প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:৫৯ পিএম
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ০০:৫৬ এএম
দুই বাংলার ফুটবল-দ্বৈরথ। আগেই ছড়িয়ে পড়েছিল বাগযুদ্ধ। একচুলও ছাড় নয়। ছিল পূর্ণ তিন পয়েন্ট বাগিয়ে নেওয়ার হুংকার। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসে বসুন্ধরা কিংস। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টদের টপকে রবসন রবিনহোর দল উঠে এসেছে টেবিলের চূড়ায়।
এএফসি কাপে মঙ্গলবার রাত ৮টায় কিংস অ্যারেনায় সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পায় কিংস। স্বাগতিকদের হয়ে গোল দুটি করেন দুই ব্রাজিলিয়ান মিগুয়েল ফেরেইরা ও রবসন। সুপার জায়ান্টদের একমাত্র গোলটি করেন লিস্টন কোলাসোর।
হাতের তালুর মতো চেনা মাঠ। ছিল হাজার পনেরো সমর্থকের সমর্থন। ‘কিংস, কিংস’ গর্জন ছিল গোটা সময়জুড়ে। তবুও শুরুতে পথ হারায় রেডরা। তারেক কাজী-বিশ্বনাথ ঘোষদের ভুলের সুযোগ কাজে লাগায় সফরকারীরা। খেলার বয়স ২০ মিনিট ছাড়ানোর আগেই মোহনবাগানকে লিড এনে দেন কোলাসো। বাঁ-প্রান্ত থেকে জেসন কামিন্সের ক্রসটি গোলকিপার মেহেদি হাসান ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। সে সুযোগ লুফে নেন এই ফরোয়ার্ড। ১৭ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে অবশ্য ভেঙে পড়েনি কিংস।
মোহনবাগানের সীমানায় মুহুর্মুহু আক্রমণ চালান মিগুয়েল-রাকিবরা। ৪৪ মিনিটে দেখা মেলে মাহেন্দ্রক্ষণের। মোহনবাগানের বক্সের মাথায় দাঁড়িয়ে বাঁ-পায়ের দারুণ এক শটে গোলকিপার বিশাল কাইতকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান মিগুয়েল।
দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় পুরোটা সময়ই সফরকারীদের ওপর কর্তৃত্ব খাটায় কিংস। বেশিরভাগ সময়ই বল ছিল মোহনবাগানের অর্ধেই। মিগুয়েলের সঙ্গে মিলে রবসন-মিগুয়েলরা ত্রাস সৃষ্টি করে মোহনবাগান রক্ষণকে। তবে এই অর্ধে কিংস কিছুটা দুর্ভাগা ভাবতেই পারে। ৫১ মিনিটে রবসনের শট যে কীভাবে পোস্টে লেগে ফেরত এলো, সেটি এক রহস্য।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশকিছু সুযোগ নষ্ট করে কিংস। মোহনবাগানের রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত রেখেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না রবিনহোরা। ঠিক তখনই বসুন্ধরার সমর্থকদের সেরা মুহূর্তটি এনে দেন দলনেতা রবসন।
দিদিয়েরের কাছ থেকে থ্রু পেয়েছিলেন দরিয়েলতন। তিনি গোলে শট নিতে দেরি করছিলেন। সেটিই বাড়িয়ে দেন পেছন থেকে এগিয়ে আসা রবসনের দিকে। এবার আর দেরি করেননি অধিনায়ক। ২-১ গোলে এগিয়ে দেন দলকে। দারুণ জয়ে কিংসের পয়েন্ট ৪ ম্যাচে ৭। মোহনবাগানের পয়েন্টও ৭। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে জেতায় মোহনবাগানকে টপকে গ্রুপ শীর্ষে এখন কিংসই। পরের ধাপে যেতে হলে থাকতে হবে গ্রুপ পর্বের শেষ পর্যন্তও।