প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩ ১১:৩৭ এএম
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩ ১১:৩৯ এএম
ঘরের মাটিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। অথচ খেলার সুযোগ নেই, অস্ট্রেলিয়া-ভারত ফাইনাল দেখতে হবে দর্শক হিসেবে। তবে বসে নেই ইংল্যান্ড। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পরপরই শুরু হবে ঐতিহাসিক অ্যাশেজ সিরিজ। যা নিয়ে মহা ব্যস্ত ইংল্যান্ড। ঐতিহ্যবাহী ছাইদানি ঘরে তুলতে চায় বেন স্টোকসের দল। তবে এর মধ্যেই অস্বস্তির খবর চোটে পড়েছেন স্পিনার জ্যাক লিচ। যার বদলি হিসেবেই অবসর ভেঙে পুনরায় টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে পারেন মঈন আলী, ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে এমনটাই।
কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অধীনে জ্যাক লিচই ছিলেন লাল বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ধারাবাহিক। শুধু উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রেই নয়, বরং সর্বোচ্চ ওভার করার দিক থেকেও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি সবার ওপরে রয়েছেন। এই অবস্থায় লিচের যথাযথ বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন। রেহান আহমেদ ও ম্যাট পারকিনসনরা হাত ঘুরাতে জানলেও অ্যাশেজের চাপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নন। এই অবস্থায় তাই বিবেচনা করা হচ্ছে অভিজ্ঞ মঈন আলীকে। যদিও ২০২১ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলে সাদা পোশাককে বিদায় জানিয়েছে তিনি। তবে এবার ফের ফেরানো হতে পারে তাকে।
মঈন আলী অবশ্য নিজেও ফিরতে চেয়েছিলেন টেস্টে। কদিন আগেই আইপিএল চলাকালে ইএসপিএনক্রিকইনফো-কে মঈন বলেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন টেস্ট ক্রিকেটে দেওয়ার মতো তার আরও অনেক কিছু ছিল। বোলিংও এখন আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। আসর চলাকালীন ২১.৬৬ গড়ে মোট ৯ উইকেট শিকার করেছেন মঈন।
মঈন তখন বলেন, ‘আমি অনুভব করছি গত কয়েক বছর ধরে আমি কিছু একটা মিস করছি। আমি সবেমাত্র এটি আবার ফিরে পেতে শুরু করেছি, আর সেটি হল বোলিংয়ে আমার ছন্দ। যখন আমি টেস্ট ম্যাচ খেলতাম, আমার সবসময় মনে হত, আমি শুধু সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো বোলিং করছি। তখন মনে হয়েছে এই ছন্দ আমি হারিয়ে ফেলতে পারি। তবে এখন মনে হয় সেই একই শক্তি নিয়ে বোলিং করার মানসিকতা আমার আছে। যেমনটা আমি টেস্ট ম্যাচে করতাম।’
এর পর থেকেই মঈনের কথার গুরুত্ব দিতে শুরু করে ইংল্যান্ড। যদিও আগেও গত ডিসেম্বরে পাকিস্তান সফরের জন্য মঈনকে ফেরাতে চেয়েছিলেন ম্যাককালাম। কিন্তু সেই সময় মঈন আলী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি এবং আইএল টি-টোয়েন্টি লিগের চুক্তিতে থাকায় সেই প্রস্তাবে সাড়া দিতে পারেননি। সেক্ষেত্রে এবার সেরকম কোনো বাধা নেই মঈন ও ইংলিশ ম্যানেজমেন্টের সামনে।
উল্লেখ্য, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজ শুরু হবে আগামী ১৬ জুন থেকে। প্রথম টেস্ট ম্যাচটি মাঠে গড়াবে এজবাস্টনে। পরবর্তী ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে ২৮ জুন, ৬, ১৯ এবং ২৭ জুলাই। এর আগের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড পরাজিত হয়েছিল। তাই এবার নিজেদের মাঠে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া ইংল্যান্ড।