প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৩ ২২:০৯ পিএম
আপডেট : ২৪ জুন ২০২৩ ২২:১২ পিএম
ঐতিহ্য ও গৌরবের লড়াই বলেই হয়তো এত কথা। নয়তো পাঁচ দিনের টেস্টে শেষ বল পর্যন্ত কী দারুণ লড়াইটাই না করেছে ইংল্যান্ড। এ কদিনে টেস্ট খেলার ধরনটাই তো বদলে দিয়েছে ইংল্যান্ড। টেস্ট ক্রিকেটকে আজ আর ম্যাড়মেড়ে মনে হয় না। দর্শকরাও তৃপ্তি নিয়ে উপভোগ করে ম্যাচ। কিন্তু ইংল্যান্ডের যেন হারতে মানা। অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচ হারতেই চারদিকে নিন্দার ঝড়।
আরও পড়ুন : ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে জিম্বাবুয়ের তিনে তিন
অনেকে আবার এক কাঠি সরেস; নতুন ধারার বাজবলকে বয়কট করার দাবি তাদের। দিচ্ছেন পরামর্শ, ফিরতে বলছেন পুরোনো ম্যাড়মেড়ে ধাঁচের সেই আদি টেস্ট ক্রিকেটের যুগে। এসব কথা অবশ্য কানে নিচ্ছেন না ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও বেন স্টোকস জুটি। ৬৪ টেস্টে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া জো রুটও থাকতে চান বাজবলেই। বুধবার দ্বিতীয় টেস্টে লর্ডসে ফিরতে চান দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে।
এজবাস্টন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারায় ইংল্যান্ডকে বাজবল থেকে সরে আসার পরামর্শদাতারা হয়তো ভুলেই গেছে এক বছর আগেও ১৭ টেস্টে মাত্র ১ জয় ছিল তাদের। অথচ নতুন ধারার বাজবলে সাফল্যের পর সাফল্য পেয়ে যাচ্ছে দলটি। এ সময়ে ১৪ টেস্টের ১১টিতেই জয় তুলেছে ম্যাককালাম-স্টোকসের ইংল্যান্ড। হেরেছে মোটে তিনটিতে। অর্থাৎ প্রতিটি ম্যাচেই রেজাল্ট দেখেছে সমর্থকরা। পাঁচ দিন অপেক্ষা করে ড্র নিয়ে ফিরতে হয়নি তাদের। এ সময়ে ফলের পাশাপাশি আগ্রাসী ক্রিকেটের স্বাদ পেয়েছে সমর্থকরা।
দর্শকদের বিমোহিত করতে অতি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার নজিরও আছে বাজবলে। এজবাস্টন টেস্টই যার বড় উদাহরণ। ১৩১ টেস্টের ক্যারিয়ারে প্রথমবার স্টাম্পড হয়েছেন রুট, ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে। তাই প্রশ্নটা ছিল তাকেই। লর্ডসে ঘুরে দাঁড়ানোর টেস্টে বাজবল থেকে সরে দাঁড়াবে কি না ইংল্যান্ড। উত্তরে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন; পুরোনো ধাঁচের টেস্ট আর নয়, বরং বাজবলকেই দ্বিগুণ শক্তিতে পরিণত করে লর্ডস টেস্টে নামবে ইংল্যান্ড।
রুট বলেন, ‘দল হিসেবে যদি আমরা সাফল্য পেতে চাই, তাহলে এসব কথায় কান দেওয়া যাবে না যে, কোনো একটি দিন আমাদের পক্ষে না এলেই আমাদেরকে ভিন্ন কিছু করার কথা ভাবতে হবে। তবে প্রয়োজন পড়লে আমরা যা করছি, তা দ্বিগুণ করতে হবে। নিজেদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে, লর্ডসে (পরের টেস্টে) ওই এক শতাংশকে ঠিক করতে পারি।’
বাজবলে মুগ্ধ রুট আরও বলেন, ‘যদি আমার সময়ে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পেতাম, তাহলে স্টোকস যেভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে, সেভাবেই নেতৃত্বের পথচলা শুরু করতাম। স্টোকসের মতোই সেরকম কিছুর চেষ্টা করতাম। এটা অনেক বেশি রোমাঞ্চকর এবং অনেক বেশি আগ্রহ জাগানিয়া। আমার মনে হয়, দল হিসেবে এই ঘরানা থেকে আমরা অনেক বেশি লাভবান হচ্ছি। আমাদের ক্রিকেট এখন দেখার জন্য বেশি ভালো, সার্বিক ফলাফলও ভালো হচ্ছে।
‘ম্যাচের প্রথম বলটিতেই জ্যাক (ক্রলি) চার মেরেছে… আমরা যা নিয়ে আলোচনা করেছি, মাঠেও সবাই তা করে দেখিয়েছে। অনেক অনেক আলোচনা ও আগ্রহ ছিল, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও আমরা এটা (বাজবল) করতে পারব কি না। আমার মনে হয়, সবার কাছে আমরা প্রমাণ করেছি, আমরা পারি। এখন সবার উচিত আমাদের সঙ্গেই থাকা এবং একই ঘরানা আমাদের কাছ থেকে আশা করা। দল হিসেবে আমরা এমনটিই।’