প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৩ ০১:০১ এএম
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৫৮ পিএম
বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে নেই তিনি অনেক দিন হলো। কারণটা সবার জানা। জামাল ভূঁইয়া যে পাড়ি জমিয়েছেন সুদূর আর্জেন্টিনায়। কিংবদন্তি মেসি-ম্যারাডোনাদের জন্মভূমিতে গেছেন নতুন মিশন নিয়ে। সেখানেই তৃতীয় বিভাগের দল সোল দো মায়োর হয়ে ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
দেশের ক্লাব ফুটবলে নেই এখন ব্যস্ততা। এ কারণেই হয়তো জামালকে দেখা যাচ্ছে না দেশীয় কোনো ক্লাবে। তবে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পর্ক আছে আগের মতোই অটুট। তাই সাত সাগর তেরো নদী পেরিয়ে আর্জেন্টিনায় খেললেও বাংলাদেশের কথা কখনও ভুলে যাননি জামাল।
ভুলবেন কী করে? দেশের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্রাথমিক রাউন্ডের ম্যাচ যে খুব কাছে। দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন এই মিশন। আগামীকাল মাঠে নামতে হচ্ছে লাল-সবুজের জার্সিধারীদের। লড়াইটা আবার প্রতিপক্ষ মালদ্বীপের মাটিতে। যে কারণে মালদ্বীপের কথা সব সময় কাজ করেছে জামালের মাথায়। আর্জেন্টিনার মাটিতে বসেও ক্লাবের সঙ্গে ভেবেছেন জাতীয় দলের কথা। আগামীকাল বিকাল ৫টায় মাঠে গড়াতে যাওয়া ম্যাচে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে হারানোর রণকৌশলের ছকই এঁকে গেছেন সর্বক্ষণ।
মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচকে সামনে রেখে গতকাল মালের ফ্লাইট ধরেছেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা। জামালদের নিয়ে বিমান ঢাকা ছেড়ে যায় সকাল ৯টার দিকে। তবে তার আগে সোমবার শেষবারের মতো দেশের মাটিতে অনুশীলন সেরেছে কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। প্রস্তুতি শেষ করেই জামাল অংশ নেন সংবাদ সম্মেলনে। সেখানেই ওঠে তার আর্জেন্টিনা অধ্যায়ের গল্প।
আর্জেন্টিনার মাটিতে রাজকীয় কায়দায় জামালকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। ক্লাব সোল দো মায়োর জার্সি গায়ে জড়িয়ে গোলের দেখাও পেয়েছেন। আর্জেন্টাইন তৃতীয় বিভাগের দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত জামাল, ‘আর্জেন্টিনার পরিবেশ পুরোপুরি অন্য রকম। সেখানে কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার একটা ব্যাপার ছিল। এখন পর্যন্ত সেখানে আমার অভিজ্ঞতা চমৎকার। তবে আর্জেন্টিনায় আমি সব সময়ই মালদ্বীপ ম্যাচ নিয়ে ভেবেছি। এ ম্যাচে ভালো খেলার লক্ষ্য স্থির করেছি। মালদ্বীপের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ দুটি আমাদের ফুটবলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জিততেই হবে।’
আর্জেন্টিনায় খেললেও লাল-সবুজের ক্যাপ্টেনের বরং বেশি গর্ব হয় বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়িয়ে, ‘আর্জেন্টিনায় খেলছি। কিন্তু আমি বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতেই বেশি গর্ব বোধ করি। এটা আমার দেশ। দেশের হয়ে খেলার চেয়ে গর্বের আর কিছুই হতে পারে না। আশা করি, আর্জেন্টিনায় খেলার অভিজ্ঞতা আমি মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচে কাজে লাগাতে পারব।’
দলে নেই জিকো, তপু ও মোরছালিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলাররা। মদকাণ্ডে বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে জাতীয় দলেও নিষিদ্ধ হয়ে আছেন তারা। কিন্তু তারপরও সাফল্য ছিনিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে মালদ্বীপ গেছে দল। কোচ কাবরেরা তো সেটাই জানালেন, ‘কয়েক মাস ধরেই আমরা ভালো খেলছি। সাফে মালদ্বীপকে হারিয়েছি। লেবানন, কুয়েতের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়েছি। গত মাসে আফগানিস্তানের ম্যাচে প্রমাণ করেছি, আমাদের চেয়ে শক্তি-সামর্থ্যে এগিয়ে থাকা দলের সঙ্গেও আমরা লড়তে জানি। আমরা আত্মবিশ্বাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকেই মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি।’