প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১০:৪৪ এএম
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১১:০৩ এএম
লিগস কাপ জয়ের পর আরেকটি শিরোপার দ্বারপ্রান্তে লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামি। এফসি সিনসিনাটির বিপক্ষে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়া দলকে ইউএস ওপেন কাপ ফাইনালে নিয়ে যেতে শেষ মুহূর্তে জাদু দেখান মেসি। তার নিখুঁত ক্রস দারুণ হেডে জালে জড়িয়ে দলকে রক্ষা করেন লিওনার্দো কাম্পানা। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে দল দুটি সমান ১টি করে গোল পেলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকে। ভাগ্যনির্ধারণী টাইব্রেকে এবারও নিরাশ হতে হয়নি মিয়ামিকে। ৫-৪ গোলে জয় নিশ্চিত করে ফাইনালে পা রাখে মিয়ামি।
এদিন অবশ্য কোনো গোল পাননি আর্জেন্টাইন মহাতারকা। যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে পা রাখার পর এই প্রথম হলো এমনটি। তবে মেসিভক্তরা ঠিকই জাদু দেখেছেন এলএম টেনের। ম্যাচে ২টি গোলে সহায়তা করেছেন তিনি।
সিনসিনাটির বিপক্ষে জয়টা অবশ্য খুব সহজ হয়নি মিয়ামির। ম্যাচের ১৮ মিনিটে লুসিয়ানো অ্যাকোস্তার গোলে লিড নেয় সিনসিনাটি। প্রথমার্ধে সেই গোল আর শোধ করা হয়নি মিয়ামির। দ্বিতীয়ার্ধে চেষ্টা চালালেও উল্টো আরেক গোল হজম করতে হয় মিয়ামিকে। ৫৩ মিনিটে ভাজকুয়েজের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সিনসিনাটি। মেসি ম্যাজিক দেখানোর যেন তখনও বাকি। ৬৮ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ফ্রি কিক নেন মেসি। বক্সে একদম জটলার মধ্যে থাকা কাম্পানার মাথায় গিয়ে পড়ে বল। বেস দারুণ হেডে বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান কমান তিনি। দেন ফেরার ইঙ্গিত। এরপর চেষ্টা চালালেও কাজ হচ্ছিল না।
ম্যাচটি ভাগিয়ে নেওয়ার খুব দ্বারপ্রান্তে ছিল সিনসিনাটি। তখনই ফের মেসিঝলক। ইনজুরি টাইম শেষ হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে গোলের উদ্দেশ্যে এমন একটি ক্রস দেন মেসি; যাতে গোল করতে কোনোরকম বেগ পেতে হয়নি কাম্পানার। এরপর অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ালে সেখানে দুই দলই পায় ১টি করে গোল। তবে প্রথমে মার্তিনেজের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মিয়ামিই। যদিও সেই লিড ধরে রাখা যায়নি।
পরে টাইব্রেকে ম্যাচ গড়ালে দুই দলই গোল করে চলেছিল। ৪-৪ সমতায় ছিল ম্যাচ। পরে মিয়ামির গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডার সিনসিনাটির নিক হ্যাগল্যান্ডের শট রুখে দেন। শেষ হয় টাইব্রেক। রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে পা রাখে মিয়ামি। ইউএস ওপেন কাপের ফাইনাল ২৭ সেপ্টেম্বর। বুধবার অন্য সেমিফাইনালে হিউস্টন ডায়নামো–রিয়াল সল্ট লেকের মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনালে মাঠে নামবে ইন্টার মিয়ামি।