প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৩৯ পিএম
সিঙ্গাপুরকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা— প্রবা ফটো
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয় ৩-০ ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচের ব্যবধান ৮-০। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে দুই হালি গোলের উৎসবকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ সাইফুল বারি টিটু। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে এত বড় জয় বিস্ময়কর বৈকি? এর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। ম্যাচে মেয়েরা নিজেদের দুশ ভাগ উজাড় করে দিয়েছেন, এমন অভিমত স্বাগতিক অধিনায়কের।
সোমবার ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, ‘মেয়েরা খুবই ভালো খেলেছে। সবারই প্রচেষ্টা ছিল। আমার মনে হয়, মেয়েরা দুশ ভাগ দিয়ে খেলেছে।’ সতীর্থদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেও নিজের খেলা নিয়ে সন্তুষ্ট নন সাবিনা। তার ভাষায়, আসলে আমি দর্শনীয় গোল করতে পারিনি। যেসব গোল মিস করেছি…আমি মনে করি, আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে মিসগুলো এই ম্যাচে হয়েছে।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল জাগরণের রূপকার গোলাম রব্বানী ছোটন। দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করার পর মাস ছয়েক আগে নারী ফুটবল দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ছোটন। তার জায়গায় সাবিনাদের নতুন কোচ হিসেবে এসেছেন টিটু। র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে এত বড় জয়ে বিস্মিত স্বাগতিক দলের কোচ। ম্যাচ শেষে বলেন, স্কোরলাইন ৮-০! আমি তো অবাক হয়েছি, ওয়াও। এই বড় জয়ের পুরো কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন তার শিষ্যদের।
তার কথায়, ‘আমি নিজেও খেলোয়াড় ছিলাম, প্রথম ম্যাচ হয়তো আমাদের জন্য কঠিন ছিল না, কিন্তু এবার এত বড় ব্যবধানে জিতব, ভাবিনি। প্রথম জয়ের পর আবারও সবটুকু নিংড়ে দেওয়া…এই কৃতিত্ব পুরোপুরি মেয়েদের। এখানে আমার কোনো অবদান নেই। যোগ করেন, ভিন্নমাত্রার মানসিকতা এই মেয়েদের। সাধারণত বেশ কয়েকটি গোলের পর একটু অন্যরকম ভাব আসে। কিন্তু ওরা প্রতিনিয়ত গোল করেই গেছে। বদলি হিসেবে নেমেও গোল করেছে।’
এই বাংলাদেশকে দেখে তাদেরও অনেক কিছু শেখার আছে বলে মনে করছেন সিঙ্গাপুর কোচ করিম বেনসেরিফা! ম্যাচ শেষে বলেন, ৮-০ স্কোরলাইনের পর…আমরা কঠিন একটা শিক্ষা পেলাম। আমি মনে করি, আপনি যদি বাংলাদেশের পুরোনো ইতিহাস ঘাঁটেন, দেখবেন, তারা এই কঠিন শিক্ষা পেয়েছে এবং তা থেকে শিখেছে এবং ফল পেতে শুরু করেছে। নিজ বক্তব্যের সমর্থনে সিঙ্গাপুর কোচ বলেন, ৪-৫ বছর আগের বাংলাদেশ দলটার দিকে যদি তাকান, তাহলে আপনারাও দেখবেন তারা কাজ শুরু করেছিল এবং এই স্কোরলাইনেই। তখন বাংলাদেশ, জাপানের মধ্যে এই পার্থক্যটা ছিল। তারাও জাপানের বিপক্ষে ৮-০ গোলে হেরেছে। এখন বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সেই পার্থক্য।