× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কাঁদিয়ে চলে গেলেন ‘টিপু ভাই’

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩ ১৬:৪৪ পিএম

আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৩ ১৭:০৪ পিএম

কাঁদিয়ে চলে গেলেন ‘টিপু ভাই’

সোমবার থেকেই তার জন্য চলছিল সমবেত প্রার্থনা। ওইদিন সকালে নিজ বাসায় মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। দ্রুত রফিকুল ইসলাম টিপুকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। রাজধানীর আজগর হাসপাতালে সিটি স্ক্যানে রিপোর্ট ভালো আসেনি। তখন থেকেই ঢাকার ক্রীড়াঙ্গনের মানুষরা একটি ভালো খবরের জন্য সৃষ্টিকর্তার করুণা চাইছিলেন। কিন্তু ফেরানো গেল না! ক্রীড়া অন্তঃপ্রাণ এই মানুষটি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে একেবারে চলেই গেলেন। তার মৃত্যুতে শোকে আচ্ছন্ন গোটা ক্রীড়াঙ্গন। শোক বার্তা জানিয়েছেন বিশিষ্ট ক্রীড়াঙ্গনের সাংবাদিকরা।

আরও পড়ুন :

অসাধারণ এক মানুষকে হারিয়ে ফেললাম

দিলু খন্দকার

টিপু ভাইয়ের কথা বলতে গেলে বলতে হবে— সহজ-সরল, মিতভাষী এবং পরোপকারী। এমন কোনো কাজ নেই যা তিনি করে দেননি। আমার মনে পড়ে, ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের অ্যাক্রেডিটেশন জমা দেব, টিপু ভাইকে বললাম। তিনি করে দিলেন। পাসপোর্টের ঝামেলাও মেটালেন। কোনো তথ্য দরকার হলে তাকে বলতাম। তিনি বলতেন, পেয়ে যাবেন। তার মুখে কখনও না শব্দ শুনিনি। টিপু ভাই সব সময় জামাতে বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজ পড়তেন। তিনি যে টেবিল টেনিস খেলতেন, একটা সময় পর সেখানেও তার জায়গা হয়নি। কষ্ট পেয়েছিলেন কিন্তু কখনও বলতেন না। এরপর এলেন আর্চারিতে। টিপু ভাইয়ের সঙ্গে সাংবাদিকদের যে সম্পর্ক, তিনি সর্বোপরি একজন ভালো মানুষ। সব সময় মানুষকে হেল্প করতেন। কেউ অসুস্থ হলে তার কাছেও দৌড়ে যেতেন। বাসা থেকে স্টেডিয়াম, সেখান থেকে বিএসজেএ-ক্রীড়ালেখক সমিতি—এমন ছিল তার রুটিন। এত দারুণ মানুষটারও কোনো স্বীকৃতি নেই। টিপু ভাই আক্ষেপ করতেন কিন্তু অভিযোগ করতেন না। আমরা অসাধারণ একজন মানুষকে হারিয়ে ফেললাম; সাংবাদিক এবং সংগঠনের অনত্যম ক্ষতি হলো।

লেখক : ক্রীড়া সম্পাদক, চ্যানেল ২৪

অনন্তযাত্রায়ও হাসি লেগে থাকবে

আজাদ মজুমদার

যারা এখন স্পোর্টসে কাজ করছেন তারা হয়তো জানতেও পারবেন না ক্রীড়া সাংবাদিকদের জন্য রফিকুল ইসলাম টিপু কতটা কী ছিলেন। তাকে এমন একটি সময় পাওয়া যখন শান্তিতে কাজ করার জায়গা খুব কমই ছিল। মোবাইল ফোন চালানো তখনও বিলাসিতা। এমনকি প্রয়োজনের সময় ল্যান্ডলাইনেও কল করার সুযোগ হয়ে উঠত না।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের তৃতীয় তলায় টেবিল টেনিস ফেডারেশনে টিপু ভাইয়ের অফিস সবার জন্য খোলা ছিল। আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানে কাটাতাম, তার ল্যান্ডলাইন নিজের মতো করে ব্যবহার করতাম এবং খালি পেটে বের হতাম না। টিপু ভাইয়ের মুখে সব সময় হাসি লেগে থাকত। আশা করি, অনন্তযাত্রায়ও টিপু ভাইয়ের মুখে হাসি লেগে থাকবে। আল্লাহ আপনাকে জান্নাতবাসী করুক।

লেখক : যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, নিউএজ

সহজ-সরল সদালাপী আন্তরিক মানুষ

মানজুর মোরশেদ

চার পাশের স্বার্থ-সংঘাত ও জটিল হিসাব-নিকাশের মাঝে এক অনন্য সহজ-সরল সদালাপী আন্তরিক মানুষ ছিলেন আমাদের টিপু ভাই। রফিকুল ইসলাম ভাই খুব নিচু স্বরে কথা বলতেন, দেখা হলে খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ভালো-মন্দ জিজ্ঞাসা করতেন। বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-বিএসজেএর অনুষ্ঠানগুলোতে আসতেন নিয়ম করে। তিনি হয়ে উঠেছিলেন আমাদের আত্মার আত্মীয়! সেই টিপু ভাই রাজধানীর একটি হাসপাতালে আজ (গতকাল মঙ্গলবার) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ।

ক্রীড়া সংগঠক টিপু ভাই ছিলেন বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় ছিলেন আর্চারি ফেডারেশনের এক্সিকিউটিভ মেম্বার।

লেখক : ক্রীড়া সম্পাদক, যমুনা টিভি

মাটির মানুষ মাটির মমতায়

এম. এম. কায়সার

তিনি ছিলেন শতভাগ আমাদের মানুষ। সাংবাদিকদের বন্ধু, সজ্জন। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ব্যস্ত থাকা প্রায় সব ক্রীড়া সাংবাদিকের নাম মুখস্থ ছিল টিপু ভাইয়ের। অনেক বছর পরে দেখা হলেও ঠিক যেন বড় ভাইয়ের দাবি ও আহ্বান নিয়ে পাশে এসে দাঁড়াতেন। টিপু ভাই ছিলেন বাংলাদেশের টেবিল টেনিসের অন্য নাম। ঠিক যাকে বলে স্পোর্টস অন্তঃপ্রাণ, অমনই একজন। 

আপনি কোনো সমস্যায় পড়েছেন? চিন্তার বেশি কিছু নেই। 

টিপু ভাই আছেন না!

যেচে পড়ে মানুষের উপকার করাই ছিল যেন তার ধর্ম। মন থেকে খেলাকে ভালোবাসতেন। দেখা হলেই স্বর্গীয় হাসি নিয়ে জিজ্ঞাস করতেনÑ ‘ভালো আছেন আপনি?’

সেই মাটির মানুষ চলে গেলেন মাটির মমতায়। টিপু ভাই এখন দূর আকাশের তারা। খেলার মাঠে বাংলাদেশ সাফল্য পেলেই সেই তারা একটু বাড়তি আলো ছড়াবে। ওটা টিপু ভাইয়ের হাসি! 

লেখক : ক্রীড়া সম্পাদক, প্রতিদিনের বাংলাদেশ

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা