২০১৯ সালের পর ভারতকে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে দাপুটে জয় পেয়েছিল ভারত। পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপের আগে তাই দলের রিজার্ভ বেঞ্চ বাজিয়ে দেখতে চেয়েছিল রোহিত শর্মার দল। অধিনায়ক রোহিত ও কোহলিকে বিশ্রামে পাঠানোর দিনে প্রথম ম্যাচের লজ্জার হার পুষিয়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর ওয়ানডেতে ভারতকে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতাও ফিরিয়েছে স্বাগতিক দল।

বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৮১ রান তোলে ভারত। জবাবে ৮০ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে যায় ক্যারিবীয়ানরা। জয়ে স্বাগতিকরা সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল। আগস্টের ১ তারিখ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল।

রিজার্ভ বেঞ্চকে বাজিয়ে দেখতে দ্বিতীয় ম্যাচে রোহিত ও কোহলিকে বিশ্রাম দিয়েছিল ভারত। বদলে সুযোগ পেয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন ও অক্ষর পটেল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ঈশান কিশন ও শুভমন গিল খুব ভালো শুরু করেন। সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন। ওপেনিং জুটিতে তারা তুলে নেন ৯০ রান। অর্ধশতরান করেন ঈশান। তার পরেই বিপর্যয়।

৩৪ রানের মাথায় স্পিনার গুডাকেশ মোতির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে আউট হন শুভমন। ৫ রান পরেই ফেরেন আরেক ওপেনার ঈশান। ৫৫ রান করেন তিনি। তার পরে একের পর এক উইকেট পড়তে শুরু করে। মুখ থুবড়ে পড়ে দলের মিডল অর্ডার। সঞ্জু, অক্ষরকে আগে নামালেও রান পাননি তারা। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাট থেকে আসে ৭ রান। ১১৩ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায় ভারতের।

দলের ইনিংসকে সামলানোর চেষ্টা করেন সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাডেজা ও শার্দূল। কিন্তু নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ছিল। শেষ পর্যন্ত ৪০.৫ ওভারে ১৮১ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারত। মোতি ও শেফার্ড ৩টি করে, আলজারি জোসেফ ২টি এবং জেইডেন সিলস ও ইয়ানিক কারিয়া ১টি করে উইকেট নেন।

রান তাড়ায় শার্দূল ঠাকুরের বলে মাঝে খেই হারালেও শেষ পর্যন্ত জিতে মাঠ ছাড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ওপেনার কাইল মেয়ার্স ও ব্র্যান্ডন কিংয়ের শুরুটা ভালো ছিল।  পরে অধিনায়ক হোপ ও কেসি কার্টি দলকে এগিয়ে নেন। শেষ পর্যন্ত হোপ দুটি করে চার-ছক্কায় ৬৪ রান এবং ৪টি চারের মারে কার্টি ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাতেই আসে প্রায় চার বছর অপেক্ষার পর জয়।