প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৩৫ পিএম
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৪৭ পিএম
ক্রিকেটের পাশাপাশি আরও যা করেন তারা
যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন—বহুল প্রচলিত প্রবাদটি যেন জুতা সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ বাগধারাটির পরিপূরক। কিন্তু এই রাঁধা আর সমানতালে চুল বাঁধায় কে কেমন, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ডজনখানেক ক্রিকেটারকে নিয়ে ছোট করে সেই গবেষণা চালিয়েছে ডেইলি মেইল। ইংলিশ গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, পেশাদার এসব তারকার রয়েছে ক্রিকেটার ছাপিয়ে আরও বেশ কিছু পরিচয়।
কেউ করছেন শখের বশে, কারও ওটা ব্যবসার জায়গা, কারোর আবার এটাই নেশা। মাঠের ক্রিকেটে পটু এসব ক্রিকেটার মাঠের বাইরেও টেক্কা দিতে পারবেন যে কাউকে। তাদের নিয়েই আজকের আয়োজন, স্টিভ স্মিথ-প্যাট কামিন্সদের শখ, ইচ্ছা আর অবসরের কাজ নিয়েই হবে লম্বা গল্প।
স্পিন অলরাউন্ডার থেকে বিশ্বসেরা ব্যাটার বনে যাওয়া স্মিথের শখ কী? এমন একটি জিজ্ঞাসায় অজিদের সাবেক অধিনায়ক জানিয়েছেন, ফটোগ্রাফি করেন। সময় পেলে স্কুবা ডাইভিংও করেন। হাতে আরও কিছুটা সময় হলে সোজা চলে যান টেনিস কিংবা রাগবি দেখতে। এ তো গেল শখের কথা, নিজেকে কখনও ফটোগ্রাফারও দাবি করছেন না স্মিথ। কিন্তু তিনি দাবি না করলেও তাকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী বলে অনেকেই চেনেন। অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার ব্যাটার মাঠের ক্রিকেটের পাশাপাশি ব্যবসাটাতেও সিদ্ধহস্ত।
একটা উদাহরণ দেওয়া যাক, ২০২১ সালে স্মিথ একটি বাড়ি কিনেছিলেন। দাম পড়েছিল সব মিলিয়ে ৬.৬ মিলিয়ন ডলার। সেই বাড়িই তিনি বিক্রি করেছেন দ্বিগুণ দামে। সময়ও খুব বেশি নেননি। ১২.৪ মিলিয়ন ডলারে স্মিথের বাড়িটি কিনতে উন্মুখ হয়েছিলেন দুজন ক্রেতা। এটা অবশ্য প্রথম এবং শেষ নয়, স্রেফ উদাহরণ। ক্রিকেটার স্মিথের নামের পাশে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী নামটিও জোড়া লাগানো আছে। স্মিথ অবশ্য অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবসা করার জন্যই বাড়ি কিনছেন। ক্রিকেটের পাঠ চুকানোর পর নিউইয়র্কে কেনা বাড়িতেই থাকবেন স্মিথ।
অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান অধিনায়ক ব্যবসাতেও কম যান না। ক্রিকেটে অজিদের নেতৃত্ব কিংবা বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে যেমন গুঁড়িয়ে দেন, তেমনি ক্ষুরধার বুদ্ধিতে চালান জমিজমার ব্যবসা। বাড়ি বা জমি কেনেন এবং বেচে দেন; যা আয় হয় তা দিয়ে পূরণ করেন গাড়ির শখ। কামিন্সের গ্যারেজে আছে বিএমডব্লিউ, অডি, ল্যান্ড রোভারের মতো ডজনখানেক গাড়ি। বাড়ি কিনতেও কুঞ্জুসপনা করেন না অজি পেসার। সিডনিতে ৯.৫ মিলিয়নের বাড়িটি ছাড়াও তার কেনা আছে কয়েকটি বাড়ি। দরদামে বনলে যা বেচেও দেন কামিন্স। ক্রিকেট আর ব্যবসা—দুটোই ভালো চালান কামিন্স।
বল টেম্পারিংয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে শুরু, এখানেই শেষ চান। ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ক্রিকেট ছেড়ে মাইক্রোফোন হাতে তুলে নেব।’ খুব দ্রুত ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চলা ওয়ার্নার অবশ্য ধারাভাষ্যে নাম ইতোমধ্যে লিখিয়েও ফেলেছেন। এবার অপেক্ষা ক্রিকেটার তকমা ঘুচিয়ে সেটাকে সামনে আনার। ওয়ার্নার নিজের শখের সেই পথেই হাঁটছেন দ্রুতলয়ে।
যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন— লাবুশেনের ক্ষেত্রে প্রবাদটি পাল্টে দেওয়া উচিত। তিনি রান করেন, কফিও বানাতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ান টপ অর্ডার ব্যাটার এক-দুই বা ঠেকে কাজ চালানোর মতো নন, গুনে গুনে একশ রকমের কফি বানাতে পারেন। নিজের কফিপ্রীতি তো আছেই, নতুন নতুন আইটেমে কফি বানিয়ে পরিবেশন করেন সতীর্থদের মাঝেও। নিজের কিট ব্যাগে সব সময় থাকে একগাদা কফি। লাবুশেন ক্রিকেটে যেমন মাতিয়ে রাখেন, মাঠেও মাঝেমধ্যে মজার কিছু কথা বলে শিরোনাম হন। চনমনে হিসেবে পরিচিত এই ব্যাটার দিনে ২০ কাপেরও বেশি কফি পান করেন।
শুধু কফি বানানো এবং পান করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেননি লাবুশেন, ‘দ্য রান ক্লাব কফি’ নামে নিজের একটি ব্র্যান্ডের কফিও বাজারে ছেড়েছেন। ব্যবসাটি ভালোই চালান অজি টপ অর্ডার ব্যাটার। কোম্পানির মডেলও তিনি, সতীর্থদের পরিবেশন করে সেটির প্রচারণাও সুকৌশলে সেরে নেন লাবুশেন।