ইমার্জিং টিম এশিয়া কাপ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৫:৫৬ পিএম
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৫:৫৯ পিএম
ছবি ভিডিও থেকে সংগৃহীত
লক্ষ্যটা বড় হওয়ায় লড়াই করেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত জয় আসেনি। ইমার্জিং এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে আর সেই ভুল নয়; প্রতিপক্ষ ওমানকে ১২৬ রানে আটকে দিয়ে ২০১ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলেছে বাংলাদেশ। তাতে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে আপাতত শীর্ষে আছে সৌম্য-সাইফদের দল।
কলম্বোতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে বল করতে নেমে ওমানকে অল্পতে আটকে দেওয়ার পর ব্যাট হাতে কোনা উইকেট না হারিয়েই জয়ের ভিত গড়ে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে দলীয় শতরান পেরিয়ে যায় সাইফ হাসানের দল। মনে হচ্ছিল সবকটি উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। ৪৯ বলে ২ ছয় ও ১১ চারে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরতে হয় তানজিদ হাসানকে। এরপর দ্রুতই ফিরে যান সাইফ হাসান। ওই ওভারেই উইকেটে এসে রানের খাতা খুলার আগেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় অধিনায়ককে।
এরপর আর ভুল নয়; জাকির হাসানকে নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে মোহাম্মদ নাঈম। তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৪৭ রান। ৬ বলে ১১ রান করেন জাকির।
এর আগে বল হাতে গতি এবং দুর্দান্ত লাইন লেন্থে দাপট দেখালেন তানজিম হাসান তামিম। ৯ ওভারে ১৮ রান খরচ করে ওমানের চারজন ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন। রিপন মণ্ডল-মেহেদী হাসানরাও রান দিতে ছিলেন বেজায় কৃপণ। দুর্দান্ত বোলিং পারফর্মে প্রতিপক্ষকে ১২৬ রানে বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
কলম্বোর সিনহালস স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে টস জিতে শুরু থেকেই তোপ দাগে বাংলাদেশের বোলাররা। সাকিব-রিপনদের দাপুটে দিনে ধীরগতিতে ১২৬ রান পর্যন্ত তুলতে পারে ওমান। ৪৬ ওভার ব্যাট করে তারা ওভারপ্রতি নিতে পেরেছে ২.৭৩ করে রান।
আরও পড়ুন:
শনিবার টস জিতে ওমানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে চতুর্থ ওভারেই তোপ দাগে বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসানের হাতে আবদুল রউফকে ক্যাচ বানান রিপন মণ্ডল। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ওমান। দলীয় ৯ রানে দুই উইকেট হারানো দল স্কোরবোর্ডে ৫৪ রানের সময় হারায় দুই উইকেট।
২৬ রানে ব্যাট করা আয়ান খানকে সরাসরি বোল্ড করে ফেরান রাকিবুল হাসান। তানজিম হাসান সাকিব রাকিবুলের ক্যাচ বানান ওমানের অধিনায়ক আকিব ইলিয়াসকে। এখন পর্যন্ত ৬ ওভার বল করে ৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। রিপন, রাকিবুল ছাড়াও উইকেট তোলার মিছিলে নাম লিখিয়েছেন মেহেদি হাসানও।
ইনিংস শেষে সাকিবের নামের পাশে জমা পড়ে চার উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল ও মাহমুদুল হাসান জয়।