যাত পেসার এখনও পাকিস্তানের হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সেরা অবস্থানে আছেন।

ইমরান খানের দলের প্রধান অস্ত্র ছিলেন তখনকার ২৯-বর্ষী আকরাম। ১৯৬৬ সালের ৩ জুন জন্ম নেওয়া আকরাম বিশ্বকাপ ফাইনালে ৩ উইকেট আর ১৯ বলে ৩৩ রান করে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে পাকিস্তানের শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। পুরো বিশ্বকাপেই আকরাম ছিলেন দুর্দান্ত। ৯ ম্যাচে ১৮.৭৮ গড়ে নিয়েছিলেন ১৮ উইকেট।

ফাইনালে পরপর দুই বলে ইংল্যান্ডের অ্যালান ল্যাম্ব আর ক্রিস লুইসকে ফিরিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের দিকে। এরপর তো ইতিহাস। অথচ এমন এক পেসারের ক্রিকেটার হওয়ার কথাই ছিল না, আকরাম হতে চেয়েছিলেন টেবিল টেনিস তারকা।

প্রথম শ্রেণির কোনো ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছাড়াই টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল আকরামের। দুর্দান্ত গতি, বাউন্সার, সুইং, অবিশ্বাস্য ইয়র্কার ও দুর্দান্ত অ্যাকশনে তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের এক অনন্য পেসার।

২০ বছর আগে ক্রিকেট ছাড়লেও ২২ গজের কীর্তি এখনও তাকে স্মরণীয় করে রেখেছে। পাকিস্তানের হয়ে এখনও শীর্ষ উইকেটশিকারি তিনি। পুরো ক্রিকেট বিশ্বে এখনও দ্বিতীয় অবস্থানে সুলতান অব সুইং।

ক্রিকেটার হওয়ার জন্য নিজের আত্মজীবনী ‌‘ওয়াসিম’-এ লিখেছেন, ‘লাহোরে বসবাস ছিল আমাদের। বাবা ছিলেন খুচরা যন্ত্রপাতি বিক্রেতা। বাবা-মায়ের চিন্তা ছিল শুধুই আমাদের পড়াশোনা নিয়ে। তাই যত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সম্ভব তা দিয়ে একটা ভালো স্কুলে ভর্তি করালেন। ১২ বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করি নানাবাড়িতে। আমার বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছিল। স্কুলে সব ধরনের খেলাই খেলতাম। কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ জন্মায় যখন ক্লাস নাইনে উঠি।’

এরপর পথচলা ক্রিকেটে। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে পাকিস্তানকে দিয়েছেন অনেক কিছু, জিতিয়েছেন বিশ্বকাপ। ৪৬০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৯১৬ উইকেট নিয়েছেন আকরাম। ৩১ বার বনেছেন ফাইফার। ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি হয়েছিলেন ম্যাচের সেরা। ৮ নম্বরে নেমে করেছেন অপরাজিত ২৫৭ রান।

১৯৮৪ সালে প্রতিভা অন্বেষণের জন্য একটি ট্রায়ালের আয়োজন করা হয়েছিল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। সেখানে অংশ নেন আকরাম। তার বোলিং দেখে মুগ্ধ হন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক-ব্যাটার জাভেদ মিয়াঁদাদ। এরপরই তিনি আকরামকে সুযোগ দেওয়ার দাবি তোলেন। সুযোগ পেয়েও যান ওই বছরেই।

পাকিস্তান দলে মাত্র ১৮ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয়ে যায় আকরামের। এরপর পথচলা শুরু। ২০০৩ সালে ১৮ বছরের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানেন আকরাম। এখনও ক্রিকেটের সঙ্গে আছেন তিনি, পিএসএলে কোচিংয়ের দায়িত্বে আছেন সুইং অব সুলতান।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা