প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১১:২০ এএম
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১১:২৩ এএম
বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনকে পাশে রেখে নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানান তামিম ইকবাল- আ. ই. আলীম
চোট থেকে ফিরেছেন, যে চোট সারাতে মাসেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তামিম ইকবালের এশিয়া কাপে খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল তাই। তবে অধিনায়কত্বই ছেড়ে দেবেন, এমন কিছুর আঁচ করাই যাচ্ছিল না। তামিম গতকাল সেটাই জানালেন সংবাদ সম্মেলনে এসে। জানালেন ‘দলের ভালোর জন্যই’ এই সিদ্ধান্ত।
নিউজিল্যান্ড সিরিজকে এবার তিনি করেছেন পাখির চোখ, এরপরই বিশ্বকাপ, মূল লক্ষ্যটা সেখানেই। তিনি যে আর অধিনায়ক থাকছেন না, এটা তো পরিষ্কার। তবে তিনি অধিনায়ক নন আর, এরপরও ‘অধিনায়ক’ই থাকবেন তিনি, জানালেন গতকাল।
সেটা কীভাবে? তামিম জানালেন, ‘আমি হয়তো অধিনায়ক থাকব না, তবে আমি দলে থাকলে অধিনায়কের মতোই কাজ করব। যে অধিনায়ক থাকবে, তাকে আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সাহায্য করা সম্ভব তা আমি করব। হয়তো আমার নামটা থাকবে না, তবে আমি আমার সেরাটা দিয়ে সাহায্য করব।’
‘দলের ভালোর জন্যই’ অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন তামিম ইকবাল- আ. ই. আলীম
এর আগে তিনি জানালেন তার অধিনায়কের পদ থেকে সরে যাওয়ার কারণ। চোট থেকে সারার প্রক্রিয়ায় আছেন বটে, কিন্তু তার যে কোনো নিশ্চয়তা নেই! সেটা হলে যে বিশ্বকাপের অধিনায়ক নিয়েও তৈরি হয়ে যায় শঙ্কা! বললেন, ‘আমি একটা বিষয় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নিজ থেকে ওনাদের বলেছি, আমি কারণও জানিয়েছি, যে আমি ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। আমার মনে হয় যে চোট একটা ইস্যু, এই মুহূর্তে আমি কিছু ইনজেকশন নিয়ে এসেছি; তবে এগুলো কিন্তু হিট অ্যান্ড মিসের মতো, আমি আমার সমস্যাগুলো বলেছি; তো আমি সব সময়ই বলেছি যে আমি সব সময় দলকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। দলের কথা ভেবে আমার অধিনায়কের পদ থেকে সরে যাওয়াটাই হবে সেরা সিদ্ধান্ত।’
‘আমি হয়তো অধিনায়ক থাকব না, তবে আমি দলে থাকলে অধিনায়কের মতোই কাজ করব। যে অধিনায়ক থাকবে, তাকে আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সাহায্য করা সম্ভব তা আমি করব’
যে কারণে পুরো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সে চোটটা জন্মেছিল গেল বছরের নভেম্বরে। তখনই কোনো একটা সিদ্ধান্তে চলে এলে হয়তো এই পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না, সেটা ফুটে উঠল তামিমের কথাতেই। তিনি বলেন, ‘আমার যে সমস্যাটা, সেটা গেল বছরের নভেম্বরে ধরা পড়েছিল। প্রথম থেকেই সমস্যাটা ছিল। কিন্তু পাপন ভাইয়ের কথা হলো, ওনাকে তো কেউ একজন কথাটা জানায়, আমি যখন ওনাকে প্রথমবারের মতো (গেল সপ্তাহে) রিপোর্টটা জানাই, আগে রিপোর্টটা পাঠানো হয়নি, আগে পাঠালে হয়তো ওসময় উনি বলতেন। প্রথমবারের মতো যখন রিপোর্টটা পাঠাই, তখন উনি সাথে সাথে কথাটা বলেছেন যে আগে এটা আমাকে জানানো হয়নি কেন! তুমি জিজ্ঞেস করবা, আমার সঙ্গে কথা বলিয়ে দিবে। আমরা যদি একটু ওপেন থাকি, তাহলে সমস্যাগুলো হয় না। তবে যা হয়েছে তা নিয়ে আমরা এখন পরিষ্কার।’
আরও পড়ুন:
তবে চাইলে যে এশিয়া কাপটা খেলে ফেলাই যেত, সেটা লুকোলেন না তামিম। তিনি বলেন, ‘যেন বাড়তি সমস্যা না হয়, সে কারণে পরিকল্পনাটা করা। নিউজিল্যান্ড সিরিজে যেন ফিরতে পারি, সে কারণেই বাড়তি সময়টা নেওয়া। যেটা পাপন ভাই বললেন, জোরাজুরি করলে হয়তো এশিয়া কাপটা ধরতে পারতাম। মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্ট সেটা চাচ্ছে না, আমাদের এখান থেকেও কেউ সেটা চাচ্ছে না... তো আমি খুবই আশাবাদী যে নিউজিল্যান্ড সিরিজে আমি ফিরতে পারব।’
গতকালের এই সিদ্ধান্ত তামিমের অধিনায়কত্বে যবনিকা টেনে দিল। নিজের যাত্রাটাকে সফলই ভাবছেন তিনি। তবে তার অধীনে দলও যে গড়ে উঠেছিল সে দলটাকে কী বার্তা দেবেন? তামিম জানালেন, ‘আমাদের লক্ষ্যটা একই। আমি অধিনায়ক থাকি বা না থাকি, অন্য কেউ থাকুক... সবাই চায় বিশ্বকাপে খুবই ভালো কিছু করতে। আমাদের লক্ষ্য এই একটাই।’