প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৬ এএম
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:১৭ পিএম
যেই বোলিং আক্রমণ নিয়ে বাংলাদেশের আত্মতুষ্টির কমতি ছিল না। যারা দেখাচ্ছিলেন স্বপ্ন। আত্মবিশ্বাসের পারদ তুলে দিয়েছিলেন চূড়ায়। তারা নিরাশ করেছেন বললে ভুল হবে। বরং বিশ্বাসটাই ভেঙে দিয়েছেন ভক্তদের। ব্যাটারদের দৈন্যদশা আর বোলারদের ছন্নছাড়া বোলিংয়ে ভারতে সব খুইয়ে এসেছেন সাকিব আল হাসানরা।
একসময় স্পিননির্ভর ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট। অ্যালান ডোনাল্ড সে রীতি পাল্টে দেন। দুই পেসার খেলাতেই টানাপড়েন, সেখানে ডোনাল্ডের অস্ত্রাগারে জমা পড়ে পাঁচের অধিক পেসার। মুস্তাফিজুর রহমান-তাসকিন আহমেদদের দিয়েই প্রতিপক্ষ-বধের ছক আঁকতেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই কোচ। বৈশ্বিক আসরের আগেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলোতে সফলতা পান তার শিষ্যরা। কিন্তু পাশার দান উল্টে যায় বিশ্বকাপে। অগোছালো বোলিং আক্রমণ বিভাগে একমাত্র শরিফুল ইসলাম ছাড়া বাকিরা হয়েছেন ব্যর্থ।
বোলিংয়ে মন্দের ভালো করেছেন মেহেদি মিরাজ এবং শরিফুল ইসলাম। দুজনেই নেন ১০টি করে উইকেট। তবে একটি ম্যাচ কম খেলেন পেসার শরিফুল। মিরাজ ৯ ইনিংসে মোটে ৭২ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। রান খরচ করেন ৪০২। শরিফুল ৬৪.৪ ওভার বোলিং করে খরচ করেন ৪০৯। ইকোনমি রান রেট ছিল ছয়ের ওপরে।
বোলিংয়ে শীর্ষ পারফরমারদের মধ্যে তিনে সাকিব আল হাসান। ৭ ম্যাচে তার উইকেট ৯টি। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ইনজুরির কারণে দুটি ম্যাচে খেলতে পারেননি। বোলিংয়ে যিনি সফলতা পেয়েছেন, সেই শেখ মেহেদী সুযোগ পান তিন ম্যাচে। ৩ ইনিংসে ২৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে নেন ৬ উইকেট। আসরে সেরা বোলিংটাও তিনিই করেন। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের আর কোনো বোলার ইনিংসে ৩ উইকেটের বেশি পাননি। পাঁচে থাকা তাসকিন আহমেদ ৭ ম্যাচ খেলে পেয়েছেন স্রেফ ৫ উইকেট।
প্রায় প্রতিটি ম্যাচে বল হাতে ব্যাটারদের পরীক্ষা নেওয়া তাসকিন একটি ম্যাচেও পূর্ণ ১০ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পাননি। অতিরিক্ত রান খরচ করায় একাদশের বাইরেও ছিটকে পড়তে হয় তাকে। এ নিয়ে আসর চলাকালে তাকে মেজাজ হারাতেও দেখা যায়। তাসকিনও তখন স্বীকার করেন, ‘সব পরিকল্পনা ঠিকঠাক বাস্তবায়ন হয়নি। তাই মেজাজও বেজায় চড়া।’
বোলার ইনিংস উইকেট
মেহেদি হাসান মিরাজ ৯ ১০
শরিফুল ইসলাম ৮ ১০
সাকিব আল হাসান ৭ ৯
শেখ মেহেদী ৩ ৬
তাসকিন আহমেদ ৭ ৫