মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০১:৩৪ এএম
চলতি বছরের অ্যাশেজ নাকি ২০১৯ বিশ্বকাপ— প্যাট কামিন্সরা সেই সেমিফাইনালের বদলা নেবেন নাকি জস বাটলাররা রোমাঞ্চ চড়ানো ‘ছাইদানি’ হারানো সিরিজের প্রতিশোধ টানবেন। বদলা কিংবা প্রতিশোধ যা-ই হোক না কেন, কাগজে-কলমে ছিটকে যাওয়া ইংলিশদের বিপক্ষে আজ শনিবার সেমির মঞ্চ পাকা করতেই চোখ ঘুরিয়ে রাখবে অজিরা। আহমেদাবাদের ম্যাচটিতে হারের বৃত্ত ভাঙতে চাওয়া বাটলারদের চ্যালেঞ্জে থাকছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জায়গা নিশ্চিতের শঙ্কাও।
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এগোনো-পেছানোর হিসাব ছাপিয়ে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর রোমাঞ্চ চড়ানো লড়াই চোখে পড়বে। কদিন আগে অজি অধিনায়ক কামিন্স যেমন ইংলিশদের দুর্দশা দেখে হাসতে হাসতে বলেছিলেন ‘কষ্ট পাচ্ছেন’। সেই কষ্ট আরও একটু বাড়িয়েও দিতে পারেন তারা। এক ম্যাচে দুটি সমীকরণ ইংলিশদের সামনে। হারলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাবেন চ্যাম্পিয়নরা, অন্যটি শেষ আটে থাকার স্বপ্নেও থাকবে বড় শঙ্কা। অস্ট্রেলিয়ার সুযোগ বড়। ইংলিশদের কাছে বধ হলেও সেমির স্বপ্নে দাড়ি পড়বে না।
পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হয়েছে ১৫৫ বার। ৮৭ বার জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ইংলিশদের জয় ৬৩ বার। বিশ্বমঞ্চেও পিছিয়ে আছে ইংল্যান্ড। ৯ বারের লড়াইয়ে অজিদের জয় ৬ ম্যাচে। তিনটিতে জিতেছে ইংল্যান্ড। চলতি বিশ্বকাপেও হারের বৃত্তে ঘুরছে ইংলিশরা। ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে টানা দুই হারে বিশ্বকাপ শুরু করা অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে টানা চতুর্থ জয়। গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুদল। সেবার ৮ উইকেটে জিতে ফাইনালে উঠেছিল ইংলিশরা। এবার সেই হারের বদলা নেওয়ার চ্যালেঞ্জ। সবশেষ অ্যাশেজের ফলও মাথায় নিলে ইংলিশরা ছেড়ে কথা বলবে না।
একাদশের দুই নিয়মিত ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিতে নিজেদের দলের গঠন নতুন করে ভাবতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। পায়ের পেশির চোট থেকে সেরে ওঠা মার্কাস স্টয়নিস পুনরায় সুযোগ পেতে পারেন দলে। এ ছাড়া ক্যামেরুন গ্রিনকেও দেখা যেতে পারে মূল একাদশে। ব্যাটিং অর্ডারে স্টিভেন স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেনের পছন্দের ৩ ও ৪ নম্বর ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। হারের বৃত্তে ঘোরা ইংলিশদের অপরিবর্তিত একাদশ দেখা যেতে পারে।
আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারলে শুধু বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের দৌড় থেকেই ছিটকে যাবে না, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সুযোগ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে ইংল্যান্ড। সেই দিকেই চোখ ইংলিশদের। অন্যদিকে বাকি তিন ম্যাচের একটি জিতলেই সেমি নিশ্চিত করবে অস্ট্রেলিয়া, দেরি করতে হয়তো চাইবেন না প্যাট কামিন্সরা।