প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৩ ১২:৩১ পিএম
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৩ ১৭:০৮ পিএম
মুমিনুল হকের শেষ দুই সেঞ্চুরির মাঝে বিরতি ২৬ মাস ও ২৬ ইনিংস। দীর্ঘ বিরতির পর মুমিনুল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। নিশ্চয় মুমিনুলের জন্য স্বস্তিদায়ক। তবে শেষ চার ইনিংসের রান নিয়ে মুমিনুলের মাঝে নেই কোনো হতাশা।
একটু আক্ষেপ আছে, সেটা ইনিংস বড় করতে না পারার। গতকাল দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, ‘এক-দুই-তিন-চার সেশন ব্যাটিং করতে না পারা নিয়ে আক্ষেপ ছিল। আলহামদুলিল্লাহ করতে পারছি, দলের কাজে এসেছে আর কিছু না।’
মুমিনুলের ২৬ ইনিংস সেঞ্চুরিহীন সময়টা বড় হয়েছে মূলত বাংলাদেশ দল কম টেস্ট খেলায়। এটাকে কখনোই অভিযোগ হিসেবে নিতে চান না। বরং মুমিনুল মানসিকভাবে ওই রকম প্রস্তুতি রেখেই খেলতে চান। তিনি বলেন, ‘আমার হাতে যেটুকু আছে ওইভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে খেলা উচিত মনে হয়।’ পাশাপাশি বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে বলেন, ‘একদিক দিয়ে এটা আমার জন্য ইতিবাচক দিক। আমি প্রস্তুতি নিতে পারি, লম্বা সময় থাকে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কোচ জেমি সিডন্সের সঙ্গে কাজ করেছেন মুমিনুল। সেখানে নিজের টেকনিকের কোনো পরিবর্তন করেছেন কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘এক মাসের মধ্যে টেকনিক পরিবর্তন করে টেস্টে খেলা খুবই কঠিন। আমি আসলে যেভাবে টেস্ট খেলি ওইভাবেই করার চেষ্টা করেছি। আমার শক্তি যেখানে তার ভেতর থাকার চেষ্টা করেছি।’
আফগানদের বিপক্ষে টেস্টে পুরো আলো নিজের দিকে টেনে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই ইনিংসেই তার ব্যাটে ছিল সেঞ্চুরি। তাকে ধন্যবাদ দিতেও পিছপা ছিলেন না মুমিনুল, ‘আলহামদুলিল্লাহ ওকে (মুমিনুল) ধন্যবাদ, দুইটা একশ করে অবদান রাখার জন্য। এটা বিরাট ব্যাপার।’ শান্তর দুই সেঞ্চুরির প্রথমটাকে এগিয়ে রাখেন তিনি, ‘প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরি মূল্যবান। কারণ ওইটাতে খেলাটার মোমেন্টাম বদলে যায়।’ শান্তর ব্যাটিং নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘শান্তর ইনিংস দেখলে খেলা অনেক সহজ মনে হয়। নিজেরও মনে হয় ওভাবেই খেলি। কিন্তু আমার ওভাবে খেলা কঠিন। শান্ত-লিটন দুজনের খেলা দেখতেই অনেক ভালো লাগে। শান্ত খারাপ বলটা বাউন্ডারি করে। এই গরমে যেভাবে খেলছে, দুইটা সেঞ্চুরি অনেক বড় অর্জন।’
শান্তর পাশাপাশি দারুণ পারফর্ম করেছেন বাংলাদেশ দলের পেসাররা। তাদের প্রশংসাও করেছেন সংবাদ সম্মেলনে। আফগানদের বিপক্ষে নিজের ফর্মে ফেরায় অধিনায়কত্বের চাপ নেই বলেও বিশ্বাস করেন মুমিনুল, ‘অধিনায়কত্ব না থাকলে একটা সুবিধা হয় এই যে এত এত কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। খালি ব্যাটিংটাতে মনোযোগ দিলেই হয়।’ মুমিনুলের ফর্ম ফিরে আসুক, সেটাই চান দেশের সব ক্রিকেটপ্রেমী। আফগানদের বিপক্ষে মুমিনুলের সেঞ্চুরির ধারাবাহিকতা পরের সিরিজেও থাকুক।