প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৩০ পিএম
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ২১:০৯ পিএম
জাদেজার এমন উদযাপনে মেতেছিলেন তিনবার— এপি
চেন্নাইয়ের মাঠে স্পিনাররা ভোগাবে— জানতেন প্যাট কামিন্স। প্রস্তুতি সেরে নিয়েও নেমেছিলেন। কিন্তু অশ্বিন-জাদেজা-কুলদীপের ঘুর্ণিতে মেলে ধরতে পারেননি। স্পিনত্রয়ীর ঘূর্ণিতে আসা-যাওয়ার মাঝে পড়ে যাওয়া স্মিথ-ওয়ার্নাররা সব উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১৯৯ রান। বিশ্বকাপে ভালো শুরু পেতে ভারত ছোট লক্ষ্যই পেল বটে!
এমএ চিদাম্বর স্টেডিয়ামে রোহিত শর্মা নেমেছিলেন তিনজন স্পেশালিস্ট স্পিনার নিয়ে। অধিনায়কের পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়নি স্পিনত্রয়ী। অস্ট্রেলিয়ার ৪৯ ওভারের ইনিংসে রোহিত স্পিনারদের দিয়ে করিয়েছেন ৩০ ওভার। ১০ উইকেটের ছয়টিই নিয়েছে স্পিনরা। বাকি তিনটি তিন পেসারের। জয়ে শুরু পেতে ভারতকে ওভারপ্রতি তুলতে হবে চারের একটু বেশি করে রান।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে খুব ভালো কিছু পাননি কামিন্স। স্পিনিং পিচে শুরুতেই তোপ দেগেছেন জশপ্রিত বুমরাহ। এরপর অজি শিবিরে ভরসা হয়ে উঠেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ। বড় রানের স্বপ্ন দেখানো জুটি ভেঙে পড়তেই বালির বাধে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ।
স্কোরবোর্ডে ৭৪ রানে ওয়ার্নার-স্মিথ জুটি ভাঙেন কুলদীপ। স্মিথের সঙ্গে যোগ দেন লাবুশেন। দুই ডান হাতি ব্যাটার থাকায় রবীন্দ্র জাদেজাকে আক্রমণে আনেন রোহিত। স্মিথকে ফিরিয়ে অধিনায়কের মান রাখেন অশ্বিন। শুধু তাই নয়, ১০ ওভারের স্পেলে মাত্র ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট জাদেজা। অজিদের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করেন স্মিথ। ৭১ বলে থামেন ৪৬ রান করে। ওয়ার্নার করেন ৪১ রান। শেষদিকে মিচেল স্টার্কের ২৮ রানে দেড়শ ছাড়িয়ে দুইশ রানের কাছাকাছি যায় অস্ট্রেলিয়া।
কুলদীপ যাদব ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। স্পিন সহায়ক পিচে অস্ট্রেলিয়ার মূল ভরসা হয়ে উঠতে পারতেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাকেই ফেরান কুলদীপ। রবিচন্দ্রন অশ্বিন প্রথম স্পেলে রান আটকান, দ্বিতীয় স্পেলে উইকেটও নেন। সব মিলিয়ে ১০ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ১ উইকেট অশ্বিনের। স্পিনত্রয়ীর মোট ৩০ ওভারে ১০৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট। এটাই যেন গড়ে দেয় পার্থক্য। ৪৯.৩ ওভারে ১৯৯ রানে গুড়িয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। স্পিননির্ভর মাঠে বাকি চারটি উইকেটের দুটি বুমরাহর, একটি করে নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ সিরাজ।