প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১১:১৬ এএম
সাকিবদের এমন রূপই ছিল আসর জুড়ে
‘সন্ধান চাই’ শিরোনামে ‘বাংলাদেশের জয়’ খুঁজে যদি বিজ্ঞাপন দেন, সাকিব আল হাসানদের থেকে বলার মতো পাবেন না তেমন কিছুই। গত দেড় মাসের হিসাব সামনে আনলে ‘হার’ শব্দটিই বেশি চোখে পড়বে। অনেক কিছু করতে চাওয়ার বিশ্বকাপে ‘স্বপ্ন দেখা’ বাংলাদেশ ফিরেছে খালি হাতেই। একদম খালি হাতে যদিও বলা যাবে না, ডলার সংকটের সময়ে টাইগাররা দেশে এনেছেন ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এর বাইরে দলের অর্জন কতটা, মোদ্দাকথা বহুল আকাঙ্ক্ষিত জয়ের আনন্দে দেশকে কবার ভাসিয়েছেন—তা জানতে যদিও বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন পড়বে না!
ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং—ভারতের বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানরা মলিন ছিলেন সব জায়গাতেই। স্বভাবত ফলও আসেনি পক্ষে। হারটাই এসেছে বেশিবার। নয় ম্যাচে শান্ত-লিটনদের সাত হার। ভাগ্য হেসেছে স্রেফ দুটি ম্যাচে। ৫০ ওভারের সবশেষ পাঁচটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জয়-পরাজয়ের খেরো খাতায় হিসাব টানলে ভাগ্য বাংলাদেশের পক্ষে কমই এসেছে। এবার আরেকটু বেশি। সবশেষ পাঁচবারের সঙ্গে ব্যবধান করলে আক্ষেপের সঙ্গে হতাশাটাও ভারী হবে। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের পর ক্রমশ নিম্নমুখী বাংলাদেশের ‘জয়ের’ বৃত্ত!
ভারতে যাওয়ার আগে সাকিবদের স্বপ্ন ছিল নিদেনপক্ষে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা। কেউ তো বুক চিতিয়ে বিশ্বকাপটাও নিয়ে আসার কথা বলেছিলেন। ওয়ানডে সুপার লিগের সাকিবদের অগ্নিমূর্তি আশার পাশে আরেকটু হাওয়া জুড়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা পুরোটাতেই হয়েছেন ব্যর্থ, সমর্থকরা করেছেন হতাশ। সমর্থকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন, স্বপ্ন দেখিয়ে আরেকবার বলেছেন শিক্ষা নিয়ে ফিরেছি।
সেই শিক্ষার পরিসংখানও স্রেফ বাজে! ফুটবল যদি গোলের খেলা বলা হয়, তাহলে ক্রিকেটকে কী বলা যাবে— রানের না উইকেটের? আদপে রান বা উইকেট নয়, দিনশেষে জয়-পরাজয় মুখ্য হয়ে ওঠে। ঠিক সেই কারণেই সেমির স্বপ্নে বুঁদ হয়ে থাকা বাংলাদেশ বিশ্বকাপে সবার আগে নিশ্চিত করে বিদায়।
হারের কক্ষপথে আঠার মতো আটকে থেকে শঙ্কা জাগায় টেবিলের শেষ আটে থাকারও। বাকি দলের ব্যর্থতায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত হলেও প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের যোগ্যতা নিয়ে। আদপে বড় কিছু করতে চাওয়ার বিশ্বকাপে সবচেয়ে অযোগ্যই ছিলেন সাকিবরা। ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে জয় ছিল তিনটিতে। পরের দুই বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ছিল তিনটিতে।
ইংল্যান্ডে ২০১৯ বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে তিনটিতে প্রতিপক্ষকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আর এবার ৯ ম্যাচে মোটে দুটি! সাকিব আল হাসান অকপটেই তাই বলেছেন, ‘এটাই আমাদের স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ।’ অধিনায়কের কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ নিশ্চয় করবেন না আপনিও!
শেষ ৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
আসর ম্যাচ জয়
২০০৭ ৯ ৩
২০১১ ৬ ৩
২০১৫ ৬ ৩
২০১৯ ৮ ৩
২০২৩ ৯ ২