প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ২০:৫২ পিএম
মেসি উন্মাদনায় ভাসছে গুটা যুক্তরাষ্ট্র। রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীকে খুব কাছ থেকে দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে তার ভক্তরা। লিগস কাপে শেষ ষোলোর এফসি ডালাসের বিপক্ষে মেসির দল ইন্টার মিয়ামির ম্যাচই যার বড় প্রমাণ। এই ম্যাচটির মধ্যে দিয়েই প্রথমবারের মতো অ্যাওয়ে সফর করবেন মেসি। তবে সেখানেও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার ১৮ মিনিটের মধ্যেই ম্যাচের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। মেসিকে নিয়ে পাগলামি কাণ্ড ঘটাতেও ছাড়ছেন না ভক্তরা। এক ভক্ত তো মেসির অটোগ্রাফ নিতে গিয়ে শেষে চাকরিটাই হারালেন।
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেড় বছর আগে কাজের উদ্দেশ্যে মিয়ামিতে আসেন ক্রিশ্চিয়ান সালামানকা নামের এক তরুণ। এক কোম্পানির অধীনে খেলাধুলার ইভেন্ট এবং কনসার্টে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ঘটনার দিন প্রথমবারের মতো ইন্টার মিয়ামির স্টেডিয়ামে কাজ করার সুযোগ হয় তার। এসেই দেখা পেয়ে যান লিওনেল মেসির। নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি তিনি। এরপর যা ঘটল তাতে চাকরিটাই হারাতে হলো তাকে।
নিজের চাকরি হারানোর বিষয়টি নিয়ে ওই তরুণ জানায়, ‘যেখানে বাস পার্কিং করে সেখানে টয়লেট পরিষ্কার করার দায়িত্ব ছিল আমার। যখন বাস এলো, সৌভাগ্যবশত আমি তখন বাইরে ছিলাম। সমস্ত খেলোয়াড় নেমে যাওয়ার পর মেসি নামলেন। এরপর আমি যা করেছি তা হল ‘হে, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’ বলে চিৎকার করেছি। শোনতে পেয়ে সে ঘুরে দাঁড়ায় আমাকে দেখার জন্য। আমি আমার ইউনিফর্মের শার্ট উপরে তুলে ভেতরে পরা আমার আর্জেন্টিনার শার্ট তাকে দেখায়। তিনি আমাকে তার অটোগ্রাফ দেন। তারপর নিরাপত্তা কর্মীরা চলে আসে, আমাকে নিয়ে যায় এবং আমাকে আমার চাকরি থেকে বের করে দেয়।’
মূলত, ক্লাবটি কর্মসংস্থানের শুরুতেই তাদের সমস্ত কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছিল, তাদের অবশ্যই পেশাদার আচরণ বজায় রাখতে হবে। ফটো বা অটোগ্রাফের জন্য খেলোয়াড়দের বিরক্ত করতে পারবে না তারা। তবে ওই মেসি ভক্ত সেটি ভঙ্গ করে। আর সে কারণেই চাকরি হারাতে হয়েছে তাকে।
এতে অবশ্য ভক্তদের মেসি উন্মাদনা থেমে নেই যুক্তরাষ্ট্রে। আর্জেন্টাইন মহাতারকা ইন্টার মিয়ামিতে নাম লেখানোর পর গত কয়েক সপ্তাহে গত বছরের পুরো সময়ের তুলনায় ৬ গুণ বেশি জার্সি বিক্রি হয়েছে দেশটিতে। জার্সি বিক্রিতে মেসি ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে আছেন দেশটির দুই কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ টম ব্র্যাডি বা লেব্রন জেমসকেও।