প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৩:১৪ পিএম
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৪৪ পিএম
কদিনই আগেই পাঁচ ম্যাচের ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ সিরিজ শেষ হয়েছে ২-২ সমতায়। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড অ্যাশেজ জয় করতে না পারলেও ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে সমর্থকদের। প্রতিটি ম্যাচেই গ্যালারিতে দর্শক ছিল চোখে পড়ার মতো। নতুন ধারার বাজবল ক্রিকেট খেলে বেন স্টোকসের দল সিরিজ জিততে না পারলেও তাতে কোনো আফসোস নেই সমর্থকদের। সমর্থক বাড়ায় খুশি ইংল্যান্ড দলও। ইংল্যান্ডের এই বাজবল মাঠে বসে দেখেছেন টটেনহ্যামের অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যাঞ্জে পোস্টেকোগ্লো। মুগ্ধ হয়েছে বাজবলে। তাই চলতি মৌসুমেই ফুটবলে বাজবল আনতে চান তিনি।
সদ্য দায়িত্ব নেওয়া টটেনহ্যামের এই কোচ বাজবল নিয়ে বলেন, ‘আমি বাজবল খেলোয়াড়দের ভালোবাসি, আমি মনে করি এটি উজ্জ্বল! যেকোনো খেলায়, আমি যখন দলগুলোকে ঐতিহ্যগত ছাঁচ ভাঙতে দেখি তখন আমার বেশ ভালো লাগে। যদিও মানুষ তখন এটা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে। তবে আমি জানি এতে বিশেষ কিছু হতে পারে। গ্যারান্টি নেই যে ভালো কিছু হবেই। এত সব টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে এবং কান্নায় শেষ হতে পারে। কিন্তু আপনি লোকদের অস্বস্তিকর করে তোলার থেকে যখন নতুন স্থল ভাঙছেন তখন এটিকে আমি জীবনের যেকোনো কিছুতে ভালোবাসি। এখানেই বিশেষ জিনিস বিদ্যমান এবং আমি যে ধরনের স্থানের মধ্যে আছি।’
টটেনহ্যামের আগের দুই সেরা কোচ মরিনহো এবং কন্তের শৈলীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এর বিপরীত শৈলী প্রদর্শন করতে চান বলে জানান পোস্টেকোগ্লো। বলেন, ‘ফুটবলের সৌন্দর্য হলো, আপনি অনেক উপায়ে সাফল্য পেতে পারেন, অনেক উপায়ে আপনি আপনার দলকে সেট করতে পারেন, অনেক উপায়ে আপনি বিরোধীদের মোকাবিলা করতে পারেন। তবে এই জাতীয় ফুটবল ক্লাবে নতুন কিছু আনতে হবে। যেটি ধারাবাহিকভাবে দল সন্ধান করেছে, সমর্থকরাও পছন্দ করেছে। বাজবলের সঙ্গে এই ধরনের ফুটবলের একটি সংযোগ রয়েছে। সুতরাং, আমি যদি এই ধরনের ফুটবল আনতে পারি, তবে আমার মনে হয়, আমরা আমাদের পিছনে সমর্থকদের পাব, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এবং সেই শক্তি তখন দলে স্থানান্তরযোগ্য হবে।’