প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:১৯ পিএম
কিংবদন্তি রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে ঋষভ পন্ত। ছবি: টুইটার
প্রায় এক বছর আগে দিল্লি-রুরকি মহাসড়কে গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েন ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋষভ পন্ত। সেখানে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন তিনি। শরীরের অনেক অংশই পুড়ে গিয়েছিল পন্তের। পরবর্তীতে পথচারীদের সহায়তায় তাকে গাড়ি থেকে বের করে আনা হয়। সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়েছেন পন্ত এবং এখনও যে বেঁচে আছেন সেজন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন তিনি।
এদিকে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে আইপিএলের নিলাম। ফ্রাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্টে তিনি খেলেছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে। গত মৌসুম খেলতে না পারলেও তাকে পুরো মৌসুমের টাকা পরিশোধ করে দিল্লি। এবারও তাকে দলে ধরে রেখেছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। নিলাম অনুষ্ঠানে দিল্লির টেবিলে থাকবেন পন্ত। সেখানে ফিরেই নিজের উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার, ‘আমি যে ধরনের দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম, সেখান থেকে ফিরে আসাটা ভাগ্যের ব্যাটার। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি আমি এখনও বেঁচে আছি। তবে ফিরে আশাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রচুর ব্যাথার মধ্য দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছে। তবে এখনও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলমান।’
পন্ত আরও বলেন, ‘শারীরিক দৃষ্টিকোণ থেকে আরও কিছু সময় লাগবে। তবে দ্রুত মাঠে ফেরার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া খুবই ভালো চলছে। আমার মনে হচ্ছে আমি আবার লোকদের ভিড়ে মাঠে নামব। আমাকে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে হবে। আমি আমার দলকে সাপোর্ট করতে চাই। যে দলের হয়ে আমি খেলেছি। এই দলটিকে আমি ভালোবাসি; তারা আমার খারাপ সময়ে পাশে ছিল।
দিল্লির টেবিলে বসার আগে রোমাঞ্চিত এই ক্রিকেটার। সেরা দল গঠনে তিনি সহায়তা করতে চান দিল্লিকে, এটা আমার কাছে দারুণ এক অনুভূতি। টেবিলে বসে প্লেয়ার পছন্দ করার ব্যাপারটি… আমি ছোটবেলায় ভাবতাম যে একদিন আমি এখানে বসব। তবে কখনওই ভাবিনি সত্যি এমনটি ঘটবে। কিন্তু যেভাবেই হোক সেটা ঘটতে চলেছে। সত্যি আমি ভাগ্যবান। আশা করি অভিজ্ঞতা দারুণ হবে।’
অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে প্রথমবার যখন আইপিএল নিলামে ওঠেন পন্ত, তখন তার জন্য দিল্লি খরচ করেছি ১ কোটি ৯০ লাখ রুপি। সেটা মনে করে আপ্লুত এই ব্যাটার, প্রত্যেক খেলোয়াড় তাদের প্রথম নিলামের দিন মনে রাখে। সম্ভবত আমি ১.৯ কোটিতে গিয়েছিলাম। তখন সবেমাত্র আমি অনুর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছি, সেসময়ে আইপিএলে দল পাওয়া এবং এমন একটা অঙ্কের টাকা পাওয়া বিরাট ব্যাপার ছিল। সত্যি বলতে সেটা ছিল ক্ষেপাটে অনুভূতি।