কোপাতেও দর্শক নেইমার

ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের একজন হতে পারবেন। এমনকি ফুটবল দুনিয়ার ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা হওয়ার অপার সম্ভাবনা ছিল নেইমারের মধ্যে। সেই ফুটবল সুপারস্টারের পথ আগলে দাঁড়িয়েছে কেবল চোট। ইনজুরি যেন তার ক্যারিয়ারের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

চোট যেন কিছুতেই ব্রাজিলিয়ান এ তারকার পিছু ছাড়ছে না। সর্বশেষ সেই দুর্ভোগের শিকার হন গত ১৭ অক্টোবর। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ফের চোটের ধকল পেয়ে বসেছে নেইমারকে।

সেই চোটে এতটাই মারাত্মক যে, আগামী বছর কোপা আমেরিকাতেও তার খেলা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার তো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোপার আগামী আসরে খেলতে পারবেন না নেইমার।

উরুগুয়ের কাছে হারের ম্যাচে চোট পেয়ে চোখের জলে মাঠ থেকে বিদায় নেন নেইমার। তখনই ব্যাপারটা আঁচ করা গিয়েছিল, বড় ধরনের খারাপ খবরই আসতে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত সেই ধারণাই সত্যি হয়েছে।

পরে জানা যায় বাঁ হাঁটুর অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে নেইমারের। সেই চোট থেকে বাঁচতে গত ২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তেতে চিকিৎসকদের ছুরিকাঁচির নিচে যান আল হিলালের এ মেগাস্টার। সেই থেকে পুনর্বাসন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন নেইমার।

কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট ক্যাপশনে ব্রাজিল তারকা লেখেন, ‘কষ্ট ছাড়া ভালো কিছু হয় না, পড়ে না গিয়ে উঠে দাঁড়ানোর মধ্যে বীরত্ব নেই। কষ্ট ছাড়া জয় আসে না। আমি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’ 

সবাই ধরে নিয়েছিলেন ইনজুরির বিরুদ্ধে লড়াই করে দ্রুতই সেরে উঠছেন। কোপা আমেরিকার আগেই হয়তো শতভাগ ফিট হয়ে যাবেন নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলের রেদে৯৮ রেডিওকে সেলেসাওদের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার যে খবর দিয়েছেন, তাতে ব্রাজিল ফুটবলের ভক্ত-অনুরাগীদের কষ্টটাই বেড়ে গেছে নিশ্চিত।

হতাশার খবর দিয়ে লাসমার বলেন, ‘কোপা খুব কাছেই। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ পার না করে তাড়াহুড়ো করা এবং অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেওয়ার কোনো মানে হয় না। আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, সে ২০২৪ ইউরোপিয়ান মৌসুমের শুরুতে, মানে আগস্টে মাঠে ফেরার জন্য পুরোপুরি ফিট হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আগামী বছর কোপা আমেরিকার পর্দা উঠবে ২০ জুন। ফাইনাল দিয়ে আসর শেষ হবে ১৪ জুলাই।