প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৪২ পিএম
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনেও তেমন ব্যস্ততা থাকে না এদিন। তবে আজ মিলল ব্যতিক্রমী এক দৃশ্যের দেখা। ভরদুপুরে ডাকা হলো ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভা। যার অন্যতম এজেন্ডা ছিল বাফুফে এলিট একাডেমির ফুটবলারদের নিলামে তোলা।
আরও পড়ুন : ক্যাপ্টেন হিসেবে সাকিবকেই পছন্দ ফাহিমের
দেশের ফুটবলে দল গড়তে কোটি টাকা খরচ করে দলগুলো। ফুটবলের উন্নত বিশ্বে নতুন ফুটবলার তুলে আনার কাজগুলো বর্তায় তাদের ওপরই। কিন্তু বাংলাদেশে এমন চল নেই। শেষ কয়েক বছরে তরুণ ফুটবলার তুলে আনার কাজটা তাই বাফুফেই করছে এলিট একাডেমির মাধ্যমে।
সেই এলিট একাডেমির ফুটবলাররা এখন আসছেন দেশের ফুটবলের শীর্ষ স্তরে। শুধু তাই নয়, তাদের পেতে রীতিমতো কাড়াকাড়িও পড়ে গেছে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবগুলোর মধ্যে। নিলামের সিদ্ধান্তটা এসেছে এ কারণেই।
আজ সভা শেষে কমিটির প্রধান আতাউর রহমান ভূঁইয়া জানান, ‘আমাদের কাছে শেখ রাসেল, মোহামেডান ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন খেলোয়াড় চেয়ে চিঠি দিয়েছে এবং নিজেদের মতো একটি বিনিময়মূল্যও উল্লেখ করেছে তারা। আমরা খেলোয়াড়দের উন্মুক্ত বিডিংয়ে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা সর্বোচ্চ মূল্য দেবে তারাই খেলোয়াড় পাবে।’
শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে এই নিলাম। সেখানে শেখ রাসেল, মোহামেডান ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন তো বটেই; বাকি সব ক্লাবও অংশ নিতে পারবে বলে জানান আতাউর রহমান ভূঁইয়া।
এলিট একাডেমি সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে অংশ নিয়েছিল প্রথমবার। প্রথমবারই হয়েছে রানার্সআপ। ফুটবলারদের নিলামে তুললে খেলোয়াড় সংকটে পড়বে না তো একাডেমি? আতাউর জানান, ‘চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ খেলার মতো ফুটবলার আমাদের রয়েছে। নতুন খেলোয়াড় সন্ধানের জন্য আমরা ইতোমধ্যে একটি রুটিন করেছি। খুব শিগগিরই এলিট একাডেমিতে নতুন ব্যাচ আনা হবে।’
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে অর্থাভাবের বিষয়টা নিয়মিতই শোনা যায়। সেটা আজও শোনা গেল, এলিট একাডেমির কার্যক্রম টিকিয়ে রাখতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয় ফেডারেশনকে। তবে এই নিলাম থেকে পাওয়া অর্থের মাধ্যমে সে সমস্যাটা কিছুটা লাঘবের আশা করছে বাফুফে।